lifestyle

Nusrat Jahan: ‘তিক্ত মানুষদের অপছন্দ’! তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কাকে খোঁচা দিলেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান?

Nusrat Jahan: এবারের লোকসভা নির্বাচনে টিকিট পাননি তৃণমূলের তারকা সাংসদ অভিনেত্রী নুসরাত জাহান

 

হাইলাইটস:

  • লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়লেন মিমি ও নুসরাত
  • মিমি নিজে থেকে ইস্তফা দিলেও নুসরাতকে বাদ দিয়েছে তৃণমূল
  • তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কাকে খোঁচা দিয়ে পোস্ট করলেন তারকা সাংসদ?

Nusrat Jahan: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তারকা সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরাত জাহানকে টিকিট দেননি তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভায় এই দুই তারকাই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তবে একাধিকবার তাঁদের কাজে অসন্তুষ্ট হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

We’re now on WhatsApp – Click to join

সম্প্রতি সন্দেশখালি ইস্যুতে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহানকে। গত জানুয়ারি মাসে সন্দেশখালিতে ইডি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার পর থেকে এলাকার বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের নাম সামনে আসে। শোনা যায় এই শাহজাহানের বাহুবলেই নাকি ভোটে জিতে এসেছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।

প্রার্থী ঘোষণার আগেই মিমি চক্রবর্তী সাংসদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এবং সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আর প্রার্থী হতে চান না। গত রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিনে মিমির ইচ্ছেকেই সম্মান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহানকে কেন দল টিকিট দিল না? সম্প্রতি তাঁর মুখে এমন কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি যে, তিনি প্রার্থী হতে চান না। বসিরহাটে নুসরাতের বদলে এবারে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন ‘ঘরের ছেলে’ হাজি নুরুল ইসলাম।

এবারের ব্রিগেডের মঞ্চেও দেখা যায়নি নুসরাতকে। টিকিট না পাওয়ার পর থেকে তিনি সংবাদ মাধ্যমে কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও রবিবার রাত থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একের পর এক পোস্টের ক্যাপশনগুলি খানিকটা অর্থবহ বলেই মনে করছেন নেটিজেনদের একাংশ। রবিবার রাতে অভিনেত্রী নিজের এক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে লিখেছিলেন, “আবারও শক্তি সঞ্চয় করে নিচ্ছি, বাকি সপ্তাহের জন্য”। অন্যদিকে সোমবার অভিনেত্রী লেখেন, “তিক্ত মানুষের থেকে ‘সাওয়ার ডো’ আমি বেশি পছন্দ করি”। তবে অনেকেই জানেন না কী এই সাওয়ার ডো? এটি এমন এক ধরনের ব্রেড যা তৈরি করতে কোনও কৃত্তিম ভাবে ইস্টের দরকার হয় না। এর পরিবর্তে গ্যাঁজলা ওঠা ময়দা এবং জলের মিশ্রণে যে ভালো ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় তা থেকেই তৈরি হয় এই সাওয়ার ডো। সাধারণত একটু টকটকই খেতে হয় এই ব্রেডটি।

আপাত দৃষ্টিতে দেখলে এই পোস্টটি অতি সাধারণ একটি পোস্ট। তবে নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, কালকের নানা ঘটনা সমূহকে এক করে একটি পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু বলে দিচ্ছেন বসিরহাটের সাংসদ। অন্যদিকে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষও সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একবার বলেছিলেন, “নুসরাতের সন্দেশখালির মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর সেখানে যাওয়া দরকার ছিল।” তবে কী সে কারণেই এবারে আর তৃণমূল ‘রিস্ক’ নিলেন না?

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button