Child Study Tips: এই সহজ টোটকাগুলি মেনে চললে সব পড়াই দ্রুত মুখস্থ হবে শিশুর
হাইলাইটস:
- বাচ্চারা পড়ার থেকে বেশি খেলার দিকে মনোযোগী থাকে
- তবে প্রতিদিন নিয়ম মেনে তাকে পড়তে বসাতে হবে
- তাকে বকাঝকা না করে এই সহজ টোটকাগুলি মেনে চলুন
Child Study Tips: ঘড়ি ধরে পড়তে বসার অভ্যাস আজকাল বাচ্চাদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় না। তবেই যতই দুষ্টুমি করুক বা মোবাইলে গেম খেলুক, প্রতিদিন নিয়ম করে তাদের পড়তে বসাতে হবে। বিশেষ করে স্কুলের হোমওয়ার্ক করাতে হবে। কিন্তু সে যদি একদমই পড়তে বসতে না চায়, তবে বকাঝকা করাটা সমস্যার সমাধান নয়। এর বদলে বাবা-মায়ের উৎসাহেই শিশুর পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে হবে। আর আপনি যদি সময় ধরে পড়তে বসান, তবে তার পড়াও ভালো হবে এবং সেই পড়া তার মনেও থাকবে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
মনোবিদদের মতে, পড়াশোনার নির্দিষ্ট রুটিন থাকা অত্যন্ত জরুরি। অর্থাৎ দিনের কোন সময়ে শিশুকে পড়তে বসাতে হবে তার। একটা রুটিন মেনে চললেই শিশুর পড়াশোনায় আগ্রহ তৈরি হবে। তবে শুধু পড়াশোনা নয়, এর পাশাপাশি খেলাধুলা এবং শরীরচর্চার জন্যই সময় ভাগ করে নিতে হবে। যদি সন্ধ্যা থেকে টিভি দেখে, এ দিক-ও দিক ঘুরে বেশি রাতে পড়তে বসে তবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই শিশুর পড়াশোনায় মন থাকবে না। আবার যদি খুব ভোরে জোর করে ঘুম থেকে তুলে পড়তে বসানো হয়, তবে শিশু পড়াশোনার প্রতি অনীহা তৈরি হবে। তাই সময় মেনে পড়তে বসা খুব জরুরি।
হোমওয়ার্ক করার সঠিক সময় কোনটা?
১) স্কুল থেকে ফিরে একটু ফ্রেশ হয়েই যদি ঝটপট হোমওয়ার্ক সেরে নিতে পারে, তা হলে তার জন্যই ভাল হবে। মনোবিদদের পরামর্শ, স্কুলে যা পড়ানো হচ্ছে তা মনে থাকতে থাকতেই হোমওয়ার্ক শেষ করে নিতে হবে। এতে পড়াও যেমন মনে থাকবে তেমনই ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও কম হবে।
We’re now on Telegram – Click to join
২) স্কুল থেকে ফিরে অনেক শিশুর ই আর পড়তে বসতে মন চায় না। সে ক্ষেত্রে তাকে একঘণ্টা খেলারও সময় দিতে হবে। তা বলে মোবাইলে গেম খেলা নয়, বরং বাইরে বেরিয়ে খেলাধুলা করা বা শরীরচর্চা করা জরুরি। এতে তার চঞ্চলতা কমার সাথে সাথে মনও স্থির হবে। তবে খেলাধুলার পরে শিশুকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ও শক্তিবর্ধক খাবার দিতে হবে। এর পরে যদি পড়তে বসান তবে শিশু সম্পূর্ণ মনঃসংযোগ করতে পারবে।
৩) সকালে ঘুম থেকে তুলেই শিশুকে পড়তে বসাবেন না। অন্তত ৩০-৪০ মিনিট তাকে সময় দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যদি শরীরচর্চা করে বা যোগাসন করে তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এর পরে পড়তে বসালে, সেই পড়াও যেমন ভালো হবে, তেমন দ্রুত পড়া মুখস্থও হবে।
৪) খুদের স্কুল যদি দুপুর অবধি হয়, তা হলে বাড়ি ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পড়তে বসাতে পারেন। আসলে ওই সময়ে পড়াশোনা ভালো হয়। কারণ শিশু যত বেশি সন্ধ্যা করে পড়তে বসবে ততই সে অমনোযোগী হয়ে উঠবে।
Read more:- শীতকালেও স্নান বাদ যাবে না, কী ভাবে প্রতিদিন স্নান করালে বাচ্চার ঠান্ডা লাগবে না?
৫) দুপুরের ভারী খাবার বা রাতে খাওয়ার পরে শিশুকে পড়তে না বসানোই ভালো। কারণ ওই সময়টাতে আলস্য বাড়ে। এর বদলে তাড়াতাড়ি পড়া শেষ করে ওই সময়ে মেডিটেশন করালে, শিশুর মনের অস্থিরতাও কমবে।
এই রকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।