Nearest Summer Camping Location From Kolkata: এই তীব্র গরমে উত্তরবঙ্গের পরিবর্তে দক্ষিণবঙ্গেই কী ক্যাম্পিং-এর প্ল্যান করছেন? তাহলে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাগুলি থেকে

Nearest Summer Camping Location From Kolkata: দক্ষিণবঙ্গের এই ৫টি জায়গা বন্ধুদের সাথে ক্যাম্পিং-এর জন্য আদর্শ

 

হাইলাইটস:  

• কলকাতা থেকে সামান্য দূরত্বে রয়েছে গরমেও ঘুরে আসার মতো বেশ কয়েকটি সুন্দর স্থান

• ক্যাম্প করারও সু-ব্যবস্থা আছে এই জায়গা গুলিতে

• গরমের ছুটিতে ঘুরে আসুন এই অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা জায়গাগুলি

Nearest Summer Camping Location From Kolkata: বাইরে যা গরম পড়েছে তাতে অনেকেরই কলকাতা শহরে থাকতে মন চাইছে না। জুন মাসে গরমের ছুটিও চলছে। ঘরে বসে কাটিয়ে ছুটিটাকে নষ্ট করতে কেই বা চায়। মন বেড়াতে যাওয়ার দিকে টানছে? কিন্তু ট্রেনের টিকিটের বড়ই আকাল কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার। আকাশ ছোঁয়া বিমানের ভাড়া। তাই পাহাড় মুখী হওয়ার সম্ভনা নেই। তাই উত্তরবঙ্গের মায়া কাটিয়ে বেরিয়ে আসুন দক্ষিণবঙ্গ আর তার সংলগ্ন এলাকা থেকে। এই গরমে দক্ষিণবঙ্গ ভেবে অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই, এই গরমেও দক্ষিণবঙ্গের এমন কিছু মনোরম স্থান রয়েছে যেখানে গরমেও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া ভালোই লাগবে আপনার।বেড়াতে গিয়ে করে ফেলুন সামার ক্যাম্প। কটা দিন বেশ ভালোই কাটবে আপনার।

কলকাতার কাছাকাছি কয়েকটি সেরা ক্যাম্পিং স্থান:

• সুন্দরবন:

বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে সুন্দরবনে বেড়াতে যেতে পারেন। সহজেই গাড়ি চড়ে যাওয়া যায় সুন্দরবন। কিন্তু নৌকার মধ্যে গাড়ি চাপিয়ে নদী পাড় করতে হবে। ফের নিজের গাড়িতে ঘুরুন নদী পাড় হওয়ার পর। ম্যানগ্রোভ অরণ্য, কুমীর, হরিণ সহ নানা প্রজাতির পাখি দেখতে পাবেন। লঞ্চে করে নদীতে ঘুরুন। চারদিকে সবুজ বনানী দেখে আপনার চোখ জুড়িয়ে যেতে বাধ্য। আর যদি ভাগ্য ভালো থাকে, তাহলে দেখা মিলতে পারে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। প্রশিক্ষিত গাইড পেয়ে যাবেন জঙ্গলে প্রবেশের জন্য। ঘুরতে পারেন পারেন সজনেখালি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সুধন্যাখালি ওয়াচ টাওয়ার, নেতিধোপানি ওয়াচ টাওয়ার। পাশাপাশি নদীর টাটকা মাছ, কাঁকড়া, চিংড়ি এবং বন মোরগ খাওয়ার সুযোগ পাবেন। মাত্র দেড় ঘণ্টা সময় লাগে কলকাতা থেকে সুন্দরবন পৌঁছোতে।

• বরন্তি:

বরন্তি গ্রামের প্রকৃত নাম জীবনপুর। পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর সার্কিটের সবুজ জঙ্গল, মনোমুগ্ধকর পাহাড় এবং অপূর্ব সুন্দর হ্রদের ধারে অবস্থিত বরন্তি। এটি একটি নিখুঁত গ্রাম। বরন্তি হ্রদের পাশে অবস্থিত হওয়ায় এই গ্রামের নাম হয়েছে বরন্তি। পঞ্চকোট পাহাড় এবং বিহারীনাথ পাহাড়ের মধ্যে অবস্থিত বরন্তি। এই গ্রামের চারদিকে রয়েছে শাল, সেগুন, মহুয়া, পলাশ, শিশু গাছের জঙ্গল। এই গ্রামে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া লাল মাটির রাস্তা দিয়ে। এই গ্রামে বিভিন্ন ট্রেকিং ট্রেইলের সুবিধা পাবেন আপনি। এখান থেকে মুরাডি বাঁধ, গড় পঞ্চকোট, বরন্তি পাহাড় ও বাঁধ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। গ্রামটি বেশ নিরিবিলি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং বিশুদ্ধ বাতাস সহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। কলকাতা থেকে প্রায় ২৩৭ কিলোমিটার দূরত্বে এই বরন্তি।

• অযোধ্যা পাহা়ড়:

অযোধ্যা পাহাড় হল পুরুলিয়ার ঝালদা-অযোধ্যা সার্কিটের প্রধান আকর্ষণ। পাহাড়ের গা দিয়ে তৈরি হয়েছে রাস্তা। অযোধ্যা পাহাড়র ঘুরতে এসে বামনী ঝরনা একেবারেই মিস করবেন না। কম পক্ষে ৫০০টি সিঁড়ি নামতে হবে আপনাকে বামনী পৌঁছোতে হলে। প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি বামনী ঝরনা বিস্মিত করবে আপনাকে। সেখান থেকে টুরগা ঝরনা, টুরগা বাঁধ, ওসুলপুর ডুংরি, কুমারী নদীরউৎস ইত্যাদি ঘুরে আসুন। ঘুরে আসতে পারেন শ্বেতপাথরে হ্রদ থেকেও। সেখানে সূর্যাস্ত দেখার মজাই আলাদা। অযোধ্যা পাহাড় থেকে বাগমুণ্ডি পাহাড়ে গিয়ে চোড়িদা গ্রাম ঘুরে আসুন। এই চোড়িদা গ্রামে পুরুলিয়ার বিখ্যাত ছৌ-এর মুখোশ তৈরি করা হয়।

• শুশুনিয়া পাহাড়:

শুশুনিয়া পাহাড় হল বাঁকুড়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা। পূর্বঘাট পর্বতমালার একটি অংশ এই পাহাড়। প্রায় ১২০০ ফিট উচ্চতা এই পাহাড়ের। বাংলার প্রাচীনতম শিলালিপিটিও এই পাহাড়ে অবস্থিত। পর্যটক তথা পর্বতারোহীদের কাছে এই পাহাড় খুবই জনপ্রিয়। ইতিহাস বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাজা চন্দ্রবর্মণের রাজধানী ছিল এই অঞ্চল। পাহাড়ের নীচে ঝরণার মুখে রয়েছে পাথরের তৈরি একটি প্রাচীন নরসিংহের মূর্তি। নরসিংহের স্তম্ভটির দৈত্যিক চেহারা পুরাণে বর্ণনা দেওয়া নরসিংহের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই অঞ্চলের আদিবাসীরা যেমন সাঁওতাল, কোল, মুন্ডা প্রভৃতি এই প্রতিমার পূজা করতেন। শাল, পলাশ, মহুয়া, অর্জুন গাছের জঙ্গল রয়েছে এই পাহাড় জুড়ে। এই স্থানের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে গন্ধেশ্বরী নদী। নরসিংহ পাথর বা গন্ধেশ্বরী নদী ছাড়াও অমরকানন এবং কোরো পাহাড় দেখতে ভুলবেন না শুশুনিয়ায় গিয়ে।

• সান্দাকফু:

পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ সান্দাকফু। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সান্দাকফুর উচ্চতা প্রায় ১১,৯৩০ ফিট। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং এখানকার সূর্যোদয় দেখার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। ৪ থেকে ৫ দিনের বেশি সময় লাগে এখানে ট্রেক করতে। ট্রেকারদের কাছে এই স্থানটি আদর্শ। মানেভঞ্জন থেকে মনোরম এই ট্রেকটি শুরু হয়েছে। কয়েকটি সুন্দর গ্রামের পাশ দিয়ে যেতে হয়। প্রচুর হিমালয়ান কোবরা লিলি এবং অ্যাকোনিটাস পাওয়া যায় এই অঞ্চলে। এছাড়াও রডোডেনড্রন, ম্যাগনোলিয়াস এবং অর্কিড সহ বিভিন্ন ধরণের প্রাণবন্ত ফুলে স্থানটিকে ভরিয়ে রাখে । সান্দাকফু ট্রেকিং- এর পূর্বে কিংবা শেষে ঘুরে আসতে পারেন সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্ক, তুমলিং, টংলু ইত্যাদি।

এইরকম ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.