Understanding Menstruation:ভারতীয়রা ঋতুস্রাব বোঝে না!
হাইলাইটস:
- জ্ঞান ও সচেতনতার অভাব
- জনগণের চোখ খোলার প্রচেষ্টা
- বিস্তারিত আলোচনা
Understanding Menstruation:ভারতীয়রা ঋতুস্রাব বোঝে না!
ঋতুস্রাব একটি প্রক্রিয়া যা এক ট্যাবু অনেকেই কাছে,আমরা এই প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি তখনই এটাকে একাধিক কলঙ্ক এবং মিথের সাথে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে,ঋতুস্রাব একটি মাসিক প্রক্রিয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মিডিয়ায় এই বার্তার সম্পর্কে নানা বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।ঋতুস্রাব একটি প্রক্রিয়া যা যতটা স্বাভাবিক হতে পারে ততটাই করে নেওয়া উচিত।সত্য যে বিভিন্ন লিঙ্গের অস্তিত্ব রয়েছে এবং তাদের সকলেরই বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়া রয়েছে যা প্রাকৃতিক।ঋতুস্রাব সম্পর্কে বিজ্ঞাপনগুলি তাদের কষ্টটাকে বোঝার চেষ্টা তৈরি করে না বরং এমন একটি প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে যার উপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই।
বিজ্ঞাপনদাতারা কীভাবে ঋতুস্রাবের বিজ্ঞাপন দেয় তার ফাঁকগুলি এখানে রয়েছে৷
প্রচার করা যে মাসিক তাদের ক্ষমতায়িত নারী হতে ডানা দেবে: বিজ্ঞাপনগুলিতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য একটি পণ্য রয়েছে এবং তাদের জন্য,তাদের মিডিয়া বার্তায় কী অর্থ থাকতে পারে তা খুব কমই গুরুত্বপূর্ণ।তাদের জন্য,নারীর ক্ষমতায়ন একটি বিপণনযোগ্য জিনিস এবং তারা তাদের বিজ্ঞাপনে যা চিত্রিত করে তা হল তাদের কোম্পানির মাসিক পণ্যটি পরার পর হঠাৎ করে মহিলাটি উড়তে শুরু করবে এবং সুপার পাওয়ারফুল হয়ে উঠবে।
লাল রঙের স্থানে নীল রঙের ব্যবহার:
আমরা আশ্চর্য হই যে বিজ্ঞাপন নির্মাতারা কেন মনে করেন যে মাসিকের সময় একজন ঋতুস্রাব অক্টোপাস হয়ে যায় কারণ সত্যিকার অর্থে মাসিকের সময় কোনও মানুষ নীল রক্ত বের করে না।নীল রঙের ব্যবহার শুধুমাত্র ঋতুস্রাবের চারপাশে জীবন্ত কলঙ্ককে জোরদার করে এবং কুৎসিত ভাবনাকে শক্তিশালী করে যে ঋতুস্রাব কুৎসিত।
পিরিয়ড কথাটি এড়ানো:
এই বিজ্ঞাপনগুলি সত্যিই পিরিয়ড কথাটি বলতে কষ্ট পায় এবং আমরা আশ্চর্য হই যে কেন ঋতুস্রাবের ধারণাকে স্বাভাবিক করার পরিবর্তে, ‘উন দিনুন ম্যায়’, ‘দিন চলতে হ্যায়’, ‘মুশকিল দিন’-এর মতো শব্দগুলি ব্যবহার করা হয়েছে যে কারণে কেউ সত্যিই বলতে পারে না আসলে ঘটনাটি কি।একদিকে তারা ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের ক্ষমতায়ন করে আবার অন্যদিকে তারা কেবল প্রচার করে যে তার মাসিকের দিনগুলিতে কিছু ভুল করছে।
মাসিককে অপ্রত্যাশিতভাবে দেখানো: বেশিরভাগ স্যানিটারি পণ্যের বিজ্ঞাপনের সাধারণ আখ্যানটি দেখানো হয় যে ঋতুস্রাব অপ্রত্যাশিত।তারা হয় দুর্বল,অস্থির,সচেতন এবং কিছুতে ভুগছে এমন একজন হিসাবে দেখায়।বৃহত্তর ধারণাটি কেবল দেখে মনে হয় যে মাসিকের সময় তারা সুস্থ নয় যা সত্যিই সত্য নয়।
এইরকম অনেক ত্রুটি আমরা দেখতে জব ভারতীয় জনগণকে অবগত করার জায়গায় পিছিয়ে দেয়।
এইরকম সমাজ সচেতনতা মূলক প্রতিবেদন পেতে চোখ রাখুন ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলায়।
