Mamata Banerjee On Flood Control: সিকিমে হড়পা বান, উত্তরবঙ্গে বন্যার পরিস্থিতি! পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata Banerjee On Flood Control: সিকিমের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

হাইলাইটস:

  • উত্তরবঙ্গে বন্যার আশঙ্কায় একাধিক নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
  • সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মী এবং আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের
  • মুখ্যসচিবকে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম খোলা নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

Mamata Banerjee On Flood Control: লাগাতার বৃষ্টি এবং হড়পা বানের জেরে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত এ রাজ্যের উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকা। তিস্তা নদীও ভয়ংকর রূপ সামনে এসেছে। সকালেই খবর পাওয়া গেছে, সিকিমের সিংতামের সেনার ছাউনি থেকে ২৩ জন জওয়ান সহ মোট ৪১টি সেনাবাহিনীর গাড়ি নিখোঁজ। এইরকম ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির কর্মী এবং আধিকারিকদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মী এবং আধিকারিকদের সতর্ক থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি নবান্নের তরফে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। আজ অর্থাৎ বুধবার রাজ্যের মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ ত্রিবেদী নেতৃত্বে এক টেলিফোনিক বৈঠকে এই রকমই নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তিনি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন ২৪x৭-এর জন্য কন্ট্রোল রুম খোলারও। এছাড়া নদী তীরবর্তী অঞ্চলে থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সারানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।

এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সেচ দফতরের সচিব, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব, বিদ্যুৎ দফতরের সচিব, পূর্ত দফতরের সচিব, সব দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে। এখন আপাতত সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পুজোর ঠিক আগে বন্যার হাতছানি…, আমাদের বাংলা অনেকটা নৌকার মতো। কারণ ঝাড়খণ্ড জল ছাড়লে আমরা ডুবে যাই আবার সিকিম জল ছাড়লেও আমার ডুবে যাই। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যাতে প্রশাসনের দিক থেকে কোনওরকম গাফিলতি না থাকে তা দেখতে হবে। এখনও পর্যন্ত ৩টি দেহ পেয়েছি আমরা, সেগুলি নিখোঁজ হওয়া সেনাদের দেহও হতে পারে। পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি।”

এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, “নৌকা-সহ যা যা প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন সবই আপাতত প্রস্তুত রয়েছে। ত্রাণের সামগ্রীও তৈরি আছে। বাকিটা আমরা নজরে রাখছি। এই পুজোর সময় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। কারণ এই সময় মানুষের একটু রোজগারপাতি হয়। এমনিতেও ১০০ দিনের কাজ বন্ধ, তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আমার ১০০ দিনের কাজটা চালিয়ে যাচ্ছি। চিন্তা করবেন না, ভয়ও পাবেন না।’

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.