Mamata Banerjee: আজ আবারও ওড়িশা পাড়ি দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হওয়া ব্যক্তির পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Mamata Banerjee: মঙ্গলবার আবারও ওড়িশা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

হাইলাইটস:

• আবারো ওড়িশা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

• তাঁর সাথে যাচ্ছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং মন্ত্রী শশী পাঁজা

• দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হওয়া আহত ব্যক্তির পরিবারের একজনকে চাকরি

Mamata Banerjee: গতকাল কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরের৷ কিন্তু ওড়িশায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করেছেন তিনি৷ আজ আবারও ওড়িশা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সঙ্গে যাবেন মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও।

এ রাজ্যে কমপক্ষে ৩০ জন বাসিন্দা ওড়িশার কটকের হাসপাতালে এখনও ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন৷ সেখানের হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসাধীন থাকা আহতদের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলে ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন কি না দেখতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ওড়িশা সফর। তাঁদের শারীরিক অবস্থার খবর নিতে এবং তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই ওড়িশা যাচ্ছেন তিনি৷ কটকের পাশাপাশি ভুবনেশ্বরেও যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রেল দুর্ঘটনায় আহতরা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের মধ্যে সবথেকে বেশি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা৷ এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যের ৯০ জন বাসিন্দার দেহ শনাক্ত করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই ৭৬ জনের দেহ রাজ্যে এসে পৌঁছেছে ওড়িশা থেকে৷

সোমবারই করমণ্ডল দুর্ঘটনায় এ রাজ্যের চার নিহত বাসিন্দার মৃতদেহ এসে পৌঁছোয়। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তাঁকে শববাহী শকটের জন্য নবান্নের কাছে একটি টোল প্লাজাতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। সেখান থেকেই নিহতদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। সেখান থেকেই এসএসকেএম হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত তিন জনের চিকিৎসা চলছে এসএসকেএম হাসপাতালে৷ তিনি নিজের দার্জিলিং সফর বাতিল করে কটক যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন নিহত ব্যক্তিদের বাড়ির লোক এবং আহত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার খবর আসতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সেদিন রাতভর তিনি মনিটরিং করে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন। পরদিন শনিবার সকালেই বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলে তিনি চলে যান। তিনি খতিয়ে দেখেন সেই দুর্ঘটনাস্থল। সেখান থেকে তিনি চলে যান বালেশ্বরের হাসপাতালেও। সেখানে তিনি আহত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের শারীরিক অবস্থা সম্বন্ধে অবগত হন।

পূর্বেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, “ডাল মে কুচ তো কালা হ্যায়। কী কারণে এই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটল তা জানতে অবিলম্বে তদন্ত হওয়া জরুরি।” সাথে সাথে উনি এও দাবি করেন, তিনি রেলমন্ত্রী থাকার সময়কালে তিনি ট্রেনগুলিতে অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম তৈরী করেন। সেই সিস্টেম ব্যবহার না করার কারণে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

আগেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়া হবে৷ গতকাল মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি দুর্ঘটনায় যাদের অঙ্গহানি হয়েছে, তাদের পরিবারেরও একজনকে পুলিশে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে।

গতকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের কথা ছিল৷ কিন্তু মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সেই সফর বাতিল করেন তিনি৷ গত শুক্রবার ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায়৷ আমাদের রাজ্যের মোট ৮১ জন বাসিন্দা করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এ রাজ্যের মোট ২০৬ জন বাসিন্দাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে এখনও ৭৩ জন চিকিৎসাধীন। ৫৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। এই দুর্ঘটনায় এখনও ১৮২ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনার পরের দিন শনিবার বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী নিহত ব্যক্তিদের সাথে দেখা করতে৷ ফের আজ ওড়িশা যাচ্ছেন তিনি৷

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.