APJ Abdul Kalam
APJ Abdul Kalam

APJ Abdul Kalam: ভারতের ‘মিসাইল ম্যান’-এর জন্মদিবসে কেন ‘বিশ্ব ছাত্র দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়?

APJ Abdul Kalam: আজ ড. এপিজে আব্দুল কালামের ৯৩তম জন্মদিবস

 

হাইলাইটস:

  • দেশের ১১তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন ড. এপিজে আব্দুল কালাম
  • দেশের ‘মিসাইল ম্যান’ হিসেবে পরিচিত কালামের জন্মদিন বিশ্ব ছাত্র দিবস হিসেবে পরিচিত
  • কেন বিশ্ব ছাত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয় কালামের জন্মদিবস?

APJ Abdul Kalam: ড. এপিজে আব্দুল কালাম ছিলেন দেশের ১১তম রাষ্ট্রপতি। দেশের ‘মিসাইল ম্যান’ হিসেবে পরিচিত কালামের জন্মদিন বিশ্ব ছাত্র দিবস হিসেবেও পরিচিত। ড. কালাম ১৫ই অক্টোবর ১৯৩১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০১০ সাল থেকে জাতিসংঘ প্রতি বছর ১৫ই অক্টোবর ‘বিশ্ব ছাত্র দিবস’ হিসাবে ড. এপিজে আব্দুল কালামের জন্মদিন পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়।

We’re now on WhatsApp – Click to join

জাতিসংঘ ড. কালামের জন্মদিনকে সম্মান জানাতে, তাঁর উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং তাঁর দ্বারা অনুসৃত মূল্যবোধকে উন্নীত করার জন্য ১৫ই অক্টোবরকে বিশ্ব ছাত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। ড. কালাম বিশ্বাস করতেন যে, ছাত্রদেরই পৃথিবীতে বড় পরিবর্তন আনার ক্ষমতা রয়েছে। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং মহাকাশ গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। কিন্তু তাঁর আসল কাজ ছিল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান এবং অনুপ্রাণিত করা। প্রতি বছর বিশ্ব ছাত্র দিবসে একটি বিশেষ থিম থাকে। ২০২৪ সালের এই দিবসের থিম হল, ‘ছাত্রদের ভবিষ্যতের জন্য সামগ্রিক শিক্ষা’।

প্রকৃতপক্ষে, ড. কালাম তাঁর জীবনের বেশিরভাগ অংশ তরুণ ছাত্রদের অনুপ্রেরণা ও পথপ্রদর্শনের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। এই দিনটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হল, ভবিষ্যৎ গঠনে ছাত্ররা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা বোঝা।

We’re now on Telegram – Click to join

এই দিনে, স্কুল এবং কলেজগুলিতে কালামের শিক্ষা সম্পর্কিত অনেক বিশেষ বক্তৃতা, সেমিনার, কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মেধা, দক্ষতা, শিল্প ও বিজ্ঞানমনস্কতা বৃদ্ধির জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। এই দিনে শিক্ষার্থীরাও তার মহান চিন্তা শেখে।

উল্লেখ্য, ড. কালাম রামেশ্বরমে একটি তামিল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ড. কালাম তাঁর স্কুলের জীবনে একজন পরিশ্রমী এবং মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি ১৯৮১ সালে পদ্মভূষণ, ১৯৯০ সালে পদ্মবিভূষণ এবং গবেষণা, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এবং প্রতিরক্ষা গবেষণার সাথে তাঁর কাজের জন্য ভারতরত্ন সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পান।

Read more:- বাবা সিদ্দিকী ছাড়াও আরও অতীতে আরও অনেক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, এই তালিকায় কাদের নাম আছে জানেন?

আজ ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘ভারতের মিসাইল ম্যান’ এপিজে আব্দুল কালামকে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার তরফ থেকে জানানো হচ্ছে শ্রদ্ধার্ঘ্য। দেশের প্রতি তাঁর অবদান কোনওদিন ভোলার নয়। ২০১৫ সালের ২৭ই জুলাই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট শিলং-এ বক্তৃতা দেওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ‘ভারতের মিসাইল ম্যান’।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.