Child Care: ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মধ্যে এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলুন

Child Care: শিশুদের মধ্যে নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলাও গুরুত্বপূর্ণ

হাইলাইটস:

  • খাওয়ার সময় মোবাইল ব্যবহার করবেন না
  • বাচ্চাদের মাটিতে বসিয়ে খাওয়ান

Child Care: সন্তান লালন-পালন করা সহজ কাজ নয়। এর জন্য ধৈর্য এবং অনেক সময় প্রয়োজন। বিশেষ করে নতুন অভিভাবকদের এসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সবচেয়ে বেশি। অনেক সময় নতুন বাবা-মায়েরা সন্তানের যত্ন নেওয়ার সময় আবেগে ভারাক্রান্ত হন এবং শেষ পর্যন্ত কিছু ভুল করেন। এসব ভুল শিশুর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করতে পারে। একই সাথে, আপনার সন্তানরা যদি বড় হতে থাকে, তাহলে শুরু থেকেই তাদের মধ্যে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। এমতাবস্থায়, অভিভাবকদেরই উচিত তাদের সন্তানদের সঠিক ও ভুলের পার্থক্য বোঝানো এবং কিছু বিষয় অবশ্যই শিশুদের বলা উচিত, যা ভবিষ্যতে শিশুদের বিকাশে সহায়ক হবে এবং তাদের সঠিক তথ্যও সরবরাহ করবে। একই সময়ে, শিশুদের মধ্যে নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলাও গুরুত্বপূর্ণ।

খাওয়ার সময় মোবাইল ব্যবহার করবেন না

খাওয়ার সময় বেশিরভাগ অভিভাবকই তাদের সন্তানদের হাতে মোবাইল ফোন দেন। কিন্তু জানেন কি মোবাইল দেখে খাবার খেলে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে? শিশু যখনই খাবার খায় তখন তাকে মোবাইল ফোন একেবারেই দেবেন না, এতে শিশু ঠিকমতো খাবার খেতে পারে না এবং শিশুর পুষ্টির ঘাটতি হয়।

বাচ্চাদের মাটিতে বসিয়ে খাওয়ান

খাওয়ার সময় টিভি দেখার অভ্যাস শিশুদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। বাচ্চাদের খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমাতে দেবেন না। শিশুরা অবিলম্বে ঘুমিয়ে পড়লে তা রোগের কারণ হতে পারে। মাটিতে বসে সবসময় বাচ্চাদের খাওয়ান। অল্প বয়সে শিশুদের জাঙ্ক ফুড খাওয়াবেন না। পরিবর্তে, তাদের সুষম খাদ্য যেমন ফল, শাকসবজি, জুস ইত্যাদি খেতে দিন। এতে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে।

এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন

শিশুদের মধ্যে ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি। সবার আগে বাচ্চাদের সাথে বসে খাবার খেতে হবে। তাদের রান্নায় জড়িত করুন। এই টিপসগুলি অবলম্বন করে, আপনি আপনার বাচ্চাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এই টিপসগুলি গ্রহণ করার পরেও, শিশুরা যদি খাবার খাওয়ার ভান করে তবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

এই সব জিনিস শিশুকে শেখান

১০ বছরের বাচ্চাদের ভালো স্পর্শ এবং খারাপ স্পর্শ সম্পর্কে বলার জন্য এটি সঠিক বয়স। এর সাথে সেই বয়সের শিশুদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে বলা উচিত। এছাড়াও শিশুদের হাত ধোয়া এবং শরীর পরিষ্কার রাখার বিষয়ে জানান। শিশুদের শরীরে ঘটছে পরিবর্তন সম্পর্কে বলতে ভুলবেন না।

এই বয়সে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভালো নম্বর পাওয়ার ওপর জোর দিতে শুরু করেন, যার কারণে অনেক সময় শিশুরা মানসিক চাপে থাকতে শুরু করে। এমতাবস্থায় ১০ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের গ্রেডের পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন করতে শেখানো উচিত। যাতে বাচ্চারা বুঝতে পারে আপনি কী পড়ছেন।

We’re now on WhatsApp- Click to join

বাচ্চাদের জন্য সঠিক বন্ধু বাছাই করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ, বন্ধুরা খুব বড় ভূমিকা পালন করে, এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের বলা উচিত যে তাদের সবসময় ভালো বন্ধু তৈরি করা উচিত। একজন বন্ধু যে সবসময় আপনাকে সাহায্য করবে যখন সময় আসবে এবং আপনাকে উন্নতির পথে নিয়ে যাবে। এছাড়াও, তার খারাপ অভ্যাস থাকা উচিত নয়। বাচ্চাদের সাথে তাদের বন্ধুদের সম্পর্কেও কথা বলা উচিত যাতে তারা তাদের সম্পর্কে জানতে পারে।

শিশুদের সবাইকে সম্মান করতে শেখান। এতে করে তারা ভালো আচরণ করতে শিখবে। কোনো বৈষম্য ছাড়া বাঁচতে শেখান।

অনেক সময় বাবা-মা তাদের সন্তানদের কিছু বোঝানোর জন্য বকাঝকা করে, কিন্তু এটি তাদের মনে এবং হৃদয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং ১০ বছর বয়সে বাবা-মা কী বলে তা বোঝা খুব একটা ভালো নয়। তাই এমন পরিস্থিতিতে রাগ না করে ভালোবাসা দিয়ে শিশুদের বুঝিয়ে বলুন। এর পরেও যদি শিশুটি বুঝতে না পারে যে আপনি কী বলছেন, তাহলে একটি সঠিক উদাহরণ দিয়ে শিশুকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।

এইরকম আরও জীবনধারার প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.