Mamata Banerjee: ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বড় কর্মসূচি মুখ্যমন্ত্রীর, প্রস্তুতি তুঙ্গে

Mamata Banerjee: নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজয়া সম্মিলনী পালন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

হাইলাইটস:

  • আজ তৃণমূলের বড় কর্মসূচি
  • ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বড় কর্মসূচি তৃণমূল সুপ্রিমোর
  • পায়ের চোট সেরে যাওয়ার পর এই প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন মুখ্যমন্ত্রী

Mamata Banerjee: পায়ে চোট লাগার কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো প্রায় ৫০ দিন গৃহবন্দী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি পুজো উদ্বোধনও কালীঘাট থেকে ভার্চুয়ালি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পায়ের চোট থেকে সুস্থ হওয়ার ৫০ দিন পর নবান্নে এসেছিলেন তিনি।

সমানেই লোকসভা নির্বাচন। যার ফলে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে বড়সড় কর্মসূচির আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সোমবার ভবানীপুরে বিধানসভা কেন্দ্রে কর্মী সম্মেলন করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে চোট সেরে সুস্থ হওয়ার পর এটিই তাঁর প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি।

শাসক দলের নেতৃত্বে প্রতিটি জেলাতেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন হয়ে হয়েছে। যার ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, নিজের বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মূলত বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ই করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। গত বছরও একই ভাবে উত্তীর্ণ প্রেক্ষাগৃহে এই ধরনেরই কর্মী সম্মেলন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

তৃণমূল সূত্রে খবর, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত যে আটটি পুরসভার ওয়ার্ড রয়েছে, সেই ওয়ার্ডগুলির কাউন্সিলর এবং ব্লক সভাপতি এবং কর্মীরাও এই বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিতে আজ উত্তীর্ণয় আসবেন। বিশেষ করে বলা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এহেন রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজন প্রশাসন এবং দলগতভাবে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য, ভবানীপুর বিধানসভা এমন একটি এলাকা, যেখানে নানা ভাষাভাষি মানুষের সাথে সাথে বিভিন্ন ধর্মের মানুষও বসবাস করেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁদের সামনেই কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনা সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের মতো একাধিক অভিযোগকেই মূল অস্ত্র বানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী৷ অন্যদিকে আগামী ২৩শে নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোরে সকল স্তরের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়েও সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

আজকের বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করার জন্য গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের সভাপতি তথা রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমারকে। এছাড়া গোটা বিষয়টি দেখভাল করছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। এই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কী বার্তা দিতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এইরকম রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.