Mamata Banerjee News: দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় কৃষক মোর্চার আন্দোলনকে জোরদার করতে পঞ্জাবে যেতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata Banerjee News: উল্লেখ্য, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় আসার নেপথ্যেও ছিল বাংলার কৃষক আন্দোলন

 

হাইলাইটস:

  • দিল্লি-হরিয়ানা সীমানা ফের শুরু হয়েছে কৃষক আন্দোলন
  • তবে এবার শুধু প্রতীকি প্রতিবাদ নয়, আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে পঞ্জাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
  • সূত্রের খবর, আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি তিনি পঞ্জাব যাচ্ছেন

Mamata Banerjee News: ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা-সহ একগুচ্ছ দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। কেন্দ্রের উপর আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করতে দিল্লি যাত্রার ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলিও। এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে পাঞ্জাব যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত মঙ্গলবারই দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের উপর ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, শুধু প্রতীকি প্রতিবাদ নয়, আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পঞ্জাবে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে পৌঁছনোর কথা রয়েছে তাঁর। জানা যাচ্ছে, দিল্লি ও পঞ্জাবের আপ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকনেতাদের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন। এর আগেও কৃষকদের দাবিদাওয়া এবং তাঁদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ২০২১ সালের বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা রাকেশ টিকায়েত-সহ পঞ্জাবের কৃষক নেতারা এ রাজ্যে এসে তৃণমূলের হয়ে প্রচারও চালিয়েছিলেন।

We’re now on WhatsApp – Click to join

বছর কয়েক আগে সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষক আন্দোলন চলাকালীনও কৃষকনেতাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদলকেও পাঠিয়েছিলেন তিনি। এবারও লোকসভা নির্বাচনের আগে কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে। এই রকম পরিস্থিতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যদি আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেন, তাহলে তা বিরোধী জোটের মনোবল বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে পৌঁছে প্রথমে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তারপর কৃষকনেতাদের পাশাপাশি আপ-শাসিত দিল্লি এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও ভগবন্ত সিং মানের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে লোকসভা নির্বাচন আগে সিট শেয়ারিং নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরেও টানাপড়েন চলছে। বিশেষ করে বাংলায় তৃণমূল এবং পঞ্জাবে আপ জানিয়েই দিয়েছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে তারা একলাই লড়বে। আবার দিল্লিতেও কংগ্রেসকে মাত্র একটি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে আপ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে কেজরিওয়ালের সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে আবারও কৃষক আন্দোলন মাথাচাড়া দেওয়ায় ইতিমধ্যে চিন্তার মেঘ দেখছে বিজেপি। এই আন্দোলন যদি একইভাবে জারি থাকে তবে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে খানিকটা হলেও চিড় ধরতে পারে। আর দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেটা জানেন খুব ভালোভাবে। সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে কৃষক আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিয়েই তিনি ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

এইরকম রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.