Abhishek Banerjee in Nandigram: ট্যুইটারে ট্রেন্ডিং-এর শীর্ষে #NandigrameJonoJowar, অভিষেকের নন্দীগ্রাম যাত্রা নিয়ে চলছে দেশ জুড়ে আলোচনা

Abhishek Banerjee in Nandigram
Abhishek Banerjee in Nandigram

Abhishek Banerjee in Nandigram: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন কোচবিহার থেকে

হাইলাইটস:

  • গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পায়ে হেঁটে গিয়েছিলেন চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম
  • অভিষেকের এই কর্মসূচি টুইটারে ট্রেন্ডিং-এর শীর্ষে ছিল 
  • #NandigrameJonoJowar হ্যাসট্যাগ ইতিমধ্যে ট্যুইটারে ১ লক্ষ পেরিয়ে গেছে

Abhishek Banerjee in Nandigram: গন্তব্য এখনও বেশ দূরে। নবজোয়ারে এবার নন্দীগ্রামের পথে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরে ঢুকেছে অভিষেকের যাত্রা, গতকাল পায়ে হেঁটে গেলেন শুভেন্দুর কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। তাঁর গন্তব্যস্থল চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পদযাত্রা নিয়ে আলোচনা শুধু সীমাবদ্ধ নেই রাজ্যের গণ্ডিতে, তা ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশ জুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার রিপোর্টই তার প্রমান। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ট্রেন্ডিং #NandigrameJonoJowar – প্রায় এক লক্ষেরও বেশি ট্যুইট করা হয়েছে এই হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে। ট্রেন্ডিংয়ের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতায় প্রথম, আর দেশে দ্বিতীয়।

সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে মতামত জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, তারা কাকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন। শুরু হয়েছিল কোচবিহার থেকে, এখন পূর্ব মেদিনীপুরে পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক। গতকাল বৃহস্পতিবার ২০ কিমি পথ পায়ে হেঁটে চন্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম গেলেন তিনি। আর তাতেই হৈচৈ পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিকেল সাড়ে ৩টার সময় পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতায় ট্রেন্ডিংয়ের তালিকায় শীর্ষে ছিল   #NandigrameJonoJowar। তখনই ১ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছিল ট্যুইটের সংখ্যা। জোর আলোচনা চলছিল সোশ্যাল মিডিয়াতেও।

বাম জমানা থেকে তৃণমূল আমল— সারা দেশে সব সময়েই খবরে থেকেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে ‘হাইভোল্টেজ’ লড়াইয়ের সাক্ষী ছিল রাজ্য। স্বাভাবিকভাবেই সেই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে উৎসাহ ছিল গোটা দেশ জুড়েই। কারণ নন্দীগ্রামে লড়াই হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর। সেদিন কখনও এগিয়ে ছিলেন মমতা, তো কখনও শুভেন্দু। টানটান সেই লড়াইয়ে একেবারে শেষ মুহূর্তে ১৯৫৭ ভোটে জিতেছিলেন শুভেন্দু অভিকারী। তৃণমূলের তরফে বরাবরই বলা হয়, ভোটগণনার সময় লোডশেডিং করিয়ে তার সুযোগে নিয়ে জিতেছিলেন শুভেন্দু। ভোটের ফল নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। মামলাটির নিষ্পত্তি হয়নি এখনও। অপরপক্ষে শুভেন্দু ধারাবাহিক ভাবে ‘কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী’ বলে সম্বোধন করেন মমতাকে। কারণ মমতা নন্দীগ্রামে ভোটে পরাজয়ের পর দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর থেকে জিতে এসেছিলেন।

ফলে নন্দীগ্রাম হল রাজ্য রাজনীতির অধ্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। ফলে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য জুড়ে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করার পর সকলেই এটা নিয়ে কৌতূহলী যে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে তিনি যাবেন কি না। যদি যান তবে কবে যাবেন। এবং সেখানে তাঁর কর্মসূচিই বা কী?

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল এবং অভিষেকর দফতর সূত্রে গত সোমবারই জানা গিয়েছিল, মঙ্গলবার অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা পৌঁছবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, অভিষেকের এই নন্দীগ্রাম যাত্রাকে যে বিরোধীরা ভয় পেয়েছে তার প্রমাণ তারা নিজেরাই দিয়ে গিয়েছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিষেকের নানাবিধ কর্মসূচি রয়েছে। তার মধ্যে নন্দীগ্রামও রয়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তাঁর কেন্দ্রে ২০ই জুন পাল্টা পদযাত্রার আহ্বান করেছেন। তৃণমূলের দাবি, অভিষেকের কর্মসূচিতে ভয়ে ভীত হয়ে ঘর বাঁচাতে শুভেন্দুর এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে অভিষেকের এই কর্মসূচি। এর কৃতিত্ব অবশ্য তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া টিমেরও প্রাপ্য। যদিও তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য বলছেন, “এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা এবং সকলের নিরলস প্রচেষ্টার ফল। এতেই বোঝা যায় নন্দীগ্রামের মাটি তৃণমূলের ঘাঁটি। অভিষেকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচির পর ওখান থেকে বিরোধীরা পুরোপুরি সাফ হয়ে যাবে।” অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে একটি কবিতাও লিখেছেন দেবাংশু।

এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.