Vehicle Scrap in West Bengal: ১১,০০০ সরকারি যানবাহন স্ক্র্যাপ করার সিদ্ধান্ত নিল পরিবহন দপ্তর! দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের বড় পদক্ষেপ

Vehicle Scrap in West Bengal: ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী সমস্ত সরকারি যানবাহন স্ক্র্যাপ করতে চলেছে নবান্ন

হাইলাইটস:

• গ্রিন এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে যাওয়া সমস্ত গাড়িকে স্ক্র্যাপ করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার

• দূষণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে এমন সিদ্ধান্ত নবান্নর

• এই যানবাহনের মধ্যে বেশিরভাগই চলাচল করে কলকাতা ও হাওড়া জেলায়

Vehicle Scrap in West Bengal: কলকাতা ও শহরতলী এলাকায় এখনও ১৫ বছরের বেশি বয়সী বহু সরকারি যানবাহন সক্রিয় রয়েছে। এই সমস্ত গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশ দূষণে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। তাই ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী সকল সরকারি যানবাহনকে স্ক্র্যাপ করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।

সরকার অধীন ১১,০০০ গাড়িকে স্ক্র্যাপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ গাড়ি কলকাতা এবং হাওড়া জেলায় চলাচল করে। এই সমস্ত সরকারি যানবাহনগুলি দূষণ নীতি পূরণ করার মতো অবস্থায় না থাকার দরুন যানবাহনগুলি স্ক্র্যাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

সূত্রের খবর, এই ১১,০০০ যানবাহনের মধ্যে বেশিরভাগই সরকারি বাস। রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কলকাতা শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ২০০৮ সাল থেকেই যে সমস্ত বাণিজ্যিক যানবাহনের বয়স ১৫ বছরের বেশি সেগুলিকে কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকায় নিষিদ্ধ করা হলেও আগের মতোই যানবাহনগুলি বাইরে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই স্ক্র্যাপিং পলিসিতে আগে সেই যানবাহনগুলিকে চিন্হিত করা হবে। বাংলায় আগামী ৩ মাসের মধ্যে যানবাহন স্ক্র্যাপ করা শুরু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী পরিবহণ দফতর।

রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার নীলগঞ্জের WBTC ডিপোর জমি স্ক্র্যাপ করার কাজে ব্যবহার করা হবে। তিনি জানান, পুরনো গাড়ি স্ক্র্যাপ করে রেভেনিউ উপার্জনের পাশাপাশি অনেক নতুন বিনিয়োগ আসা সম্ভব হবে। এর ফলস্বরূপ তৈরি হবে কর্মসংস্থান।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতা ও হাওড়া জেলায় ১৫ বছরের বেশি বয়সী যানবাহন রয়েছে প্রায় ৮,৮৬,৮৩১টি। এর মধ্যে পেট্রল চালিত গাড়ি ৭,৯৬,১৫৬টি এবং ৫৪,৩৭৩টি গাড়ি ডিজেল চালিত এবং অবশিষ্ট ৬,৩০২টি গাড়ি চলে অন্য জ্বালানির দ্বারা।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।