১০টি খাবার যা তাৎক্ষণিকভাবে আপনার মেজাজ উন্নত সক্ষম
এখানে ১০টি খাবার রয়েছে যা আপনার মেজাজ পরিবর্তন করতে পারে
বর্তমান জীবনধারায় পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যেই বিষণ্নতা, মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি ব্যক্তি আজ তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকে। কিন্তু আমাদের একঘেয়ে রুটিন প্রায়ই আমাদের মেজাজ নষ্ট করে দেয় এবং আমরা হতাশ বোধ করি। তাই এখানে আমরা ১০টি খাবারের তালিকা নিয়ে এসেছি যা তাৎক্ষণিকভাবে আপনার মেজাজকে উন্নত করতে পারে।
১. কলা: এটি পটাসিয়ামে পরিপূর্ণ। এটি কেবল শরীরে শক্তি সরবরাহ করে না বরং আমাদের দীর্ঘ সময়ের জন্যও পূর্ণ বোধ করে। এটি উচ্চ মাত্রার ট্রিপটোফ্যানের কারণে হতাশার বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে, যা আমাদের খুশির মেজাজ তৈরি করতে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়।
২. চকোলেট: কোনও কারণ ছাড়াই চকোলেট সবসময় আমাদের খুশি করে দেয়। এটি শুধুমাত্র মেজাজ উন্নত করে না, এটি শরীরে ম্যাগনেসিয়ামও প্রদান করে, যা আপনার পেশি শান্ত করতে সাহায্য করে।
৩. ডিম: আপনার মেজাজকে রোদের মত উজ্জ্বল করতে নিয়মিত ডিম খেতে হবে। কুসুম শুধু সুস্বাদু নয়, এতে এল-ট্রিপটোফেনও রয়েছে যা শরীরে সুখী হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. কফি: সারাদিন আমাদের মেজাজ বাড়াতে আমরা অনেকেই নিয়মিত কফির উপর নির্ভর করি এবং এটি সত্যিই তাই করে। কিন্তু সেইসাথে কফি হতাশার ঝুঁকি কমাতে এবং ডোপামিন এবং সেরোটোনিন বাড়াতেও পরিচিত।
৫. কমলালেবু: এটি ভিটামিন-C এর একটি উৎস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যখনই আপনি বিষণ্ণতা বোধ করেন কমলালেবু সত্যিই কাজে আসতে পারে। কারণ এইগুলি একটি মেজাজ উত্তোলক হিসাবেই কাজ করে।
৬. আখরোট: আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে যৌগ যা মস্তিষ্ককে রক্ষা করে, যেমন ভিটামিন E, মেলাটোনিন, ওমেগা-৩ ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। আবার আখরোট বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা এবং চাপও কমাতে পারে, যা দীর্ঘতর ও সুখী জীবনের দিকে পরিচালিত করে।
৭. মুরগি: মুরগির মাংসে ভিটামিন-B12 থাকে, যা শরীরকে শান্ত করতে সাহায্য করে। ফলে মাংস কিছুটা হলেও আমাদের মেজাজ উন্নত করে।
৮. কুইনোয়া: এটি এই মুহূর্তে সবচেয়ে লাইমলাইটে রয়েছে। এটি প্রধানত বিষণ্নতা-বিরোধী প্রভাব এবং সামগ্রিক সুখকে বাড়িয়ে তোলে।
৯. গ্রিন টি: আমরা সবাই জানি যে, একটি ভেষজ চা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। গবেষণায় প্রমাণিত যে, যারা দিনে ৫ কাপ গ্রিন টি পান করেন তাদের মানসিক চাপের মাত্রা অনেক কম।
১০. দই: এটি ফলের সাথে নিখুঁত সংযোজন। এটি দিয়ে আপনি দিনের শুরু করতে পারেন। দই ভিটামিন-B12 , সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। শক্তির মাত্রা বাড়াতে এবং ঝিমিয়ে পড়া অনুভূতি কমাতে এটি একদম কার্যকরী ভূমিকা নেয়।