Stomach Cooling Foods: এই জ্বালাপোড়া গরমে পেটকে ঠান্ডা রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৫টি ফলমূল

Stomach Cooling Foods: প্রচন্ড দাবদহে এই খাবারগুলি খাদ্যতালিকায় রাখতে ভুল করবেন না

হাইলাইটস:

• আবারও বঙ্গবাসী একইভাবে তীব্র দাবদহের কবলে পড়েছেন

• এইসময় শরীরের পাশাপাশি পেটকে সুস্থ রাখাও জরুরি

• পেটকে ঠান্ডা রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৫টি ফলমূল

Stomach Cooling Foods: ইতিমধ্যে গরম বঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দিয়েছে। সূর্যের চোখরাঙানিতে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। প্রখর সূর্যের তাপে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে এই গরমে ঘেমেনেয়ে শরীর থেকে নুন বেরিয়ে যায়। তাই অল্পেই ডিহাইড্রেশনের শিকার হতে হচ্ছে এই সময়। শুধু ডিহাইড্রেশন অথবা হিট স্ট্রোক না গরমে পেট ঠান্ডা রাখাটা খুবই জরুরি। নইলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বমি এবং ডায়ারিয়ার মতো রোগ হয়ে দাঁড়াবে নিত্যদিনের সমস্যা। তাই এই গরমে মশলা জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে এমন খাবারই খাওয়া উচিত, যাতে পর্যাপ্ত জল আছে। তাই এই জ্বালাপোড়া গরমে পেটকে ঠান্ডা রাখতে আপনার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে এই খাবারগুলি (Stomach Cooling Foods) –

১. তরমুজ:

https://www.instagram.com/p/BqXPoQ8nbw3/?igshid=NTc4MTIwNjQ2YQ==

এখন বাজার ছেয়ে গেছে তরমুজে। মনে রাখবেন, তরমুজে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল। তাই শরীর এবং পেট সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আপনাকে কয়েক টুকরো তরমুজ রাখতেই হবে। ঠান্ডা ঠান্ডা তরমুজ এই গরমে আপনার শরীর এবং পেটকে দেবে প্রশান্তি। তরমুজের মধ্যে থাকা ৯০ শতাংশ জল কিন্তু শরীরকে অনেকটা সময় পর্যন্ত হাইড্রেটেড রাখতে পারে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন যা শরীরকে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও বাঁচাতে পারে। অন্যদিকে তরমুজে থাকে প্রয়োজনীয় ফাইবারও। যা পেট অনেকটা সময় ভর্তি রাখতেও সাহায্য করে। ফলে এই তীব্র দাবদহের হাত থেকে তরমুজ কিছুটা হলেও আপনাকে বাঁচাতে পারে।

২. শসা:

শশা হল সবচেয়ে সস্তা পুষ্টিকর একটি ফল। এই গরমে শসা আপনাকে ঠান্ডা রাখতে অনেকটা সাহায্য করতে পারে। গরমে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। তাই শসা খেলে দেহে জলের ঘাটতি মেটে। এই ফল আপনি সারাবছরই বাজারে পেয়ে যাবেন। শসায় প্রচুর পরিমাণ জল থাকার কারণে এটি গরমের জনপ্রিয় ফল হিসেবে খাদ্যতালিকায় শুরুর দিকে থাকে। এতে থাকে ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, যা শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেয় না। শরীরকেও ঠাণ্ডা রাখে। এছাড়া এতে আছে ফাইবারের প্রাচুর্য। তাই এটি পেটের সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করে এবং পেটকে ঠান্ডা রাখে। তাই প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় একটি করে শশা রাখুন। দেখবেন শরীরে সঙ্গে সঙ্গে পেটও ঠান্ডা থাকবে।

৩. পুদিনাপাতা:

পুদিনা পাতা মূলত গ্রীষ্মকালে খাওয়া হয়। এই সময় বাজারে খুব কম দামেই পাওয়া যায় পুদিনা পাতা, যা শরীর এবং পেটকে ঠাণ্ডা এবং সতেজ রাখার অন্যতম উপাদান। এই তীব্র গরমের সাথে মোকাবিলা করার জন্য অনায়াসে নানাভাবে পুদিনাপাতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এক গ্লাস ঠান্ডা জলে পুদিনাপাতার গুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও ভালো ফল পাবেন। এছাড়া বাজারে ‘মিন্ট টি’ কিনতে পাওয়া যায়, সেটা খাওয়ার অভ্যাস করলেও গরমে প্রশান্তি পাবেন। এতে আপনার শরীর এবং পেট ভালো থাকবে।

৪. ছাতুর শরবত:

ছাতু গরমকালে খাওয়ার মতো একটি সুপার কুল এবং এনার্জি সমৃদ্ধ খাবার। এটি মূলত পুষ্টিগুনে ভরপুর, তার সাথে জলেরও ঘাটতি মেটাতে পারে এটি পানীয় আকারে পান করলে। গরমকালে এটি শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রেখে শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে। এতে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম সহ একাধিক জরুরি উপাদান। যা দেহেরও পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। তাছাড়া ছাতুর শরবত খেলে দেহে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং জলের ঘাটতিও মেটে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একগ্লাস করে ছাতুর শরবত রাখা জরুরি।

৫. টক দই:

দই শুধুমাত্র অন্ত্রের জন্য ভালো না, পেট ঠান্ডা করতেও কাজে লাগে। পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার কাজে দইয়ের থেকে উপকারী খাবার খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তাছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে দই। অন্যদিকে দই খাওয়া হার্ট এবং ত্বকের জন্য খুবই ভালো। এতে রয়েছে প্রোবায়োটিক। এই প্রোবায়োটিক অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। এই কারণে দই খেলে হজমের সমস্যা, গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফলে পেট থাকে ঠান্ডা। ফলে তিনবেলা নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি কিছুটা পরিমান টক দই খেতে পারেন। আপনি বাড়িতেও বানাতে পারেন টক দই। কারণ দই-এর ৮৫ শতাংশ জল আপনার শরীর এবং পেটকে গরমে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.