Abhishek Banerjee: কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত নির্দেশে হাইকোর্টে পুনর্বিবেচনার আর্জি অভিষেকের

Abhishek Banerjee On New Parliament Building
Abhishek Banerjee On New Parliament Building

Abhishek Banerjee: ফের হাইকোর্টে আবেদন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

হাইলাইটস:

• কুন্তলের চিঠি মামলায় হাইকোর্টে পুনর্বিবেচনার আর্জি অভিষেকের

• মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে আরও মামলা করেন তিনি

• আজ মামলাটির শুনানি হবে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে

Abhishek Banerjee: কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। ফের হাইকোর্টে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেন তিনি। মামলায় যুক্ত করার জন্যেও আদালতে পৃথক আবেদন অভিষেকের তরফে। উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে ওই মামলায় অভিষেককে যুক্ত করা হয়। ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বক্তব্য থাকলে আবেদন করতে পারেন’, এই মামলায় বলেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আজ বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চেই মামলাটির শুনানি হবে।

গত ২৯শে মার্চ শহিদ মিনার ময়দানে এক সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর নাম বলানোর চেষ্টা করেছে। ঠিক তার কিছুদিন পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে চাপ দিচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা’, এই মর্মে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ নিম্ন আদালতে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠলে, তিনি বলেছিলেন যাতে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠি ও অভিষেকের বক্তব্যের মিল রয়েছে। সে কারণেই তিনি বলেছিলেন দুজনকে একসাথে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।

কুন্তল ঘোষের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ বাংলার রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে গিয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। যার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রথমে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এদিকে যেদিন সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দেয়, সেদিনই আবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে সিবিআই-এর নোটিস গিয়ে পৌঁছয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। পরে অবশ্য তা সংশোধন করে পুনরায় অভিষেককে চিঠি দেয় সিবিআই। তবে পরে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এর পর বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলাটি বিচারের জন্য পাঠান কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচাপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সৌমেন নন্দী এবং রমেশ মাহাতোর মামলা গিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।

সেই নির্দেশমতো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলাটি স্থানান্তরিত হয়। বিচারপতি সিনহা শুনানিতে প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনার বক্তব্য নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তে যে কেউ আসতে পারে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সেক্ষেত্রে সবাইকে নোটিস সার্ভ করে বিচার করা সম্ভব। আপনি যান গিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করুন। আপনি অতিরিক্ত আশঙ্কা করছেন কেন?’ বৃহস্পতিবার বিচারপতি সিনহার এজলাসেই অভিষেক নতুন করে আবেদন জানান, মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে মামলা করলেন এবং নির্দেশ পুনর্বিবেচনারও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আইনজীবী বলেন, কেন তাঁকে এই মামলায় যুক্ত করা হল তা স্পষ্ট নয়। অবশ্য এই বিষয়ে গতকাল কোনও হস্তক্ষেপ করেনি হাইকোর্ট। আজ অর্থাৎ শুক্রবার মামলাটি শুনানির জন্য পেশ করা হবে। তবে আজ অভিষেকের আবেদন মঞ্জুর হবে কি না, সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.