Countries Without Police and Army: বিশ্বের এই দেশগুলি পুলিশ ও সেনাবিহীন! নিরাপত্তাবিহীন এই দেশগুলির সুরক্ষার উপায় হয়তো অনেকেরই অজানা

Countries Without Police and Army: বিশ্বের এই দেশগুলিতে নিজস্ব কোনো নিরাপত্তাবাহিনী নেই

হাইলাইটস:

• কোনো দেশের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ উঠলেই সেই দেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চিত্র ভেসে ওঠে

• দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে সেই দেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনী

• পৃথিবীতে এমনও কিছু দেশ আছে যেখানে নেই কোনও সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশ

Countries Without Police and Army: কোনো দেশের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল সেই দেশের নিরাপত্তা। আর কোনও দেশের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ উঠলেই সাধারণত সেই দেশের সেনাবাহিনী এবং পুলিশের কথা মাথায় আসে। কোনো দেশের পুলিশ এবং সেনাবাহিনী সেই দেশ তথা দেশবাসীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। পুলিশ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করে এবং বাইরের শত্রুর হাত থেকে দেশ ও দেশবাসীকে নিরাপদে রাখে সেনাবাহিনী। তাই প্রতিটি দেশে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী থাকা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু জানলে অবাক হবেন পৃথিবীতে এমনও অনেক দেশ আছে যাদের নেই কোনও পুলিশবাহিনী। পাশাপাশি নেই কোনও জেলও। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আসুন জেনে নেওয়া যাক পুলিশবিহীন সেই দেশ গুলি সম্পর্কে।

• নেদারল্যান্ড:

নেদারল্যান্ড সরকার চায় না তাদের দেশের জনগণ জেলখানায় বসে থাকুক। এতে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হয়। তাই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার বদলে তাদের উন্নত জীবনযাপনে সাহায্য করার জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। নেদারল্যান্ডস অপরাধীর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের গোঁড়ালিতে ইলেকট্রনিক ট্যাগিং আটকে দেয়। ব্যক্তির প্রতিটি কার্যকলাপ রেকর্ড করে এই যন্ত্র। এই ডিভাইসটি লাগিয়ে অনেক অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

• ভ্যাটিকান সিটি:

ইটালির রাজধানী রোমের একটি অংশ ভ্যাটিকান সিটি হল বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র। অতীতে পোপ এবং দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল সশস্ত্রবাহিনীর ওপর। কিন্তু ১৯৭০ সালে পোপ পল ষষ্ঠ সমস্ত বাহিনী বাতিল করে দেন। বর্তমানে ভ্যাটিকান সিটির সুরক্ষার দায়িত্ব ইটালির।

• পালাউ:

পালাউ একটি সেনাবিহীন দেশ। অনুমতিপ্রাপ্ত বাহিনী বলতে আছে শুধুমাত্র পুলিশবাহিনী। ৩০ জনের মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। কমপ্যাক্ট অফ ফ্রি অ্যাসোসিয়েশনের অধীনস্ত পালাউকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা প্রদান করে।

• আইসল্যান্ড:

ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ হল আইসল্যান্ড। কোনও স্থায়ী সামরিকবাহিনী নেই এই দেশের। স্বয়ং ন্যাটো এই দ্বীপ রাষ্ট্রের দায়িত্বে রয়েছে। ১৮৬৯ সাল থেকে এই দেশের কোনও সেনাবাহিনী নেই। ন্যাটোর সদস্য হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইসল্যান্ডের যাবতীয় সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করে।

• নউরু:

প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির আয়তন ২১ বর্গ কিমির থেকে সামান্য বেশি। মাত্র ১০ হাজার জনসংখ্যার এই দেশ মাইক্রোনেশিয়ার অংশ। নিজস্ব কোনও পুলিশ বা নিরাপত্তাবাহিনী নেই এই দেশের।

এইরকম ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.