Rabindranath Tagore’s House Vandalised: রেহাই মিলল না কবিগুরুরও, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারিবাড়িতে ভাঙচুর! কীভাবে ভাঙচুর চালাল ওপার বাংলার একদল উন্মত্ত জনতা?
বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারিবাড়িতে পৈত্রিক ভিটে। ১৯৪০ সালে শাহজাদপুরের জমিদারি কিনে নেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। সেসময়ই ঠাকুর পরিবারের হাতে আসে এই কাছারিবাড়ি।
Rabindranath Tagore’s House Vandalised: সিরাজগঞ্জে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কাছারিবাড়িতে পৈত্রিক ভিটেতে ভাঙচুরের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল
হাইলাইটস:
- এবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও ছাড়ল না বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে কবিগুরুর পৈত্রিক ভিটেতে চালানো হয় ভাঙচুর
- এই ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতারা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও
Rabindranath Tagore’s House Vandalised: এবার ছাড় পেলেন না কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈত্রিক ভিটেতে চালানো হয় তুমুল ভাঙচুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যাদুঘরও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। এহেন ভাঙচুরের পর আপাতত কবিগুরুর এই বাড়িতে সাধৈরণ মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন। তবে এরূপ প্রশ্ন উঠছে যে, ন্যূনতম সুরক্ষার ব্যবস্থা কেন করা হয়নি বিশ্ববন্দিত নোবেলজয়ী কবিগুরুর বাড়িতে? যখন উন্মত্ত জনতা ভাঙচুর চালাচ্ছিল, তখন সেসময় কী করছিল পুলিশ-প্রশাসন?
We’re now on WhatsApp- Click to join
কবিগুরুর কাছারিবাড়িতে হামলা একদল উন্মত্ত জনতাদের
বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারিবাড়িতে পৈত্রিক ভিটে। ১৯৪০ সালে শাহজাদপুরের জমিদারি কিনে নেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। সেসময়ই ঠাকুর পরিবারের হাতে আসে এই কাছারিবাড়ি। এই বাড়িতে কাটিয়েছেন কবিগুরু তাঁর জীবনের বেশ কিছুটা সময়। ১৯৬৯ সালে বাড়িটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। পরে সেটি রূপান্তরিত করা হয় মিউজিয়ামে।
We’re now on Telegram- Click to join
গত মঙ্গলবার দুপুরে কবিগুরুর এই বাড়িতে ভাঙচুর চালায় একদল উন্মত্ত জনতা। পার্কিং সমস্যা নিয়ে এক পর্যটক পরিবারের সাথে ঝামেলা হয় মিউজিয়ামের কর্মীর। সেখান থেকেই ছড়ায় এই অশান্তি। খবর সূত্রে, বাইকের পার্কিং ফি নিয়ে যাদুঘরের প্রবেশপথেই বচসা শুরু হয়। ওই পর্যটককে অফিস রুমে নিয়ে গিয়ে আটক করে শারীরিক নিগ্রহও করা হয় বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে।
এর ফলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই। শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপরে কাছারিবাড়িতে ঢুকে অডিটোরিয়ামের জানালা, কাস্টোডিয়ানের অফিস, দরজা ভাঙচুর চালায় কিছু উন্মত্ত জনতা। এর ফলে বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রীরও বেশ ক্ষতি হয়েছে। এবং উঠেছে অভিযোগ যাদুঘর ডিরেক্টরকেও করা হয়েছে মারধর।
এহেন ঘটনার পরই হামলার তদন্ত করার জন্য ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে আর্কিওলজি বিভাগের তরফে। পাঁচ দিনের মধ্যেই জমা করতে হবে এর রিপোর্ট। আপাতত, রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি জড়িত কবিগুরুর বাড়ি দর্শক এবং পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকবে।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।