RG Kar Rape And Murder Case: আর জি করে ডাক্তারকে খুন এবং ধর্ষণ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের, জেনে নিন তিনি এবিষয়ে কী বলেছেন
RG Kar Rape And Murder Case: ‘মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ কমানোর চেষ্টা করেন’ এমনটাই দাবি আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের, দেখুন
হাইলাইটস:
- আর জি করে ডাক্তারকে নির্মম নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়
- খুন এবং ধর্ষণ মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জেরা করছে সিবিআই
- আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য কলকাতা পুলিশকেও কটাক্ষ করেছেন
RG Kar Rape And Murder Case: সোমবার আর জি কর হাসপাতালের ধর্ষণ ও হত্যার শিকারের অভিভাবকের কৌঁসুলি বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করার অভিযোগ করেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেছিলেন, দাবি করেছিলেন যে তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ কমানোর চেষ্টা করেন।
We’re now on WhatsApp- Click to join
“পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা খুবই নিন্দনীয়। যেখানেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটবে, তিনি অবিলম্বে ভিকটিমদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে চান, তাদের টাকা দিতে চান এবং বলতে চান সব শেষ। দুর্ভাগ্যবশত, তিনি ধর্ষণের জন্য একটি রেট কার্ড ঠিক করেছেন,” তিনি বলেন।
We’re now on Telegram- Click to join
আইনজীবী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়ই সাক্ষী কেনার চেষ্টা করেন এবং এই মামলায়ও এমন চেষ্টা করা হয়েছিল।
প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জেরা করছে সিবিআই
“তিনি সাক্ষী কেনার চেষ্টা করেন, এই ক্ষেত্রেও সেই চেষ্টা করা হয়েছিল। ভিকটিম মেয়েটির বাবা-মা দৃঢ়ভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কারণ তারা মুখ্যমন্ত্রীর খেলার অংশ হতে পছন্দ করেন না,” তিনি যোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীর বাবা সম্প্রতি বলেছিলেন যে তিনি ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন কারণ তার মেয়ে এটি অনুমোদন করবে না এবং আঘাত পাবে।
“বিপরীতভাবে, তারা আমাদের আদালতে যাওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে এবং আমরাও তাই করেছি। তদন্তটি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিবিআইকে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে,” আইনজীবী বলেছিলেন।
কলকাতা পুলিশকে আরও কটাক্ষ করেন তিনি
আইনজীবী বলেন, “পুলিশ কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন করা উচিত ছিল না। আমরা দেখেছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আমার মতে রিপোর্টের পর পুলিশের তৎপরতা সন্তোষজনক নয়।”
রাষ্ট্রায়ত্ত আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলের ভিতরে স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। ৩৬-ঘণ্টার একটি কঠিন শিফটের মধ্যে তিনি বিশ্রাম নিতে রুমে গিয়েছিলেন।
নির্মম নির্যাতনের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়
সিবিআই মামলার তদন্ত করছে। এই অপরাধে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংস্থাটি অবশ্য মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডঃ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তারা ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেছে কেন তিনি তার বাবা-মাকে তার লাশ দেখতে দেওয়ার আগে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে বাধ্য করেছিলেন।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।
