Mamata Banerjee: ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গের, কালিম্পংয়ে সেনা নামানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
Mamata Banerjee: উত্তরবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে পাহাড়ি জেলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনার সাহায্য নেওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী
হাইলাইটস:
- সিকিমের বিপুল এলাকা জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে
- পাহাড়তলিতেও তার প্রভাব এসে পড়ছে
- উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার
Mamata Banerjee: জলাধার ফেটে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সিকিমের বিপুল এলাকা৷ বেশিরভাগ পাহাড়ি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে৷ আর তার প্রভাব এসে পড়ছে পাহাড়তলিতেও৷ আর সেই কারণেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে চলেছে নবান্ন৷ বর্তমান দুর্যোগের পরিস্থিতি নিয়ে পাহাড়ের জেলা কালিম্পংয়ে সেনা নামানোর নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
বুধবারের বৈঠকে পাহাড়ি জেলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনার সাহায্য নেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আর সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে আপাতত কালিম্পংয়ে এক কলাম সেনাকে কাজে ব্যবহার করার কথা জানালেন মুখ্যসচিব৷ একদিকে পাহাড়ের হ্রদ ফেটে যাওয়ায় কারণে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তা নদী, সিকিমের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে সমস্যা তৈরী হয়েছে৷ জানা গেছে, হড়পা বানের তোড়ে নিখোঁজ ২৩ জন সেনা৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তিনটি দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ দিকে না যায়, সেই জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার৷
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হচ্ছে৷ রাত ৩ টের সময় খবর এসেছে৷ তারপর থেকে উদ্ধারকাজ চালু হয়েছে৷ কালিম্পংয়ে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে৷ সিকিমের সাথে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে৷ আমি রাত থেকে নজরদারি চালাচ্ছি৷ ভারতীয় সেনার সাথেও আমরা যোগাযোগ রাখছি৷ ও দিকে ডিভিসিতে প্রচুর জল জমে আছে৷ সেখানেও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ একটু কম করে জল ছাড়তে বলেছি আমরা৷’’
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘‘আমরা কয়েকজন মন্ত্রীকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়িত্ব দিচ্ছি৷ এ ছাড়া আমি ২৪ ঘণ্টা বিষয়টির উপর নজরদারি চালাব৷ পাশাপাশি, লো ল্যান্ড অর্থাৎ নীচু জমিতে যাঁরা আছেন, তাঁদের বলছি আপনারা রিলিফ ক্যাম্পে আসুন৷ আর মৎস্যজীবীদের অনুরোধ করছি আপনারা এখনই মাছ ধরতে যাবেন না৷’’
রাজ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।
