Travel Guide: দুদিনের ছুটিতে তিব্বতের মজা নিতে চলে আসুন ওড়িশার এই পাহাড়ি শহরে
হাইলাইটস:
- উইকেন্ডে কলকাতার একটু দূরে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইছেন?
- তবে বেছে নিতে পারেন প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশাকে
- শান্ত পরিবেশে, মুক্ত বাতাসে একটুকরো তিব্বতের ছোঁয়া পেতে চলে আসুন ওড়িশার মিনি তিব্বতে
Travel Guide: আপনি কি জানেন, কলকাতার কাছেই রয়েছে এক টুকরো ‘তিব্বত’? না এখনও অনেকেই জানেন না। কারণ খুব একটা প্রচলিত হয়নি ওড়িশার এই বিশেষ জায়গাটি। ওড়িশার এমন অনেক গন্তব্যস্থল আছে, যা আপনি ঘুরে শেষ করতে পারবেন না। দক্ষিণ ওড়িশায় পূর্বঘাট পর্বতমালায় ঘেরা গজপতি জেলার একটি ছোট্ট শহর হল ‘জিরাং’। যা ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে ‘মিনি তিব্বত’ নামেই পরিচিত।
We’re now on WhatsApp – Click to join
ওড়িশার রাজধানী তথা অন্যতম ব্যস্ত শহর ভুবনেশ্বর থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ছোট্ট পাহাড়ি শহরটি। এখনকার মুক্ত বাতাসে রয়েছে একটুকরো তিব্বতের ছোঁয়া। সূত্রের খবর, ষাটের দশকে হিমাচল প্রদেশের ডালহৌসি, চাম্বা এবং অরুণাচল প্রদেশের বমডিলা থেকে কিছু তিব্বতী উদ্বাস্তু এসে ওড়িশার এই জেলায় বসতি গড়ে তোলেন। পরে ১৯৬৩-১৯৬৭ সালের মধ্যে সারা ভারতের নানা জায়গা থেকে তিব্বতীরা এসে এখানে তাদের ঘাঁটি গড়ে। জানা গেছে, তিব্বতীরা এই জায়গাটিকে বলেন ‘ফুইসিং’, চলতি বাংলা ভাষায় যার মানে দাঁড়ায় ‘সুখ এবং প্রাচুর্যের দেশ’। তবে এই জায়গা অনেকের কাছে ‘চন্দ্রগিরি’ নামেও পরিচিত।
We’re now on Telegram – Click to join
আপনি যদি শহুরে কোলাহল আর ক্রংক্রিটের জঙ্গল থেকে কিছুটা দূরে নিরিবিলিতে ক’টা দিন কাটাতে চান, তবে ছুটে যেতে পারেন ওড়িশার এই মিনি তিব্বত তথা চন্দ্রগিরি। এখানকার মহেন্দ্রগিরি পর্বতের সৌন্দর্য্য আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। লোকে বিশ্বাস করেন, ভগবান পরশুরাম এই পর্বতে বসেই নাকি ধ্যান করতেন। অন্যদিকে এই শৃঙ্গ ওড়িশা রাজ্যের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। পূর্বঘাট পর্বমালায় বেষ্টিত এই ছোট্ট পাহাড়ি শহরের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার চোখকে ভরিয়ে দেবে।
তবে এখানকার প্রধান আকর্ষণ হল বৌদ্ধ বিহারগুলি। ওড়িশার তিব্বতের বৌদ্ধ মঠে রয়েছে ভগবান বুদ্ধের প্রায় ২৩ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জের মূর্তি। সেই সঙ্গে রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ মঠ পদ্মসম্ভাবা মহাবিহার মঠ (Padmasambhava Mahavihara Monastery)। ‘চন্দ্রগিরি’ গেলে এই মঠে যেতে কিন্তু ভুলবেন না।
Read more:- বর্ষার বিদায়পর্বে ব্যাগপত্র গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন দেশের দুই রাজ্যের এই দুই গন্তব্যস্থানে
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে সোজা পৌঁছে যান ওড়িশার ব্রহ্মপুর স্টেশনে। তারপর সেখান থেকে গাড়ি বুক করে পাড়ি দিন জিরাং-এর উদ্দেশ্যে। ব্রহ্মপুর থেকে জিরাং-এর দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটারের একটু বেশি। আপনি যদি ট্রেনের বদলে বিমান পথে যেতে চান, তবে নামতে হবে ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে। সেখান থেকে সড়ক পথে সোজা জিরাং।
এইরকম ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।