Unknown Facts About Draupadi: দ্রৌপদী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
হাইলাইটস
- দ্রৌপদী কে?
- বিবাহের পর দ্রৌপদীর জীবন কেমন ছিল
- আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত তথ্য
Unknown Facts About Draupadi:
দ্রৌপদী কে?
মহাভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চরিত্র দ্রৌপদী। দ্রৌপদী সমগ্র নারী সমাজকে সম্মানের স্থানে আসীন করেছেন। যজ্ঞের অগ্নি থেকে উৎপন্ন হয়েছিল বলেই তিনি যাজ্ঞসেনী। মহাভারতের এই বারাঙ্গনা দ্রৌপদী পাঞ্চালরাজ ধ্রুপদের কন্যা। ভরতবংশের কুলবধু বলে তিনি মহাভারতী এবং তিনি সৈরিন্ধ্রী নামেও পরিচিতা। মহাভারতের বিরাট কাহিনি যে চরিত্রগুলিকে আবর্ত করে ঘোরে, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হলেন দ্রৌপদী।
দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর:
দ্রৌপদী ছিলেন অত্যন্ত সাহসী এবং অসাধারণ সুন্দরী। রাজা ধ্রুপদ তার কন্যার জন্য একটি স্বয়ম্বর সভার আয়োজন করেছিলেন। এই স্বয়ম্বরে বলা হয়েছিল জলে প্রতিবিম্ব দেখে উপরে ঘূর্ণায়মান মাছের চোখ তীর দিয়ে যে বিদ্ধ করতে পারবে তাঁর গলায় দ্রৌপদী বিবাহমাল্য পড়াবে। অর্জুন ব্রাহ্মনের ছদ্মবেশ ধরে সেখানে উপস্থিত হয়ে স্বয়ম্বরে দ্রৌপদীকে জয় করে।
অর্জুন গৃহে ফিরে তাঁর মাকে জানান তারা আজকে একটি বিশেষ ভিক্ষা পেয়েছেন। তখন মাতা কুন্তী পিছনে না তাকিয়েই বলেন, ভিক্ষা সামগ্রী পাঁচ ভাই ভাগ করে নিতে।
পান্ডবদের সাথে বিবাহে দ্রৌপদীর শর্ত:
দ্রৌপদী একটি শর্ত দিয়েছিলেন পঞ্চ পান্ডব তাদের আর কোনো স্ত্রীকে ইন্দ্রপ্রস্থে আনতে পারবে না।
অর্জুনকে অভিশাপ দ্রৌপদীর:
দ্রৌপদীর শর্ত অনুযায়ী একজন পান্ডব গৃহ থাকা কালীন তাঁর অন্যকেউ প্রবেশ করতে পারবেনা। পাদুকা বাইরে থাকাকালীন যদি কেউ কক্ষে প্রবেশ করে তাকে নির্বাশনে পাঠানো হবে। একদিন যুধিষ্ঠর যখন দ্রৌপদীর কক্ষে ছিলেন, একটি কুকুর তার পাদুকা চুরি করে নিয়েছিল । তখন অজান্তেই অর্জুন বাইরে কোনো পাদুকা না দেখে দ্রৌপদীর কক্ষে প্রবেশ করে যধুষ্ঠির ও দ্রৌপদীকে একসাথে দেখতে পায়। অর্জুন কে ১২ বছরের জন্য নির্বাসিত করে।
পাঁচ পুরুষের স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও ইতিহাস দ্রৌপদীকে একজন আদর্শ নারী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত করে। তিনি তার সৌন্দর্য, আত্মবিশ্বাস এবং নির্দোষতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। অনেকে মনে করেন তিনি দেবীর অবতার ছিলেন।
এইরকম নারীকথা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে থাকুন