Bangladesh News: বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে
হাইলাইটস:
- নিপাহ ভাইরাস রোধে এবার কঠোর বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
- খেজুরের কাঁচা রস বিক্রি বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়েছে
- নিপাহ ভাইরাস থেকে বাঁচতে খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া বন্ধ করতে হবে বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
Bangladesh News: বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শুধু তাই নয়, কেউ যদি কাঁচা রস খেতে চান তবে বিক্রেতাদের প্রতিও অনুরোধ জানানো হয়েছে, তারা যেন এই রস বিক্রি না করে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জুনেটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ডেপুটি ম্যানেজার শ. ম. গোলাম কায়ছার গণমাধ্যমে জরুরি স্বাস্থ্য বার্তা পাঠিয়ে এ সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, সাধারণত শীতকালে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। খেজুরের এই কাঁচা রস বাদুড়ের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয়। তাই ওই বিষ্ঠা বা লালাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু লেগে থাকে। ফলে খেজুরের এই কাঁচা রস পান করলে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোনও বাধা নিষেধ নেই বলেই জানানো হয়েছে।
তবে সর্তকবার্তায় আরও বলা হয়েছে, নিপাহ ভাইরাস থেকে বাঁচতে শুধুমাত্র খেজুরের কাঁচা রস খাবেন না তা নয়, আংশিক খাওয়া ফলও খাওয়া যাবে না। এছাড়া ফলমূল জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে।
উল্লেখ্য, কারও যদি এ রোগে লক্ষণ দেখা দেয় তবে তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে যদি কেউ আসে তবে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমান সময়ে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশু এবং কিশোররাও নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাছি বা বিক্রেতাকে এবং জনসাধারনগণকে সংক্রামক নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করা হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা অনেকটাই সম্ভব।
আইইডিসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ সালে বাংলাদেশে মোট ১৪ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত সাত বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। আর মৃত্যুও গত আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ২০০১ সালে বাংলাদেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ মেলে। এখনও পর্যন্ত মোট ৩৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। এখনও পর্যন্ত ২৪০ জনের মৃত্যুও হয়েছে। এমনকি দেশের মধ্যে প্রায় ৩৪টি জেলায় এই ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।
এইরকম বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।