Santiniketan World Heritage: কবিগুরুর শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কোর তরফে দেওয়া হল ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা! উছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী

Santiniketan World Heritage: ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেতেই শান্তিনিকেতনের মুকুটে যোগ হল নয়া পালক

হাইলাইটস:

  • ইউনেস্কোর তরফে শান্তিনিকেতনকে দেওয়া হল ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা
  • রবিবার ইউনেস্কোর তরফে জানানো হল এই সুখবরটি
  • খবরটি শুনে উছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী সকলেই

Santiniketan World Heritage: বাংলার মুকুটে ফের নয়া পালক যোগ হল। এবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাণের শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হল ইউনেস্কোর তরফে। রবিবারই সেকথা জানানো হল ইউনেস্কোর তরফে। শান্তিনিকেতন যে বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানের তালিকায় স্থান পেতে চলেছে, সেই ইঙ্গিত অবশ্য আগেই মিলেছিল। কারণ ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের উপদেষ্টা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটসের তরফে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। অবশেষে ইউনেস্কোর তরফে ঘোষণা করা হল।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এ বিষয়ে ট্যুইট করেছিলেন যে, শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিতে চলেছে খুব শীঘ্রই। রবিবার সেসব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করলো ইউনেস্কো। যার ফলে স্বপ্ন সফল হল শান্তিনিকেতন তথা রাজ্যবাসীর। এই খুশির খবরে উছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদূর মাদ্রিদে বসেই তাঁর আবেগের কথা প্রকাশ করলেন।

মুখ্যমন্ত্রী X মাধ্যমে লেখেন, ‘‘আমি খুব আনন্দিত এবং গর্বিত যে অবশেষে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমি শান্তিনিকেতন এখন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এটা বাঙালির কাছে গর্বের বিষয়। বিশ্ববাংলার গর্ব শান্তিনিকেতনকে লালন করেছেন কবিগুরু। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গোটা বাংলার মানুষ, কবি শান্তিনিকেতনের সাহচর্য পেয়েছে।” এরপর তিনি সেই সব মানুষকে কুর্নিশ জানিয়েছেন যাঁরা বাংলাকে ভালবাসেন, রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর ভ্রাতৃত্বের বার্তাকে ভালবাসেন। শেষে তিনি লেখেন, “জয় বাংলা। গুরুদেবকে প্রণাম।”

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উছ্বসিত ইউনেস্কোর তরফে শান্তিনিকেতনকে এই স্বীকৃতির কথা শুনে। তিনিও X মাধ্যমে লেখেন, “একথা জেনে আনন্দিত হলাম যে, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্ন ও ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মূর্ত রূপ শান্তিনিকেতন উৎকীর্ণ হয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব পরম্পরা তালিকায়। সব ভারতীয়ের কাছেই এ এক গর্বের মুহূর্ত।”

অবশ্য এর আগেও দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার-খ্যাত সুন্দরবন পেয়েছে ইউনেস্কোর তরফে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা। গত বছরই বাংলার দুর্গাপুজোও পেয়েছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি। অবশেষে কবিগুরুর ভূমি শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কোর ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় জায়গা করে দেওয়ায় খুশি বঙ্গবাসী।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.