DC vs GT Match Highlights: ঋষভ-অক্ষরের তান্ডবে ব্যাটিং! কুলদীপের স্পিনের ভেলকি! রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে গুজরাতকে ৪ রানে হারালো দিল্লি

DC vs GT Match Highlights: মিলার-রশিদের লড়াইয়েও রুদ্ধশ্বাস জয় দিল্লির

 

হাইলাইটস:

  • শুরুটা ভালো না হলেও ঋষভ-অক্ষরের ইনিংসে ভর করে গুজরাতকে ২২৫ রানের টার্গেট দিয়েছিল দিল্লি
  • শেষ চার ওভারে টাইটান্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭৩ রান
  • ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিল

DC vs GT Match Highlights: আইপিএল ২০২৪-এ আরও একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সাক্ষী থাকলো ক্রিকেট প্রেমীরা। গুজরাতকে ২২৫ রানের টার্গেট দিয়েছিল দিল্লি। শেষ বল পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা। শুরুতেই ক্যাপ্টেনের উইকেট হারায় গুজরাত। এরপরও মাত্র ৪ রানে ম্যাচ হারে গুজরাত টাইটান্স। ব্যাটার-কিপার-ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স। ব্যাটিংয়ে সঙ্গী অক্ষর প্যাটেল ও বোলিংয়ে কুলদীপ যাদব। এ সবের পরেও কষ্টার্জিত জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের।

শুরুটা ভালো হয়নি দিল্লির। তবে অক্ষর, ঋষভ এবং ত্রিস্তান স্টাবসের অনবদ্য ব্যাটিং দিল্লিকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেয়। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক শুভমন গিলের উইকেট হারায় টাইটান্স। তবে ঋদ্ধিমান সাহা এবং ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যাট করতে আশা সাই সুদর্শন ম্যাচে রাখে গুজরাতকে। কুলদীপ যাদবের স্পিনের ভেলকি দিল্লিকে সাময়িক ম্যাচে ফেরায়। শেষ চার ওভারে টাইটান্সের প্রয়োজন ছিল ৭৩ রান। ১৭তম ওভারে অনরিখ নর্টজেকে ২৪ রান মারেন ডেভিড মিলার। মাত্র ২১ বলেই হাফসেঞ্চুরি করেন মিলার।

We’re now on WhatsApp – Click to join

উল্টোদিকে ছিলেন রশিদ খান। এই জুটি ভাঙতে পারলেই চাপ কমত দিল্লির। পরের ওভারে মুকেশ কুমারের বোলিংয়ে রশিদ খানের ক্যাচ ফেলেন অভিষেক পোড়েল। তবে ১৮ তম ওভারে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন মিলার। ২৩ বলে ৫৫ রান করেন তিনি।

শেষ ২ ওভারে গুজরাতের দরকার ছিল ৩৭ রান। ক্রিজে রশিদ খান থাকায় তখনও বেশ চাপে ছিল দিল্লি। এর আগে রাজস্থানের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন রশিদ। ১৯তম ওভারে বাউন্ডারি লাইনে অবিশ্বাস্য ফিল্ডিং করেন ত্রিস্তান স্টাবস। গুরুত্বপূর্ণ ৫ রান বাঁচান স্টাবস। কিন্তু সাই কিশোর পরপর দুটি ছয় মেরে আবারও দিল্লিকে চাপে ফেলে দেন। রশিকের শেষ বলে বোল্ড হন সাই কিশোর।

স্ট্রাইকে ছিলেন রশিদ খান। জয়ের জন্য টাইটান্সের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। মুকেশ কুমারকে বাউন্ডারি মেরে স্বাগত জানান রশিদ খান। পরের বলও বাউন্ডারি মারেন। স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখতেই তৃতীয় বলে কোনও রান নেননি রশিদ। তিন বলে বাকি ছিল ১১ রান। চতুর্থ বলেও কোন রান হয়নি। এখন টাইটান্স তথা রশিদের কাছে দুটো ছয় মারা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। পঞ্চম বলে ছয় মেরে সেই প্রত্যাশাই জাগিয়ে তোলেন। শেষ বলে ৬ হলে জয়, ৪ মারলে সুপার ওভার। কিন্তু দুটোর কোনওটাই হল না। মাত্র ৪ রানের জয় পেল দিল্লি ক্যাপিটালস।

আইপিএল সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.