lifestyle

অ্যাসিডিটি থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে যোগব্যায়াম করুন

অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে এই যোগব্যায়ামগুলি চেষ্টা করুন

আজকালকার দিনে বেশিরভাগ মানুষই যে সমস্যায় ভুগছেন, তা হল অ্যাসিডিটি। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব এবং অস্থিরতা। যোগব্যায়াম অ্যাসিডিটি এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। কপালভাতি, বজ্রাসন এবং উস্ট্রাসন অ্যাসিডিটি এড়াতে সাহায্য করে। প্রতিটি সমস্যার সমাধান রয়েছে এবং এখানে আমরা আপনার অ্যাসিডিটির সমস্যার জন্য কার্যকর সমাধান নিয়ে এসেছি।

অ্যাসিডিটি বর্তমানে একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা প্রধানত অস্বাস্থ্যকর খাবার, বদ হজম, অতিরিক্ত ক্যাফেইন, তামাক বা অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে হয়।

এটি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত সত্য যে, যোগব্যায়াম আপনার সাধারণ স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার উপর অলৌকিকভাবে ভালো প্রভাব ফেলে। যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়, উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেয়, আপনাকে সুন্দর ও ভালো ত্বক দেয়। কিন্তু আপনি কী জানেন যে, যোগব্যায়াম আপনাকে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করতে পারে?

এখানে যে যোগব্যায়ামগুলির কথা বলা হয়েছে সেগুলি হল:

১. বজ্রাসন: এই ব্যায়ামটি আপনার পেট এবং অন্ত্রে রক্ত ​​​​প্রবাহ বাড়ায়, এইভাবে আপনার হজমশক্তি উন্নত করে। প্রথমে আমাদের দুর্বল পাচনতন্ত্রের উপর কাজ করতে হবে।

২. পবনমুক্তাসন: এই ব্যায়ামটি আপনার অন্ত্রের আন্দোলনকে উদ্দীপিত করতে সহায়তা করে, যা আপনার শরীর থেকে বর্জ্য এবং বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে সহায়ক। এইভাবে হজমের সমস্যাগুলি দূর করে এবং তারপর থেকে কোনো অ্যাসিডিটি হয় না।

৩. কপালভাতি প্রাণায়াম: আপনার সমস্ত পেট সম্পর্কিত ব্যাধি এবং সমস্যার জন্য একটি সম্পূর্ণ সমাধান নির্দেশিকা। কপালভাতি প্রাণায়াম স্থূলতা, হজম সংক্রান্ত সমস্যা এবং অ্যাসিডিটি এড়াতে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে। এটি শ্বাসকষ্টের সমস্যাও মোকাবেলা করে।

৪. নাড়ী শোধন প্রাণায়াম: এটি আপনার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে এবং স্ট্রেস মুক্ত করে, এটি অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আদর্শ ভূমিকা নেয়।

৫. উস্ট্রাসন: এই ব্যায়ামটি আপনার মনকে শিথিল করতে এবং রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, তাই আপনাকে অ্যাসিডিটি এড়াতেও সহায়তা করে। এটি শ্বাসযন্ত্র, অন্তঃস্রাবের জন্যও ভালো কাজ করে।

অ্যাসিডিটি এড়াতে অন্যান্য টিপসগুলি হল:

১. তৈলাক্ত এবং মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

২.অতিরিক্ত অ্যালকোহল এবং তামাক সেবন এড়িয়ে চলুন।

৩.অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ কমিয়ে দিন।

৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

৫. ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button