Batshorik Review: কেমন হল ঋতাভরী-শতাব্দীর নারীকেন্দ্রিক ছবি ‘বাৎসরিক’? রিভিউ পড়ুন
এই ছবির মূল চরিত্রে রয়েছেন দুই নারী। একজন হারিয়েছেন তাঁর স্বামীকে, অন্যজন তার ভাইকে। ছবির কেন্দ্রে ননদ এবং ভাইয়ের বউয়ের সম্পর্ক। এর মধ্যে পিশাচ-ভূত-প্রেত ইত্যাদি সব চলে আসে।
Batshorik Review: এবার মৈনাক ভৌমিকের হাত ধরেই ফের বড়পর্দায় কামব্যাক শতাব্দী রায়ের
হাইলাইটস:
- অনেকদিন পর বড়পর্দায় দেখা গেল শতাব্দী রায়কে
- ছবিতে আরেক চরিত্রে নজর কেড়েছে ঋতাভরী চক্রবর্তীও
- কেমন হল শতাব্দীর-ঋতাভরীর ‘বাৎসরিক’ ছবি?
Batshorik Review: সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে এযাবৎকাল সুপারন্যাচারাল সিরিজ এবং হরর-থ্রিলার ঘরানার ছবি মানুষ বেশি পছন্দ করছেন। ‘বাৎসরিক’ মৈনাক ভৌমিকের নতুন ছবি প্রাথমিকভাবে হরর জনার-এর, একই সাথে সম্পর্কের ছবিও বলা চলে। ‘গৃহস্থ’ ছিল ওনার আগের ছবি। সেটিও ছিল মনস্তাত্ত্বিক ধাঁচের থ্রিলার। মনে হচ্ছে, এখন থ্রিলার এবং হরর গল্পের দিকেই পরিচালকের মনোযোগ। অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ের প্রত্যাবর্তন ছবি ‘বাৎসরিক’। ফলে এটি নিয়ে ভীষণ আগ্রহ ছিল দর্শকদের।
We’re now on WhatsApp- Click to join
‘বাৎসরিক’ ছবির রিভিউ
এই ছবির মূল চরিত্রে রয়েছেন দুই নারী। একজন হারিয়েছেন তাঁর স্বামীকে, অন্যজন তার ভাইকে। ছবির কেন্দ্রে ননদ এবং ভাইয়ের বউয়ের সম্পর্ক। এর মধ্যে পিশাচ-ভূত-প্রেত ইত্যাদি সব চলে আসে। তবে, ছবির অন্তরের বার্তা খানিকটা হল যে, ‘আপনজনের মৃত্যু ঘটলে তাঁর সেই শোক আঁকড়ে ধরে বসে থাকা নয়, তাকে নিজের মনের মধ্যে নিয়ে জীবনে এগিয়ে চলাটাই শ্রেয়’। যদি শোক চলার পথে পায়ের শিকল হয়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, দুর্বল হয়ে পড়ে মন এবং তত বিশ্বাস বাড়ে অলৌকিকের প্রতি। ছবির গল্পে দেখা যায়, ননদ ‘স্বপ্না’ (শতাব্দী রায়) শিক্ষিকা এবং ভাইয়ের বউ ‘বৃষ্টি’ (ঋতাভরী চক্রবর্তী) কর্পোরেট জগতে তিনি কর্মরত। ‘বৃষ্টি’র স্বামী ‘নীল’ (ঈশান মজুমদার) ছবি আঁকতে ভীষণ ভালোবাসত।
We’re now on Telegram- Click to join
একদিন, তাঁর দিদির প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার খবর পেয়ে, গাড়ি নিয়ে রাতেই বেরিয়ে পড়ে নীল এবং বৃষ্টি। কিন্তু গাড়ি চালানোর সময় মদ্যপান নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। ফলে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায় নীল, ঘটনাচক্রে বেঁচে যায় বৃষ্টি। এরপরই শোকাচ্ছন্ন ভাইয়ের বউ বৃষ্টির সাথে থাকতে আসে ননদ স্বপ্না। সে ভূত, আত্মা এবং নানা সংস্কারে বিশ্বাস করে। তবে এ সব মানতে চান না বৃষ্টি, তিনি মনে মনে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর জন্য তাঁর ননদকেই দায়ী করেন। স্বামীর মৃত্যুর কেটে যাওয়ার প্রায় একবছর পর অতিলৌকিক উপস্থিতি টের পাওয়া যায় তাদের বসতবাড়িতে।
প্রথমে বাড়িতে পিশাচের উপস্থিতি ননদই বুঝতে পারে। পরে দেখা যায় যে, ভূত চাপে বৃষ্টির ঘাড়ে এবং নানা অদ্ভুত কাজ তাকে দিয়ে করিয়ে নেয়। বৃষ্টির মধ্যেও একটি বিরাট দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, সে নিজেই কখনও ভয় পায় আবার সেই কখনও এই ভয়ের কারণ হয়ে ওঠে। ওঠানামাও চলতে থাকেই বৃষ্টি-স্বপ্নার সম্পর্কের। যেন এক চরিত্র হয়ে ওঠে তাদের থাকার পুরনো বাড়িটাও। ভূত আসে দরজা খুলে, আবার দরজা বন্ধ করে চলেও যায়।
বহুদিন পর বড়পর্দায় দেখা গিয়েছে শতাব্দী রায়কে। এখনও মরচে ধরেনি তাঁর অভিনয়ে। বৃষ্টির ভূমিকায় আগাগোড়া সাবলীল ঋতাভরী চক্রবর্তী। যতটুকু ঈশান মজুমদার পরিসর পেয়েছেন তা বেশ যথাযথ। তবে সাদামাঠা চিত্রনাট্য। জয়দীপ কুণ্ডু প্রতিবেশীর চরিত্র বেশ ঠিকঠাকই বলা চলে। সিনেমাটোগ্রাফি বেশ ভালো শুভদীপ নস্করের। ছবির শেষে মন ছুঁয়ে যায় রবীন্দ্রসঙ্গীত।
এইরকম আরও বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।