Benefits of shaving daily: নিয়মিত দাড়ি কাটার ফলে কী ক্ষতি হচ্ছে ত্বকের? সত্য জেনে বেরিয়ে আসুন ভুল ধারণা থেকে

Benefits of shaving daily: প্রতিদিন দাড়ি কাটার অভ্যাস উপকার করবে আপনার ত্বকের

হাইলাইটস:

• প্রতিদিন দাড়ি কাটলে সুস্থ থাকবে আপনার ত্বক

• ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরবে প্রতিদিন দাড়ি কাটলে

• জানুন দাড়ি কাটার বিষয়ে ভুল ধারণাগুলি

Benefits of shaving daily: একগাল দাড়ি রাখাটা এখন ট্রেন্ডিং-এ। বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে রবীন্দ্র জাদেজা, ওদিকে বলিউডের রণবীর কাপুরও হালে ঘন দাড়িতে মুখ ঢেকেছেন নিজের। বেশিরভাগ ইয়ং জেনারেশনের যুবকরাই এখন একগাল দাড়ি রাখতে পছন্দ করছেন।

এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে, ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’ এর ফলে দাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়লেও তাতে ত্বকের আদেও উপকার হচ্ছে কি? এই উত্তরের সন্ধান পাওয়া না গেলেও একথা প্রমাণিত যে নিয়মিত দাড়ি কাটলে ত্বকের হাল ফেরে। বিশেষ করে সঠিক সময় অন্তর নিয়ম মেনে দাড়ি কাটলে মেলে একাধিক উপকার। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপকারী দিকগুলি।

• মৃত কোষের স্তর সরে গেলে ত্বকের হারানো জেল্লা ফেরে:

যখন শেভিং করা হয় তখন দাড়ির কাটার পাশাপাশি সরে যায় ত্বকের উপর জমতে থাকা মৃত কোষের স্তরও। ফলে ফিরে আসে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক জেল্লা। তাছাড়া দাড়ি কাটার পরে আফটার শেভের ছোঁয়ায় গালে এবং মনে যে ঠান্ডা হওয়া খেলে যায়, যা বেশ আরামদায়ক। এই অনুভূতি বড়ই সুখকর। তাই মাঝে মধ্যে ত্বক ব্লেডের ছোঁয়া পেলে কোনও ক্ষতির বদলে হাতেনাতে উপকার মিলবে।

• ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে:

নিয়মিত দাড়ি কাটার ফলে ত্বক ভিতর থেকে নিজের ক্ষত সাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়। সাথে সাথে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় মেলানিন সঠিক মাত্রায় উৎপাদন হয়। যার কারণে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মিতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কম হয়। সেই সঙ্গে ফিরে আসে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক জেল্লা। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে যদি ৫দিন শেভিং করা যায় তাহলে ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেলের ক্ষরণ হয় না। ফলে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা কমে।

• অসময়ে বয়সের ছাপ পড়ে না ত্বকে:

নিয়মিত শেভিং করার ফলে ত্বকের উপরিঅংশে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর সরে। যার ফলে মেলানিন এবং কেরাটিনের উৎপাদন ঠিক মাত্রায় হয়,এই দুটি উপাদান ঠিক মত উৎপাদনের কারণে অসময়ে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার আশঙ্কা থাকে না। প্রসঙ্গত, শেভিং করার সময় ব্যবহৃত ক্রিম বা জেল ত্বকের অন্দরে পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এই কারণেও ত্বক টানটান থাকে এবং আশঙ্কা কমে অসময়ে বয়সের ছাপ পড়ার।

• দাড়ি কাটার বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা:-

১. ‘বারবার শেভিং করলে দাড়ি ঘন হয়’:

এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল। দাড়ির রং এবং তা ঘন হবে না পাতলা হওয়া সম্পূর্ণভাবে জিনের উপর নির্ভরশীল। কে কতবার দাড়ি কাটছে তার তার সাথে এই বিষয়গুলির একাবরেই সম্পর্কিত নয়।

২. ‘চেপে দাড়ি কাটতে হয় ক্লিন শেভের জন্য’:

চেপে দাড়ি কাটলে আলাদা করে কোনো উপকার মিলবে না তো বটেই তার সাথে গাল কেটে যাওয়ার আশঙ্কাও বাড়বে। চেপে দাড়ি কাটার ফলে গালের উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ে। ফলস্বরূপ ব্লেডের চাপে গালের চামড়া কেটে যেতে পারে। তাই ব্লেড ধারালো হলে চেপে দাড়ি কাটা একেবারেই অনুচিত। ‘ক্লিন শেভ’ করার জন্য আলতো হাতে দাড়ি কাটতে হবে।

৩. ‘অন্যের রেজার ব্যবহারে ক্ষতি হয়না’:

অন্যের রেজার ব্যবহার করে দাড়ি কাটলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবনা বাড়ে। অন্যের রেজার ব্যবহার করে দাড়ি কাটার সময় কেটে গেলে সেখান থেকে ইনফেকশন হতে পারে। এমনকী তার দেহে যদি কোন সংক্রামক রোগ থেকে থাকে, সেই রোগও ছড়িয়ে পড়তে পারে এক থেকে অন্যের শরীরে। এমনকী মহিলাদের রেজার ব্যবহার করাও উচিত নয়। মনে রাখবেন, মেয়েদের জন্য তৈরি রেজারের কাজ এবং পুরুষদের জন্য তৈরী রেজারের কাজ ভিন্ন।

৪. ‘শেভিং ক্রিম বা জেল ব্যবহার না করে দাড়ি কাটলেও চলবে’:

শেভিং ক্রিম বা জেল না লাগিয়ে দাড়ি কাটা অনুচিত। কারণ এই ধরনের ক্রিম এবং জেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে দাড়ি কাটার সময় ত্বকের ভিতরে প্রদাহের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে নানান ধরনের ত্বকের রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.