Hanuman Jayanti 2023: হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে অশান্তি রুখতে তৎপর রাজ্য, নেমেছে আধা সামরিক বাহিনীও

রামনবমীর পুনরাবৃত্তি এড়াতেই সরকারের এইরূপ পদক্ষেপ

হাইলাইটস:

•হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে নেমেছে তিন কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী

•গতকাল থেকেই তারা রুটমার্চ শুরু করে দিয়েছেন

•যেকোনও অশান্তি রুখতে তৎপর রাজ্য প্রশাসনও

Hanuman Jayanti 2023: রামনবমীর দিন রাজ্যবাসী দেখেছিল এক ভয়াবহ দৃশ্য। হাওড়া, হুগলি, ডালখোলায় রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়েছিল। হাওড়ার শিবপুরের হিংসা চলেছিল রামনবমীর পরের দিনেও। আবার হুগলির রিষড়ায়ও ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। অবস্থা এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু রামনবমীর পুনরাবৃত্তি যেন না হয় হনুমান জয়ন্তীতে (Hanuman Jayanti 2023) সেই নিয়ে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। অশান্তি রুখতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

গতকাল হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে নবান্নে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে একই উচ্চপদস্থ বৈঠক ছিল। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজিপি, এডিজি আইনশৃঙ্খলা। এমনকি ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠকে ছিলেন প্ৰতিটি জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ কমিশনাররা। মুখ্যমন্ত্রী এখন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে আছেন, তাই হনুমান জয়ন্তীর মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তি এড়াতে রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

ইতিমধ্যেই হনুমান জয়ন্তী নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টও বড় বার্তা দিয়েছে। কোর্ট জানিয়েছে, শান্তি বজায় রাখতে হনুমান জয়ন্তীতে পুলিশকে সহায়তা করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই নির্দেশের পরই কেন্দ্রের থেকে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য সরকার। গতকাল থেকেই রুটমার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর আজ সকাল থেকেই কলকাতা, হুগলি এবং ব্যারাকপুরের রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার সাথে মোতায়েন আছে রাজ্য প্রশাসনও।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই হনুমান জয়ন্তীতে মিছিল করার জন্য প্রায় ১৬০টি আবেদন জমা পড়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে। কলকাতা পুলিশের তরফে আবার শোভাযাত্রার অনুমতির জন্য একটি অনলাইনে ফর্ম ছাড়া হয়েছিল। হনুমান জয়ন্তীতে রাস্তায় মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হলেও সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে তাদের সাথে। কলকাতা মহানগর এলাকায় হনুমান জয়ন্তীর কোন মিছিলে ১০০ থেকে ১৫০ জনের বেশি মিছিলে আসতে পারবে না। এবং যারা মিছিলে আসবেন তাঁদের নাম এবং সবিস্তার পরিচয় থানাকে জানাতে হবে। এমনকি মিছিলের ভিডিয়োগ্রাফি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। মিছিলে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র রাখা যাবে না বলেই জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তার সাথে কোনভাবেই ডিজে বাজানো এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য চলবে না একথাও সাফ জানিয়ে দিয়েছে লালবাজার।

একদিকে রমজান মাস চলছে, তার মধ্যেই আজ হনুমান জয়ন্তী। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফর থেকে রাজ্যবাসীকে শান্তিতে উৎসব পালনের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল দিঘায় প্রেসক্লাবের উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের মুখোমখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফের বলেন, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সবাই শান্তিপূর্ণ ভাবে উৎসব পালন করুন। সারা দেশে শান্তি থাক। বাংলায় শান্তি থাক।“ তাছাড়া রামনবমীর পুনরাবৃত্তি যেন না হয় এই নিয়ে কড়া রাজ্যপালও। তিনি আজ সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়েছেন।

অন্যদিকে রামনবমীর উৎসব ঘিরে শুধু বাংলা নয়, বিহার ও মহারাষ্ট্রেও একাধিক অশান্তির খবর শোনা গেছে। এইরকম পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফের একটি নির্দেশিকা জারি করে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে হনুমান জয়ন্তীতে শান্তি ধরে রাখার কথা বলা হয়েছে।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন। 

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.