Bangla News

Cyclone Remal in West Bengal: রাতভর রেমালের তাণ্ডব! তবে একটি কারণেই বড়সড় বিপদের হাত রক্ষা পেল সুন্দরবন সহ দুই ২৪ পরগণা

Cyclone Remal in West Bengal: কি কারণে বড়সড় বিপদের হাত রক্ষা পেল উপকূলবর্তী জেলাগুলি?

 

হাইলাইটস:

  • গতকাল রাতের আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’
  • বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং সাগরদ্বীপের মাঝে ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ১৩৫ কিলোমিটার
  • তবে এ যাত্রায় বড়সড় বিপদের হাত রক্ষা পেল সুন্দরবন সহ দুই ২৪ পরগণা

Cyclone Remal in West Bengal: হাওয়া অফিসের কথা মতোই রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং সাগরদ্বীপের মাঝে মোংলা বন্দরের দক্ষিণ পশ্চিমে ঘূর্ণিঝড় রূপেই ল্যান্ডফল করে ‘রেমাল’ (Remal)। জানা যাচ্ছে, ল্যান্ডফলের সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ১৩৫ কিলোমিটার। তবে আজ, সোমবার বাংলাদেশের বুকে ঢোকার জন্য কিছুটা শক্তি হারিয়েছে ‘রেমাল’।

We’re now on WhatsApp – Click to join

স্থলভাগে ঢোকার সময় ‘রেমাল’-এর তান্ডব লীলায় উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলায় ভেঙে পড়েছে একাধিক কাঁচা বাড়ি। সেই সঙ্গে বহু জায়গায় গাছ পড়েও বিপত্তি বেড়েছে। আজ সকালেই শোনা গেছে, বাড়ি ধসে গিয়ে রেণুকা মণ্ডল নামে ৮০ বছর বয়সি বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে কলকাতাতেও বিপজ্জনক বাড়ির অংশ ভেঙে একজনের মৃত্যু হয় রবিবার।

তবে স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রশাসনিক কর্তারাদের মতে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও দুই চব্বিশ পরগণায় বিশেষ করে সুন্দরবনে নদী তীরবর্তী এবং সমুদ্র লাগোয়া এলাকাগুলিতে মাটির বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম ভেসে যাওয়ার যে ভয় থাকে, সেই বিপদ কিন্তু কিছুটা এড়ানো গিয়েছে। কারণ রেমাল যখন স্থলভাগে আছড়ে পড়ে, তখন ভাঁটা চলছিল। আর ঠিক সেই জন্যই এ যাত্রায় সুন্দরবন সহ দুই চব্বিশ পরগণার উপকূলবর্তী এলাকাগুলি বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে, তা বলাই যায়৷

We’re now on Telegram – Click to join

রেমালের দাপটে উত্তর চব্বিশ পরগণার হাসনাবাদ এবং হিঙ্গলগঞ্জ আর দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার নামখানা এবং সাগরের মতো এলাকায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে৷ ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল রোষ এবং তার সঙ্গে মুষলধারায় বৃষ্টিতে কার্যত আতঙ্কের প্রহর গুনেছেন ওই এলাকার মানুষজন৷ প্রাণ বাঁচাতে বেশিরভাগই বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন৷ কারণ ঘূর্ণিঝড় এবং লাগাতার বৃষ্টির জন্য তাদের কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে, উড়ে গিয়েছে টিনের চালও। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

আমফানের মতো এবারেও নদী বাঁধ ভেঙে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে অবস্থিত একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হতে পারতো। তবে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকে নদী বাঁধগুলির আপতকালীন মেরামতিতে কার্যত জোর দিয়েছিল প্রশাসনও৷ এদিকে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় নদীতে ভাঁটা থাকায় বিপদ খানিকটা এড়ানো গিয়েছে৷

Read more:- শক্তি বাড়িয়ে আজই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ‘রেমাল’! ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি কোথায়? জেনে নিন বিস্তারিত

তবে দুই চব্বিশ পরগণার তুলনায় বাংলার আরও এক উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব তুলনামূলক কম পড়েছে৷ কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব না পড়লেও দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া এবং সেই সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হয়েছে৷ আজ সকাল থেকে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে জেলায় জেলায়৷

ঘূর্ণিঝড় রেমালের সমস্ত আপডেট পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button