Red Banana Benefits: বেশিরভাগ মানুষ হলুদ কলা খেয়ে থাকেন, কিন্তু আপনি কি কখনো লাল কলা খেয়েছেন? লাল কলার উপকারিতা জানলে অবাক হবেন
Red Banana Benefits: লাল কলা খুবই মিষ্টি, জেনে নিন এর উপকারিতাগুলি
হাইলাইটস:
- লাল কলা খুব মিষ্টি
- দুটি কলার মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর?
- লাল কলার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
Red Banana Benefits: কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি কমায়। এটি পেটের জন্যও খুব ভালো বলে মনে করা হয়। এটি পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬ এর একটি ভালো উৎস। সাধারণত, আমরা যখনই কলা নিয়ে কথা বলি, প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে হলুদ কলা। তবে হলুদ কলার মতো লাল কলাও খুবই স্বাস্থ্যকর। লাল কলা হলুদ কলার চেয়ে কিছুটা ছোট এবং মিষ্টি। এতে হলুদ কলার চেয়ে বেশি বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি থাকে। কিন্তু, আপনি কি জানেন এই দুটি কলার মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর? জানতে এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
আসলে, লাল কলা মূলত অস্ট্রেলিয়ায় উৎপাদিত হয়। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ, মেক্সিকো এবং আমেরিকার কিছু অংশেও এর চাষ হয়। ভারতে, এটি প্রধানত কর্ণাটকের আশেপাশের অঞ্চলে চাষ করা হয়। লাল কলার স্বাদ সাধারণ কলার মতোই, তবে এর গন্ধ বেরির মতো ফলের মতো। একটি লাল কলায় ৯০ ক্যালোরি এবং ভালো পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যার কারণে বারবার ক্ষুধা লাগে না।
লাল কলা খুব মিষ্টি
ভারতের কথা বললে, এটি বিশ্বের বৃহত্তম কলা উৎপাদনকারী দেশ। এখানে প্রায় সাড়ে চার লাখ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়। আমাদের দেশে বছরে ১৮০ লাখ টনের বেশি কলা উৎপাদিত হয়। বিশ্বে প্রাপ্ত ৩০০ প্রজাতির কলার মধ্যে প্রায় ৩০-৪০ প্রজাতি ভারতে পাওয়া যায়। এই প্রজাতির একটি হল লাল কলা। এই প্রজাতির উদ্ভিদের উচ্চতা ৪ থেকে ৫ মিটার। এই জাতের বাকল লাল ও কমলা রঙের এবং পশম ঘন। লাল রঙের কলার স্বাদ মিষ্টি। প্রতিটি গুচ্ছে ৮০ থেকে ১০০টি ফল থাকে। তাদের ওজন ১৩ থেকে ১৮ কেজি।
লাল কলা খাওয়ার উপকারিতা-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
লাল কলা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। লাল কলায় কম গ্লাইসেমিক প্রতিক্রিয়া আছে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের লাল কলা খাওয়া উচিত।
লাল কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর
লাল কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর। একটি ছোট লাল কলায় মাত্র ৯০ ক্যালোরি থাকে এবং এতে প্রাথমিকভাবে জল এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি এই কলার পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে দেয়।
কিডনির জন্য উপকারী
কিডনির সমস্যা হলে প্রতিদিন লাল কলা খেতে হবে। এটি আপনাকে আপনার কিডনিতে পাথর হতে বাধা দেয়। এটি খেলে হাড়ও অনেক মজবুত হয়।
রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়
লাল কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়ক বলে মনে করা হয়। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই লাল কলা খেতে হবে।
চোখের জন্য উপকারী
লাল কলা চোখের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। প্রতিদিন এটি খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়। এতে লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক উপাদান পাওয়া যায়। এছাড়া এতে বিটা ক্যারোটিনয়েড এবং ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যা দৃষ্টিশক্তির জন্য উপকারী।
লাল কলা ধূমপানের নেশা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে
লাল কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এর নিয়মিত সেবন ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করে।
লাল কলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে আমরা অনেক ফল খেয়ে থাকি এবং সেই ফলগুলোর মধ্যে একটি হল লাল কলা। লাল কলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬ পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
হার্টের জন্য উপকারী
লাল কলায় প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত পটাসিয়াম হৃদস্পন্দনকে শিথিল করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
লাল কলায় উপস্থিত উচ্চ ফাইবার উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
লাল কলা খেলে মানুষ ওজনের দিক থেকে দ্বিগুণ উপকার পায়। এটি শুধু ওজন বাড়াতে নয়, ওজন কমাতেও সহায়ক। আপনি যদি আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে লাল কলা অন্তর্ভুক্ত করেন তবে আপনার ওজন কমতে শুরু করে এবং আপনি স্থূলতা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পান। এতে চর্বির পরিমাণ খুবই কম।
We’re now on WhatsApp- Click to join
লাল কলার অন্যান্য উপকারিতা
- এর মাধ্যমে পারকিনসন্সের মতো রোগ নিরাময় করা যায়।
- পাথরের ঝুঁকি কমাতে লাল কলা কার্যকর।
- লাল কলায় ভিটামিন B-৬ এর উপস্থিতি শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখে।
- এটি হজম শক্তিতেও সহায়ক।
- লাল কলায় ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম পাওয়া যায়, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
লাল কলার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অনেক সময় কলা বেশি পরিমাণে খেলে অ্যালার্জি হতে পারে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। লাল কলা বেশি পরিমাণে খেলে বমি, ফোলা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি হতে পারে। অতিরিক্তভাবে, লাল কলার অত্যধিক ব্যবহার শরীরে
পটাসিয়ামের মাত্রা বাড়াতে পারে যার ফলে হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিক ছন্দ দেখা দিতে পারে। তবে, লাল কলা খাওয়ার পর আপনি যদি কোনো ধরনের অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে তা খাওয়া বন্ধ করে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এইরকম আরও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।