J&K Mysterious Disease: জম্মু ও কাশ্মীরে রহস্যময় রোগের কারণে ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, জেনে নিন এর লক্ষণ ও এড়ানোর উপায়
১২ই জানুয়ারি, ১০ বছরের একটি মেয়ে মারা যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাকিনা মাসুদ এই মৃত্যুর পিছনে একটি রহস্যময় রোগ দায়ী হওয়ার সম্ভাবনাকে অস্বীকার করেছেন।
J&K Mysterious Disease: মৃত ব্যক্তিদের নমুনায় ‘নিউরোটক্সিন’ পাওয়া গিয়েছে, এই রাসায়নিকটি স্বাস্থ্যের কীভাবে ক্ষতি করে? জানুন
হাইলাইটস:
- গতবছর জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার বাধল গ্রামে দুটি পরিবারের নয়জন সদস্য এক রহস্যময় রোগে প্রাণ হারিয়েছেন
- স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাকিনা মাসুদ এই মৃত্যুর পিছনে একটি রহস্যময় রোগ দায়ী হওয়ার সম্ভাবনাকে অস্বীকার করেছেন
- মৃত ব্যক্তিদের নমুনায় ‘নিউরোটক্সিন’ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
J&K Mysterious Disease: জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) একটি রহস্যময় রোগে এখনও পর্যন্ত ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। বুধবার রাতে রাজৌরি জেলার বাধল গ্রামে এই রোগে ৯ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। ২০২৪ সালের ৭ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর গ্রামে দুটি পরিবারের নয়জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। ১১ই জানুয়ারি মহম্মদ আসলামের ছয় সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে, যার মধ্যে চারজন মারা যান।
We’re now on WhatsApp – Click to join
১২ই জানুয়ারি, ১০ বছরের একটি মেয়ে মারা যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাকিনা মাসুদ এই মৃত্যুর পিছনে একটি রহস্যময় রোগ দায়ী হওয়ার সম্ভাবনাকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন যে রাজ্যের ভিতরে এবং বাইরে পরিচালিত সমস্ত তদন্তের ফলাফল নেতিবাচক এসেছে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন জাগে এই রোগটি কী এবং এতে কী কী লক্ষণ দেখা যায়?
কেন প্রাণ হারাচ্ছে?
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাকিনা মাসুদ বলেন, রহস্যজনক কোনো রোগে এসব মৃত্যু হলে এতদিনে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ত কিন্তু তা মাত্র তিনটি পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে মৃত ব্যক্তিদের নমুনায় ‘নিউরোটক্সিন’ (Neurotoxin) পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন কয়েকজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে এই রোগের বিষয়ে সহায়তা নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পুনের ICMR, দিল্লির NCDC, গোয়ালিয়রের DRDO এবং PGI চণ্ডীগড়। এসব পরীক্ষায় কোনো নেতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়নি। এমনকি জল ও খাবারের নমুনা পরীক্ষাতেও কোনো বিষাক্ত পদার্থ ধরা পড়েনি।
We’re now on Telegram – Click to join
নিউরোটক্সিন কী?
নিউরোটক্সিন হল এক ধরনের রাসায়নিক, যা মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রকে বাজে ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি খাদ্য, কীটনাশক বা যে কোনো জীবের কামড় বা অন্যান্য মাধ্যমে শরীরে পৌঁছাতে পারে। এটি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা নির্ভর করে এর মাত্রা ও প্রকারের উপর।
নিউরোটক্সিনের লক্ষণগুলি কী কী?
১. মাথাব্যথা এবং মাথা ঘোরা
২. ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
৩. স্মৃতিশক্তি এবং একাগ্রতা হ্রাস
৪. মেজাজ পরিবর্তন এবং চাপ
৫. হজমের সমস্যা
৬. ত্বক ও চুলের সমস্যা
Read more:- HMPV ভাইরাস কি করোনার মত দ্রুত ছড়ায়? এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার সেরা উপায় জানুন
নিউরোটক্সিন এড়াতে কী করবেন
১. স্বাস্থ্যকর খাবার খান, তাজা ফল, শাকসবজি খান।
২. পর্যাপ্ত জল পান করা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং রোগ-জীবাণু দূর করে।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
৪. যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং অন্যান্য উপায়ের মাধ্যমে মানসিক চাপ হ্রাস করুন।
৫. কীটনাশকএবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ এড়িয়ে চলুন।
৬. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।