lifestyle

Lemon Water In Summer: এই তীব্র গরমের মধ্যেও যদি ‘কুলিং এফেক্ট’ পেতে চান তবে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন এই সস্তার পানীয়টি

লেবুর জল শরীরে দেয় একটি সুন্দর সতেজতা

হাইলাইটস:

•গরমকালে লেবুর জলের বিকল্প খুঁজে পাওয়া মুশকিল

•এতে রয়েছে ভিটামিন C, যা শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে

•লেবুর জল ত্বকের নানা সমস্যা থেকেও আমাদের রক্ষা করে

Lemon Water In Summer: বাংলার বহু জেলাতেই এখন তাপমাত্রা গিয়ে পৌঁছেছে ৪০ ডিগ্রি। এমনকি শহর কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি টপকেও গেছে। মূলত বলা যায়, গ্রীষ্মের প্রবল দাবদহে পুড়ছে সারা বাংলা। এমনকি দিনের বেলা লু-ও বইছে। ফলে সাধারণ মানুষকে হতে হচ্ছে এর শিকার। এই প্রবল গরমে শরীরকে সুস্থ রাখা যেন এক চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর বাতাসে আর্দ্রতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এর ফলে দ্রুত শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেহ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে প্রয়োজনীয় জল। এর ফল স্বরূপ দেখা দিচ্ছে ডিহাইড্রেশন এবং হিট স্ট্রোকের জন্য ব্যাধিগুলি। এই তীব্র গরমের মধ্যেও যদি একটু ‘কুলিং এফেক্ট’ পেতে চান তবে আপনাকে পান করতে হবে লেবুর জল (Lemon Water In Summer)।

লেবু মূলত পুষ্টিগুনে ভরপুর। এবং তার সাথে গরমকালে শরীরকে সুস্থ রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। গরমকালের যেকোনও সমস্যা থেকে রক্ষা করে লেবু। ত্বক হোক বা শরীর লেবুর মধ্যে থাকা পুষ্টিগুনগুলি সবেতেই কামাল দেখায়। আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক লেবুর উপকারিতাগুলি –

১. জলের ঘাটতি মেটাবে:

এই প্রবল দাবদহে শরীর ভিতর থেকে গরম হয়ে যাচ্ছে, ফলে শরীরে দেখা দিচ্ছে জলের ঘাটতি। তাই দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার জলপান করা দরকার। যারা এই গরমেও সারাদিন রোদের মধ্যে কাজ করেন যারা একটু বেশি জল পান করুন। নাহলে শরীরে জলের অভাবে ডিহাইড্রেশন দেখা দেবে। এর ফলে হিট স্ট্রোকের মত রোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায় এই সময়ে। বিশেষ করে এই গরম আপনি যদি দিনে অন্তত একবার লেবুর জল পান করুন তবে অনেক উপকার পাবেন। কারণ গরমকালে লেবুর জল পান করলে এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। আবার এর পাশাপাশি লেবুর জল শরীরে জলের পর্যাপ্ত জোগানও দিতে সক্ষম হবে। এছাড়া একটা কুলিং এফেক্টও পাবেন, যার ফলে ক্লান্তিও কিছুটা কাটবে। তাই গরমকালে অবশ্যই আপনাকে খেতে হবে এই এনার্জি ড্রিংকটি।

২. ইমিউনিটি বাড়াতেও সাহায্য করে:

এই অতিরিক্ত গরম এবং তার সাথে প্রচন্ড রোদে শরীরে দেখা দিচ্ছে ইমিউনিটির অভাব। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন C। আমরা সকলেই জানি যে, এই ভিটামিনটি শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই প্রবল গরমে কিছু দরকার হোক বা না হোক ইমিউনিটির ভীষণ ভাবে দরকার। নাহলেই বিভিন্ন রোগ বংশবিস্তার করতে শুরু করবে শরীরের মধ্যে। ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লেবুকে রাখতে ভুলবেন না। একমাত্র সহজ পাচ্য খাদ্য লেবু খেলেই আপনার শরীরে ভিটামিন C প্রবেশ করবে। ফলে আপনার শরীরে আর ইমিউনিটির অভাব দেখা দেবে না।

৩. ত্বকের জন্যও কার্যকরী:

এই প্রবল গরমে যখন বাড়ির বাইরে বেরোন সানস্ক্রিন লাগানো থাকলেও ত্বকের বারোটা প্রায় বেজেই যায়। গরমের দিনে আলট্রাভায়োলেট রশ্মির প্রভাব বাড়ে। ফলে খুব সহজেই ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা থেকে শুরু হয় ত্বকের নানা সমস্যা। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত যে, লেবুতে থাকা ভিটামিন C ত্বকের মধ্যে থাকা কোষের ক্ষতি আটকাতে সক্ষম। ত্বকের ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায় হল বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে এক গ্লাস লেবুর জল পান করে বেরোন, এর ফলে ত্বক সুস্থ থাকবে। আবার সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতেও আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবুর জল পান করতে পারেন।

৪. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়:

এই তীব্র গরমে শরীরের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায়, যার ফলে শরীর গরম হয়ে যায়। যা প্রভাবে বাড়ে উচ্চ রক্তচাপও। এর কারণে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। শুধু তাই না এর থাকে থাকে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা। সব মিলিয়ে বলা যায়, গরমকাল যেন রোগের ভান্ডার নিয়ে আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবুর মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুখ্য ভূমিকা নেয়। ফলে এই প্রবল যদি প্রতিদিন আপনি গরমে লেবুর জল পান করতে পারেন তবে আপনার হৃদরোগের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।

৫. ওজন কমাতেও সাহায্য করে:

ওজন কমাতেই অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন ডায়েট চ্যাট ফলো করেন। আমরা আপনাকে বলবো আপনি যদি দেহের ওজন কমাতে চান তবে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবুর জল খাওয়ার অভ্যাস করুন। ওজন কমানোর সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায় হল এই লেবুর জল। ওজন কমানোর এই পদ্ধতিকে জনপ্রিয় বললেও ভুল হবে না। তবে এই গরমের শরীরকে হাইড্রেটেড থাকতে এবং শরীরকে একটি ‘কুলিং এফেক্ট’ দিতে লেবুর জল কার্যকরী ভূমিকা নেয়। তার সাথে এটি গরমকালে জলের ঘাটতিও দূর করে।

এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত করুন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button