Leaving Apart Together: লিভিং অ্যাপার্ট টুগেদার” প্রবণতা কী? কেন দম্পতিরা এটি এত দিন পছন্দ করে?
একে অপরের সাথে নিয়মিত দেখা করে, সময় কাটায় এবং একে অপরকে সমর্থন করে। এই প্রবণতা তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কারণ এটি তাদের স্বাধীনতা বজায় রাখতে এবং একই সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
Leaving Apart Together: লিভিং অ্যাপার্ট টুগেদার একটি নতুন সম্পর্কের সূত্র যা দম্পতিরা অনেক পছন্দ করছে
হাইলাইটস:
- আজকাল সম্পর্কের জগতে অনেক নতুন ট্রেন্ড দেখা যায়।
- একটি নতুন ট্রেন্ড হল “লিভিং অ্যাপার্ট টুগেদার”।
- এই প্রবণতা অনুসারে, দম্পতিরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা অবস্থায় আলাদা থাকতে পছন্দ করে।
Leaving Apart Together: আজকাল সম্পর্কের সংজ্ঞা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। যেখানে আগে বিয়েকে একটি সম্পর্কের চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হতো, সেখানে আজকের তরুণদের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা (আধুনিক সম্পর্কের প্রবণতা) হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হল “লিভিং এপার্ট টুগেদার ট্রেন্ড” অর্থাৎ আলাদা বাড়িতে থাকা এবং সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা।
“লিভিং অ্যাপার্ট টুগেদার” প্রবণতা কী
একত্রে আলাদা থাকা” এর অর্থ হল যে দুজন মানুষ একই ছাদের নীচে বাস করে না যদিও তারা একটি রোমান্টিক সম্পর্কে থাকে। তারা আলাদা বাড়িতে থাকে, কিন্তু একে অপরের সাথে নিয়মিত দেখা করে, সময় কাটায় এবং একে অপরকে সমর্থন করে। এই প্রবণতা তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কারণ এটি তাদের স্বাধীনতা বজায় রাখতে এবং একই সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
এই প্রবণতা পিছনে কারণ
- স্বাধীনতা- অনেক তরুণ-তরুণীর জন্য তাদের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। “একসাথে আলাদা থাকা” তাদের ব্যক্তিগত স্থান এবং রুটিন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- ব্যক্তিগত বিকাশ- এই প্রবণতা মানুষকে তাদের ব্যক্তিগত লক্ষ্যে ফোকাস করার এবং তাদের কর্মজীবনে আরও ফোকাস করার জন্য সময় এবং সুযোগ দেয়।
- সম্পর্কের রোমাঞ্চ- যখন লোকেরা একে অপরকে সব সময় দেখতে পায় না, তখন নতুন দম্পতি হিসাবে তাদের মধ্যে একই কৌতূহল এবং উত্তেজনা থাকে।
- চাপ কমে- অনেকেই বিয়ে বা একসাথে থাকার চাপ এড়াতে এই বিকল্পটি বেছে নেন।
- আর্থিক স্বাধীনতা- এই প্রবণতা মানুষকে আর্থিকভাবে স্বাধীন থাকতে সাহায্য করতে পারে।
We’re now on WhatsApp- Click to join
এই প্রবণতা সুবিধা
- ব্যক্তিগত বিকাশ- এই প্রবণতা মানুষকে তাদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের এবং তাদের আগ্রহগুলি অনুসরণ করার সুযোগ দেয়।
- সম্পর্কের দৃঢ়তা– যখন মানুষ একে অপরকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী সময় দেয়, তখন তাদের মধ্যে একটি গভীর বন্ধন তৈরি হয়।
- স্বাধীনতা- এই প্রবণতা মানুষকে তাদের স্বাধীনতা বজায় রাখায় এবং তাদের পছন্দ অনুযায়ী জীবনযাপন করার স্বাধীনতা দেয়।
- কম চাপ– মানুষ যখন আলাদা বাড়িতে থাকে, তখন তাদের মধ্যে অশান্তি মারামারি,ঝগড়াঝাটি সম্ভাবনা কম থাকে।
We’re now on Telegram – Click to join
Read more :- সুখী দাম্পত্য জীবনের সাতটি প্রধান রহস্য জেনে নিন
এটা কোন অসুবিধা আছে?
- দূরত্ব– যখন মানুষ একে অপরের থেকে দূরে থাকে, তখন তাদের মধ্যে মানসিক দূরত্ব বাড়তে পারে।
- একাকীত্ব- কখনও কখনও মানুষ একাকী বোধ করতে পারে, বিশেষ করে যখন তারা অসুস্থ বা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
- সময়ের অভাব- মানুষ যখন বিভিন্ন জায়গায় থাকে, তখন তাদের একে অপরের জন্য কম সময় থাকে।
- মানসিক অস্থিরতা- এই প্রবণতা কিছু মানুষের জন্য মানসিকভাবে অস্থির হতে পারে।
- বেশি খরচ- দুটি ভিন্ন বাড়িতে থাকার কারণে দম্পতিদের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। এর কারণে অনেককেই আর্থিক বোঝা বহন করতে হয়।
এই প্রবণতা কি ভারতেও পছন্দ করা হচ্ছে?
এমনকি ভারতেও, “একত্রে আলাদা থাকার” প্রবণতা এখনও এতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি, তবে এটি সম্পূর্ণ নতুন ধারণাও নয়। মেট্রো শহরে বসবাসকারী অনেক দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে এই প্রবণতা অনুসরণ করছেন। পারিবারিক বা চাকরির কারণে একে অপরের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তারা আলাদা বাড়িতে থাকতে পছন্দ করে।
এরকম জীবনধারা মূলক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।