Benefits Of Laughing: হাসি আপনার হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখার পাশাপাশি এটি মুখকে উজ্জ্বল করে, মস্তিষ্কের ভালো রাখার জন্যও হাসি খুব গুরুত্বপূর্ণ
Benefits Of Laughing: হাসির স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি জেনে নিন, সাথে প্রতিদিন ১০ মিনিটের জন্য হাসির থেরাপি করুন
হাইলাইটস:
- হাসি এমন একটি ওষুধ যা মানসিক চাপকে দূরে রাখতে সাহায্য করে
- হাসলে শরীরে উপস্থিত সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা মেজাজ ভালো করে
- হাসলে শুধু মানসিক স্বাস্থ্যই নয়, শারীরিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়
Benefits Of Laughing: হাসি অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে। এটি এমন একটি ওষুধ যা মানসিক চাপকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ না থাকলে শরীরের অনেক রোগ আমাদের আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে না। অনেকে মানসিক চাপ কমাতে এবং সুখী থাকার জন্য হাসির থেরাপিও ব্যবহার করেন। একজনকে কেবল বাহ্যিকভাবে নয়, হৃদয় থেকেও খুশি হওয়া উচিত কারণ এটি মনের সাথে সম্পর্কিত। হাসাহাসি করা কোনো ব্যায়ামের চেয়ে কম নয়।
একবার হাসলে ১২ থেকে ১৫টি মুখের পেশী সক্রিয়
হয়। এই কারণেই আপনি অনেক সময় পার্কে বা অন্যান্য জায়গায় মানুষকে জোরে জোরে হাসতে দেখেছেন। তাই আজ আমরা এই প্রবন্ধে আপনাদের বলবো হাসলে কি কি স্বাস্থ্য উপকার হয়। প্রতিদিন কতক্ষণ হাসতে হবে? আসুন বিস্তারিত জানি-
প্রাণ খুলে হাসুন প্রতিদিনের হাসির উপকারিতা
হাসি তামাশা নয়। হাসি হৃদয় ও আত্মার জন্য অমৃতের মতো। এটি মনের নোংরামিকে ধুয়ে দেয়, অর্থাৎ এটি আত্ম-অপরাধ, রাগ, হিংসা এবং অহংবোধকে দূর করে। হাসির পরে, স্বাস্থ্যকর এবং ইতিবাচক আবেগ আসে মনে। এটি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, নেতৃত্বের ক্ষমতা বিকাশ করে এবং ব্যক্তিত্বকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
এটি অন্যান্য মানুষের আচরণের মতোই স্বাভাবিক। সুতরাং আপনি আপনার জীবনকে যতটা গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন ততটাই গুরুত্ব সহকারে নিন। সবথেকে বড় কথা হাসতে কোন পয়সা খরচ হয় না এবং এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয় না। এটি ঈশ্বরের একটি মূল্যবান উপহার যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। কোন স্কুলে এটা শেখার দরকার নেই। হাসি আপনার ভিতরে আছে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
এগুলো হলো হাসির স্বাস্থ্য উপকারিতা
আপনার হৃদয় সুস্থ রাখুন
আসুন আমরা আপনাকে বলি যে হাসি আমাদের হৃদয়কে সুস্থ রাখে। চিকিৎসকরা আরও বলেন, আমরা হাসলে শরীরে ডোপামিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা আপনাকে আনন্দ দেয়। খুশি হওয়া হৃদয়ের উপর চাপ দেয় না। যার কারণে হার্ট অ্যাটাকসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমে। তাই প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট হাসতে হবে।
বিষণ্ণতা থেকে দূরে রাখতে হাসির উপকারিতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসলে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগের সমস্যাকে দূরে রাখে। আমরা যখন হাসছি, এটি স্ট্রেস হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা স্ট্রেস লেভেল কমিয়ে দেয়। হাসলে শুধু বিষণ্ণতা দূর হয় না, স্মৃতিশক্তিও শক্তিশালী হয়।
মেজাজ সতেজ রাখুন
হাসলে শরীরে উপস্থিত সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা মেজাজ ভালো করে। প্রকৃতপক্ষে, সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি হতাশা এবং উদ্বেগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং মেজাজ উন্নত করে।
Read more – আপনি কি জানেন হাসি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী?তাই এখন থেকে মন খুলে হাসুন
হাসলে ভালো ঘুমও হবে
হাসি অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। লাফটার থেরাপি এক্ষেত্রে খুবই সহায়ক। হাসলে শরীরে মেলানিন হরমোন নিঃসরণ হয়, যা শান্তির ঘুম আনে। রাতে ঘুমানোর আগে হাসলে ভালো ঘুম হয়।
হাসি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে
হাসলে শুধু মানসিক স্বাস্থ্যই নয়, শারীরিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। উচ্চস্বরে হাসলে রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটে। লাফটার থেরাপি অ্যান্টিবডি উৎপাদন বাড়ায় এবং অনাক্রম্যতা কোষকে সক্রিয় করে তোলে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন হাসির উপকারিতা
চিকিৎসকরা বলছেন, হাসতে হাসতেও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমাতে পারে।
ত্বক উজ্জ্বল করুন
হাসলে মুখের পেশীগুলো ভালোভাবে কাজ করতে শুরু করে। এটি রক্ত সঞ্চালনও উন্নত করে। আপনি যদি আপনার ত্বকের জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা না নেন, তাহলে প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট মন খুলে হাসুন। এটি আপনাকে দাগহীন ত্বক দেবে।
স্থূলতা কমাতে হাসির উপকারিতা
যদি একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের জন্য হাসে, তবে সে সাধারণত ৫০ থেকে ১০০ ক্যালোরি কমায়। এটি স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে।
We’re now on Telegram – Click to join
হাসির ধরন
হাসির অনেক ধরন আছে। এর মধ্যে রয়েছে হাসি, চাপা হাসি বা হালকা হাসি, কৃত্রিম হাসি, হাসি, জোরে হাসি ইত্যাদি। এতে জোরে হাসা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। এর সাহায্যে মুখের পাশাপাশি পেট ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ব্যায়াম করা হয়। যাইহোক, কেউ যদি মনপ্রাণ দিয়ে হাসে তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
এইরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।