Milk substitutes for calcium deficiency: দুধের পরিবর্তে এই পাঁচটি নিরামিষ খাবার খেলে আপনার দেহের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটবে
হাইলাইটস:
• পরিচিত ক্যালসিয়াম খাদ্য হল দুধ
• দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার পছন্দ না করার ফলে অনেকের দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়
• দুধের বিকল্প কয়েকটি খাবার খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেতে
Milk substitutes for calcium deficiency: আমাদের দেশের বহু মানুষের দেহে ঘাটতি রয়েছে ক্যালসিয়ামের। সাধারণত বয়স বাড়লে মানুষের হারের সমস্যা দেখা দেয়, কিন্তু বর্তমানে কম বয়সেও হাড়ের সমস্যা পিছু নিচ্ছে। অনেকের ৩০ বছর বয়স পেরোতেই হারের ক্ষয় হতে দেখা দেয়। প্রসঙ্গত, এই অসুখের প্রকোপ মহিলাদের মধ্যেই বেশী। তবে আজকাল পুরুষেরাও মহিলাদের সাথে তালে তাল দিয়ে একই ভাবে হারের ক্ষয় জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই চিকিৎসকদের মতামত, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই হাড়ের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
মানুষের দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা অপূর্ণ থাকলে হাড়ের ক্ষয় জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক। অথএব, আপনাকে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতেই হবে হাড় সুস্থ রাখতে চাইলে। কিন্তু আজকাল মানুষের খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের সংখ্যা কম। উপরন্তু অনেকেই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ দুধ বা দুধ থেকে উৎপন্ন খাদ্য খেতে পছন্দ করেন না। তাই সেই সকল ব্যক্তির শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হবে কী করে সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। আজকের প্রতিবেদনে সেই সব উত্তরগুলি নিয়েই আলোচনা করা হবে।
১. চিয়া সিড:
ক্যালসিয়ামের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত চিয়া সিড শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ২ টেবিল চামচ চিয়া সিডে ১৭৯ মিলিগ্রাম পরিমান ক্যালসিয়াম বর্তমান। এছাড়া ‘বোরোন’ নামক এক উপাদান রয়েছে এই বীজে। শরীরে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম গ্রহণে সাহায্য করে ‘বোরোন’ নামক আই উপাদান। তাই নিয়মিত চিয়া বীজ ভেজানো জল খেলে উপকার পাবেন।
২. সোয়া মিল্ক:
অনেকেরই ল্যাকটোজ নামক উপাদানটি সহ্য হয়না। আর এই ল্যাকটোজ গোরু বা মহিষের দুধে থাকে। তবে সোয়া মিল্কে এই উপাদান নেই। ফলে বলা যেতে পারে সোয়াবিনের দুধ পান করলে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভবনা থাকে না। পাশাপাশি নিয়মিত এই দুধ পান করলে দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও হয়না। এমনকী পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সোয়াবিনের দুধ থেকে। তাই নিয়মিত সোয়া মিল্ক পান করলে হাড়ের ক্ষয় জনিত সমস্যায় ভোগার সম্ভবনা কমে।
৩. আমন্ড বাদাম:
এক কাপ আমন্ড বাদামে প্রায় ৩৮৫ এমজি ক্যালসিয়াম থাকে। এই বাদামের দাম সামান্য বেশী হলেও এর গুণ কিন্তু অনেক। আমন্ড বাদামে ক্যালসিয়ামের সাথে সাথে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। মানুষের ব্রেন ও হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
৪. সূর্যমুখীর বীজ:
একাধিক উপকারী উপাদান রয়েছে সূর্যমুখী ফুলের বীজে। এক কাপ সূর্যমুখীর বীজে প্রায় ১০৯ এমজি ক্যালসিয়াম থাকে। তাই চিকিৎসকরা নিয়মিত সূর্যমুখীর বীজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রসঙ্গত, একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নিয়মিত সূর্যমুখীর বীজ খাওয়ার ফলে দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটে। এছাড়া এই বীজে ভিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম ও কপার উপস্থিত থাকে। তাই দেহের সার্বিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিয়মিত সূর্যমুখীর বীজ খাওয়া যেতে পারে।
৫. টোফু:
সোয়াবিন থেকে তৈরী টোফুতে অনেকটা পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তাই নিয়মিত টোফু খেলে হাড়ের সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা কমে। ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি সোয়াবিন থেকে তৈরী এই তোফুতে অধিক পরিমানে প্রোটিন থাকে। তাই পেশির শক্তি বাড়ানোর কাজেও টোফুর জুড়ি মেলা ভার। সুতরাং দুধ খান না বলে চিন্তা নেই, তার পরিবর্তে এই কয়েকটি নিরামিষ খাবার খেয়েই দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটিয়ে নিন।
এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।