Mamata Banerjee: “ঔদ্ধত্যে অন্ধ হয়ে গিয়েছে”, অভিষেক সহ তৃণমূল নেতাদের হেনস্থার অভিযোগে বিজেপিকে তীব্র নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে 

 

হাইলাইটস:

  • তৃণমূলের দিল্লি চলো অভিযানের দ্বিতীয় দিনে কৃষি ভবন থেকে আটক করা হয় অভিষেক সহ তৃণমূলে নেতাকর্মীদের
  • এরই প্রতিবাদে বিজেপিকে তীব্র নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর
  • নিজের ক্ষোভ উগরে দিলে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে

Mamata Banerjee: একদিকে যেমন দিল্লিতে তৃণমূল নেতানেত্রীদের ওপর দিল্লি পুলিশের হেনস্থার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে ঠিক অন্যদিকে বাংলায় বসে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উপর গর্জে উঠলেন। কৃষি ভবন অভিযানে তৃণমূল নেতানেত্রীদের আটক হওয়ার ঘটনাকে গণতন্ত্রের কালো দিন বলে লিখলেন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে।

মঙ্গলবার তৃণমূলের দিল্লি চলো অভিযানের দ্বিতীয় দিনে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া আদায়ের দাবিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কৃষি ভবনে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করা। তৃণমূলের অভিযোগ, আগে থেকে কথা দেওয়া থাকলেও তৃণমূলের ওই প্রতিনিধি দলে থাকা ১০০ দিনের শ্রমিক এবং আবাস যোজনার সুবিধাভোগীদের সাথে দেখা করতে কার্যত অস্বীকার করেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি৷

ঠিক এরপরেই কৃষি ভবনেই ধর্নায় বসেন অভিষেক সহ তৃণমূল নেতারা৷ তবে দিল্লি পুলিশের তরফে তৃণমূল নেতাদের সেখান থেকে কার্যত চ্যাংদোলা করে টেনে হিচরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ ক্যাম্পে। এমনকি তৃণমূলের মহিলা নেত্রীদের সাথেও টানা হিঁচড়া করা হয়। যার একটি ভিডিও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন। আর এই ঘটনাকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “বিজেপির এই আচরণ আবারও প্রমাণ করল, বাংলার মানুষকে তারা ঠিক কতটা অসম্মান করে এবং রাজ্যের মানুষের প্রাপ্য অধিকারকেও মর্যাদা দেয় না৷ প্রথমে এরা খুব দায়সারা ভাবে বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের প্রাপ্য টাকা আটকে রাখল৷ আবার যখন আমাদের প্রতিনিধি দল মানুষের অসুবিধা তুলে ধরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে গেল, তখন তাঁদের সঙ্গেও নির্মম আচরণ করা হল৷ প্রথমে রাজঘাটে এবং তারপর কৃষি ভবনে৷”

এখানেই শেষ নয়, তিনি দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, “বিজেপির শক্ত হাত হিসেবে দিল্লি পুলিশ আজ নির্লজ্জের মতো আমাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে এবং তাঁদের ঠিক অপরাধীদের মতো টানতে টানতে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে গিয়েছে৷ কারণ আমাদের প্রতিনিধিরাই ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে সত্যি কথা বলার সাহস দেখিয়েছেন৷ অহঙ্কার এবং জেদ ওদের সম্পূর্ণ অন্ধ করে দিয়েছে৷ বাংলার মানুষের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে ওরা আজ সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে৷” সব শেষে তিনি লিখেছেন, “কিন্তু আমরা ভয় করব না ভয় করব না, দু বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।”

এদিকে মঙ্গলবার রাতে দিল্লি পুলিশের হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ‘সিপিএম সিঙ্গুর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চুলের মুঠি ধরে বের করে দিয়েছিল, আর তার ফল কী হয়েছিল সবাই দেখেছেন৷ তৎকালীন শাসক দলের পতন হয়েছিল৷ গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলেন৷ আজকে যে স্বৈরচারিতার চরম নিদর্শন করে মানুষের প্রতিনিধিদের হেনস্থা করলেন, সেই স্বৈরচারী সরকারের পতন কিন্তু অবশ্যম্ভাবী৷’

এইরকম রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন। 

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.