Highest Shiva Temple In The World: বিশ্বের উচ্চতম শিব মন্দিরের সাথে যোগ রয়েছে পুরানের, জেনে নিন এই মন্দির সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

Highest Shiva Temple In The World: বিশ্বের উচ্চতম শিব মন্দিরে পৌঁছতে হয় ট্রেক করে, অপূর্ব সেই পথ বর্ষাকালে কিন্তু বেশ বিপদজনক

হাইলাইটস:

• পঞ্চকেদারের তৃতীয় কেদার ‘তুঙ্গনাথ’ হল বিশ্বের উচ্চতম শিব মন্দির

• পুরান অনুযায়ী পঞ্চ পান্ডবদের তৃতীয় পান্ডব অর্জুন এই মন্দিরটি স্থাপন করেছিলেন

• কথিত আছে লঙ্কেশ্বর রাবণও এই মন্দিরে তপস্যা করেছিলেন

Highest Shiva Temple In The World: এখন শ্রাবণ মাস। আর এই শ্রাবণ মাস শিবের মাস বলে মনে করা হয়। তাই ভক্তরা গোটা মাস জুড়ে শিবের আরাধনা করেন। কিন্তু জানেন কি বিশ্বের কোথায় অবস্থিত দেশের উচ্চতম শিবমন্দির? পঞ্চকেদারের তৃতীয় কেদার ‘তুঙ্গনাথ’ হল বিশ্বের উচ্চতম শিব মন্দির। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অবস্থিত এই মন্দিরটি। অলকানন্দা ও মন্দাকিনী উপত্যকার উপর ১২,৮০০ ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তুঙ্গনাথ। সম্প্রতি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই তুঙ্গনাথের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে ৫-৬ ডিগ্রি হেলে পড়েছে বিশ্বের উচ্চতম শিবমন্দির। এমনকী প্রায় ১০ ডিগ্রি হেলে গিয়েছে এই মন্দিরের ছোট-ছোট কাঠামোগুলোও। তাই সময় থাকতে ভ্রমণ করে আসুন তুঙ্গনাথ।

পুরাণের সাথেও যোগ রয়েছে বিশ্বের উচ্চতম শিবমন্দিরের। পুরাণ অনুযায়ী, এই শিবমন্দির স্থাপন করেছিলেন অর্জুন। শিবের হৃদয় ও বাহু এই মন্দিরে পূজিত হয়। কথিত আছে, এই মন্দিরে তপস্যা করেছিলেন লঙ্কাপতি রাবণ। এমনকী রাবণ বধের পর রামচন্দ্রও তপস্যা করেছিলেন তুঙ্গনাথ মন্দিরে। তুঙ্গনাথকে ঘিরে এমন বহু পুরাণ কাহিনি প্রচলিত রয়েছে।

তুঙ্গনাথ পৌঁছনো যায় ট্রেক করে। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ যাত্রা শুরু হয়। চোপতা থেকে বুগিয়ালের পথ ধরে তুঙ্গনাথে যেতে হয়। উত্তরাখণ্ডের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এই চোপতা। বুগিয়ালের পাইন, ওক, ম্যাপেল, রডোডেনড্রনের পথ ধরে তুঙ্গনাথের উদ্দেশ্যে হাঁটতে হয়। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ যেতে প্রায় ৪ কিলোমিটারের হাঁটতে হয়।

কেদারনাথের মতোই গ্রানাইট পাথরে তৈরি তুঙ্গনাথ মন্দির। এই মন্দিরের দেওয়াল জুড়ে রয়েছে সুন্দর কারুকার্য এবং চূড়ায় রয়েছে তামার পাত। মন্দিরের সামনে রয়েছে পঞ্চেশ্ব‌রী মাতা, গৌরীশংকর, নন্দীদেব, ভগবান বিষ্ণু ও ভৈরবনাথ। মন্দিরের ভিতরে ঢুকলেই দেখতে পাবেন শিব লিঙ্গ, ঋষি বেদব্যাস, কালভৈরব ও আদিশংকরাচার্য‌ের তৈলচিত্র।

তুঙ্গনাথে সবচেয়ে বেশি ট্রেক করা হয় গ্রীষ্ম ও শীতে। বর্ষার সময় এই ট্রেক না করাই ভালো। তবে, পুজোর সময় তুঙ্গনাথ যাত্রার সুযোগ রয়েছে। পর্যটকদের জন্য নভেম্বর মাস পর্যন্ত তুঙ্গনাথের দরজা খোলা থাকে। তারপর আবার শীতে তুঙ্গনাথের ট্রেক শুরু হয়। যদিও ঠান্ডার জন্য তুঙ্গনাথে ছয় মাস পুজো-পাঠ বন্ধ থাকে।

এইরকম ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.