Relieve Stress During Pregnancy: গর্ভাবস্থায় ‘দুশ্চিন্তা’ হতে পারে হবু মায়েদের হাজারও রকম সমস্যা কারণ! এইরকম জটিলতম সমস্যা এড়াতে এই কয়েকটি টিপস ফলো করুন

Relieve Stress During Pregnancy: গর্ভাবস্থায় হাজারও সমস্যা মাথাচাড়া দিতে শুরু করে

হাইলাইটস:

• প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে নানারকম সমস্যায় পড়েন হবু মায়েরা

• সেখান থেকে জন্ম নেয় দুশ্চিন্তা

• প্রেগন্যান্সি সময় দুশ্চিন্তা কমানোর ঘরোয়া টোটকার কথাই এখানে বলা হয়েছে

Relieve Stress During Pregnancy: মা হওয়ার থেকে বড় আনন্দ পৃথিবী আর কিছু হয় না। তবে প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড চলাকালীন একেবারে প্রথমদিন থেকেই হবু মায়েদের শুধু শরীর না মনের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। গর্ভাবস্থায় নানারকম চিন্তাভাবনা মাথাতে ঘুরতেই পারে, তবে সেই নিয়ে দুশ্চিন্তা করলে চলবে না। কারণ এতে ভাবী মা ও ভ্রূণের সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে একাধিক হরমোনাল পরিবর্তন হয়। যার প্রভাব শুধু শরীরে না মনের উপরেও এসে পড়ে। যার ফলে একাধিক দুশ্চিন্তা গ্রাস করতে শুরু করে তাঁদের।

প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড চলাকালীন কেমন কাটবে দিনগুলি এবং কীভাবে সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখবেন, এইরকম নানা চিন্তা তখন মাথায় চলে। যার ফলে ভাবী মা ও ভ্রূণের শরীরের উপরে এর প্রভাব পড়ে। আবার মায়েদের ক্ষেত্রে ব্লাড প্রেশার ও সুগার বৃদ্ধি পেতে পারে। এইগুলি বৃদ্ধি পেলে প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড চলাকালীন নানা বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই যেভাবেই হোক গর্ভাবস্থায় দুশ্চিন্তা কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে এই প্রতিবেদনে গর্ভাবস্থায় দুশ্চিন্তা কমানোর একেবারে কয়েকটি সহজ টোটকার কথা বলা হয়েছে। দেখে নিন সেগুলি –

১. প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডকে সুন্দরভাবে উপভোগ করুন​:

মাতৃত্ব হল নারীর অহংকার। প্ৰতিটি নারীর কাছে মা হওয়া হল ঠিক যেন রূপকথার স্বপ্নের মতো। যার ফলে প্রতিটি মহিলার জীবনে প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড বিশেষ জায়গা দখল করে রাখে। এই সময়ের স্বাদই আলাদা। পৃথিবীর যে কোনও কিছুর স্বাদ এই স্বাদের ভাগ নিতে পারবে না। একজন নারী তাঁর শরীরের মধ্যে একটি ছোট্ট ফুটফুটে প্রাণকে ধারণ করেন, মোটেও চারটিখানি কথা নয়। তাই তো এই প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডটি আনন্দের সাথে উপভোগ করুন। স্বামী, পরিবার নিয়ে হেসে খেলে কাটিয়ে দিন ৯-১০ মাস। পারলে গান শুনুন, গল্পের বই পড়ুন, ভালো ভালো সিনেমা দেখুন। দেখবেন খুব ভালো থাকবেন, কোনওরকম দুশ্চিন্তা আপনাকে ছুঁতেও পারবে না।

২. মনের মধ্যে কোনওরকম চাপ লুকোবেন না:

চিকিৎসকদের মধ্যে গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে একাধিক হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে মনের মধ্যে দুশ্চিন্তা গ্রাস করতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, তাঁদের আগামী দিনগুলি কেমন কাটবে এই ভেবেও মনে মনে ভয় পান। তবে এইরকম চিন্তা যদি মনের মধ্যে ভিড় জমায় তখন স্বামী বা পরিবারের সদস্যদের সাথে ভাগ করে নিতে হবে। কারণ সাইকোলজি বলে, কারও সাথে কোনও কিছু ভয়ের মুহূর্ত শেয়ার করলে সেই জিনিসের উপর থেকে ভয় কিছুটা হলেও কেটে যায়। একবার যদি ভয় কেটে যায়, তবে তো মনটাও অনেকটাই হালকা হবে। তাই বলা যায়, আপনি যদি এইরকম কোনও সমস্যায় পড়েন তবে এই কৌশলটি কাজে লাগাতে পারেন।

৩. শরীরচর্চা করা দরকার:

আমরা সকলেই জানি, এক্সারসাইজ বা শরীরচর্চা করলে শরীরে বেশ কিছু হরমোনের নিঃসরণ হয়। আর প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড চলাকালীন মিনিটে মিনিটে মুড সুইং হয়। যার ফলে কোনও কিছুই যেন ভালো লাগে না। এক্সারসাইজের ফলে যে হরমোনগুলির নিঃসরণ হয়, তারা নিমেষের মধ্যে মুড ভালো করে দিতে পারে। তাই প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে এক্সারসাইজ বা শরীরচর্চা অত্যন্ত জরুরি। তবে হ্যাঁ, শরীরচর্চা করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। তাঁরা যদি বলেন তবেই করবেন। নাহলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। অবশ্য এইসময় বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, যোগা, প্রাণায়াম, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ অথবা হাঁটার জন্য। কারণ এই সমস্ত ব্যায়াম করলে মন শান্ত হয়। তার সাথেই কেটে যায় সবরকম নেগেটিভিটি।

​৪. পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি​:

প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড চলাকালীন মহিলাদের শরীর একাধিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তাই সামান্য পরিশ্রমও ক্লান্তি বোধ নিয়ে আসে। আর এই ক্লান্তি বোধই স্ট্রেস হরমোনকে বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে দুশ্চিন্তা মাথাচাড়া দিতে শুরু করে। তাই যখনই ক্লান্ত লাগবে তৎক্ষণাৎ বিশ্রাম নিন। তাছাড়া দিনে অন্তত ৭-৮ ঘন্টা লম্বা ঘুম দরকার। মাঝে মাঝে পাওয়ার ন্যাপও নিতে পারেন। এককথায় বলা যায়, প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে সময় সুযোগ পেলেই বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।

৫. খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজিতে ভর্তি থাকতে হবে:

শুধু প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড কেন আমাদের সকলের খাদ্যতালিকাতেই সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে। তবে প্রেগন্যান্সির সময় একটু বেশিই নজর রাখতে হবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার উপর। কারণ এইসময় শরীরে যেন শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাদ্যই যায়, এটি নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব। প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড চলাকালীন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি যথেষ্ট পরিমানে মজুত রাখতে হবে। কারণ এই এই ধরনের খাবারে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার। আর এই সকল উপাদান সরাসরি শরীর এবং মনের উপর প্রভাব ফেলে। তাই এই সময় শরীর এবং মনকে চাঙ্গা রাখতে সবুজ শাকসবজি পাতে রাখতে ভুলবেন না।

এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.