Storytelling: ডিজিটাল যুগে গল্প বলা কেন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে জানেন কী?
আদিমকাল থেকেই গল্প বলা হল, একটি প্রাচীন এবং কালজয়ী ঐতিহ্য, যা আমাদের আত্মার সাথে অনুরণিত হতে পারে। এখনকার সময় গল্প বলা হল একটি সংযোগ, সত্যতা বা অভিজ্ঞতার ভাগ করার জন্য একটি মৌলিক প্রয়োজন মাত্র।
Storytelling: আদিমকালের মানুষ নিজেদের বিনোদনের জন্য গল্প শোনা বা বলাকে বেশি প্রাধান্য দিত
হাইলাইটস:
- যদিও প্রযুক্তির উন্নত হওয়ার সাথে সাথে আমাদের যোগাযোগ মাধ্যমের অনেক পরিবর্তন হয়েছে
- এখনকার সময় গল্প বলা হল একটি সংযোগ, সত্যতা বা অভিজ্ঞতার ভাগ করার জন্য একটি মৌলিক প্রয়োজন মাত্র
- গল্পকার, গল্প বলার জন্য উৎসবের কিউরেটর শগুনা গাহিলোট আজকের আধুনিক যুগে গল্প বলার শক্তির ওপর জোর দেন
Storytelling: বিশ্বে যেখানে ডিজিটাল ইনোভাসানগুলো আমাদের যোগাযোগের উপায়কে একটি রূপ দিতে সাহায্য করে, যখন মানুষ গভীরভাবে অনাবৃত সংযোগ কামনা করে তখন শুধুমাত্র গল্প বলাই একমাত্র উপায়। যদিও প্রযুক্তির উন্নত হওয়ার সাথে সাথে আমাদের যোগাযোগ মাধ্যমের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আদিমকাল থেকেই গল্প বলা হল, একটি প্রাচীন এবং কালজয়ী ঐতিহ্য, যা আমাদের আত্মার সাথে অনুরণিত হতে পারে। এখনকার সময় গল্প বলা হল একটি সংযোগ, সত্যতা বা অভিজ্ঞতার ভাগ করার জন্য একটি মৌলিক প্রয়োজন মাত্র।
We are now on WhatsApp –Click to join
কথাকার স্টোরিটেলিং ফেস্টিভ্যালের অধ্যক্ষ শগুনা গাহিলোট আজকের আধুনিক যুগে গল্প বলার শক্তির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি হাইলাইট করেছেন কিভাবে, সমস্ত ডিজিটাল হস্তক্ষেপ থাকার সত্ত্বেও, মানুষ সামাজিক প্রাণী থেকে যায়। তিনি আরও জানান,যারা অন্যদের সাথে সত্যিকারের সংযোগের জন্য আকাঙ্ক্ষা করে। “গল্পকার একটি অভিজ্ঞতা বলার জন্য, সঠিক পরিবেশ তৈরি করে যা মানুষকে একত্রিত হতে এবং গল্প বলার শক্তিতে অংশীদারিত্ব করতে ও একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। গাহিলোট জানান, উৎসবের সাফল্যের জন্য সাম্প্রদায়িক গল্প বললে তা মানুষের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। গল্প বলার পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে, মানুষ কিভাবে গল্পটি বা অভিজ্ঞতাটি অনুভব করছেন এবং যা সারাজীবনের স্মৃতি তৈরি করেওসাহায্য করে”।
We are now on Telegram- Click to join
উৎসবটির প্রতিষ্ঠাতা গাহিলোটের বোনেরা, তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, শ্রী মোহিত চৌহানের সাথে, শুধুমাত্র গল্প বলার পদ্ধতি বা নিদিষ্ট গল্পগুলো বেছে নেননি বরং গল্প বলার জন্য পুরো পরিবেশটি তৈরি করেছেন যাতে মানুষ জনের অভিজ্ঞতাটি সুন্দর হয় সেইদিকেও নজর দিয়েছিলেন। তারা যে পরিবেশ তৈরি করে তাতে অংশগ্রহণকারীদের ডিজিটাল ডিভাইসগুলিকে একপাশে রাখতে এবং সম্পূর্ণভাবে যাতে মনোযোগ দিতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য করেছিলেন। গাহিলোট বলেছেন, “যারা একবার উপস্থিত হয় তারা বারবার সেখানে ফিরে যেতে চান কেবল গল্পের জন্য নয়, সংযোগের অনুভূতির জন্য।”
Read more:- আপনিও কি এই ভিটামিন উচ্চ মাত্রায় গ্রহণ করছেন? সাবধান! আপনিও হৃদরোগের শিকার হতে পারেন
এই গভীর সংবেদনশীল সংযোগটি যুক্ত হয়েছিলেন ইস্রায়েলের একজন গল্পকার। তিনি বলেছেন গল্প বলার কোনো নিদিষ্ট সময় নেই। “যদিও প্রযুক্তি বিশাল উল্লম্ফন ঘটাচ্ছে, কিন্তু তাও মানুষের আত্মা এবং আবেগ হাজার হাজার বছর আগের মতোই রয়ে গেছে,”৷তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প বলার মধ্যে সকলে হাসতে, কাঁদতে এবং একতা অনুভব করার করতে পারে, এবং এই অনুভূতিটি শুধু কয়েক মুহূর্ত জন্য হয়। “গল্প বলার মধ্যে সরলতা, প্রত্যক্ষতা এবং পরিশীলিততার অভাব হল এর ক্ষমতার রহস্য,”। আমাদেরকে একটি আদিম সংযোগে ফিরিয়ে আনে যেখানে আমরা প্রয়োজন ছাড়াই একসাথে থাকতে পারি।
সিয়েরা লিওনের গল্পকার উসিফু জাল্লোহ এই অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছেন, ডিজিটাল যুগে মুখে গল্প বলার প্রাসঙ্গিকতাও ব্যাখ্যা করেছেন। “মৌখিক শব্দ ব্যতীত, ডিজিটাল বিশ্ব কখনই হতে পারে না,” তিনি বলেছেন যে মুখোমুখি, মানসিক মিথস্ক্রিয়া সহজাত এবং স্বাভাবিকভাবে হয়ে থাকে।” জাল্লোহ জোর দিয়েছিলেন যে গল্প বলার মাধ্যমে, আমরা আমাদের অপূর্ণতাগুলি শেয়ার করি, মাধ্যমে আমরা সম্পর্কযুক্ত এবং অনুপ্রেরণামূলক সম্পর্কগুলো তৈরি করে থাকি।
গল্প বলার অন্তর্নিহিত সত্যতা এবং দুর্বলতা যা এটিকে এত শক্তিশালী করে তোলে, বিশেষ করে আজকের জটিল বিশ্বে৷ জাল্লোহ উল্লেখ করেছেন যে আমাদের মস্তিষ্কগুলি মানুষ এবং গল্পগুলির সাথে একসময় আসে মিলে যায়। তিনি ব্যাখ্যা করেন “আমাদের মস্তিষ্ক শুধুমাত্র ডেটা, তথ্য এবং জটিলতার সাথে সম্পর্কিত না হয়ে গল্পের সাথে আরও ভালভাবে সংযোগ করে।”
এই ডিজিটাল যুগে, যেখানে আমরা প্রায়শই বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করি। গল্প বলার পদ্ধতি প্রকৃত কাজ হল আমাদের গল্প গুলো সম্পর্কে মস্তিষ্কে একটি ছবি তৈরি করার। গাহিলোট এবং জাল্লোহ উভয়ই জানিয়েছেন,গল্প ডিজিটাল বিশ্বের গোলমালকে অতিক্রম করার সাথে সাথে, একটি নিরবধি এবং অমূল্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে।গল্প বলার শক্তি কেবল গল্পের মধ্যেই নয় বরং তারা একটি সংযোগগতৈরি করে যা আমাদের আত্মায় চিরকালের স্মৃতিগুলিতে রয়ে যায়।
এরকম জীবনধারা মূলক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউস বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।