Healthy Benefits Of Watermelon Seeds: নিয়মিত তরমুজের বীজ খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার থেকে প্রেশার! উপকারিতা জেনে নিয়ে খাওয়া শুরু করুন
Healthy Benefits Of Watermelon Seeds: নিয়মিত তরমুজের বীজ খেলে এড়িয়ে চলতে পারবেন একাধিক অসুখ
হাইলাইটস:
• তরমুজের বীজ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী
• এই বীজে থাকা বেশ কিছু উপকারী উপাদান নানান রোগকে দূরে রাখে
• ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে তরমুজের বীজ
Healthy Benefits Of Watermelon Seeds: বেশিরভাগ মানুষই গরমে রসিয়ে তরমুজ খেতে পছন্দ করেন। গরম কালের একটি জনপ্রিয় ফল হল তরমুজ। স্বাভাবিক ভাবেই তরমুজ খেয়ে সকলেই তার বীজ ফেলে দেন। কিন্তু জানলে অবাক হবেন নিয়মিত তরমুজের বীজ খেলে একাধিক শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তীব্র গরমে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায় নিয়মিত তরমুজ খেলে। এই ফলে অধিক পরিমানে উপস্থিত জলীয় অংশ দেহে জলের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই ফলে একাধিক ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে। যা আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে অবাক হওয়ার বিষয় হল, এই ফলের বীজও কিন্তু অত্যন্ত উপকারী। বেশ কিছু অনন্য উপাদান রয়েছে এতে। তাই নিয়মিত তরমুজের বীজ খেতে পারলে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক তরমুজ বীজের একাধিক অজানা গুরুত্বপূর্ণ উপকারীতা।
১. তরমুজের বীজ পুষ্টিগুণের আধার:
নিয়মিত তরমুজর বীজ খেলে কপার, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং ফোলেটের মত উপকারী উপাদান পেতে পারেন আপনি। এই বীজে ক্যালোরির পরিমান একেবারেই কম। এই বীজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্ল্যান্ট কম্পাউন্ড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বর্তমান। তাই নিয়মিত তরমুজের বীজ খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটবে। শরীর থাকবে সুস্থ। এমনকী একাধিক ঘাতক অসুখকেও এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে।
২. নিয়ন্ত্রণে থাকে উচ্চ রক্তচাপ:
সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, তরমুজর বীজ খেলে হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থেকে। এই বীজে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম উপস্থিত থাকে যা শরীরের প্রেশার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্টের সমস্যা, কিডনির অসুখ এবং চোখের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। তাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত তরমুজর বীজ খাওয়া প্রয়োজন।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে:
দেহে ইমিউনিটি পাওয়ার বেশী থাকলে একাধিক সংক্রামক অসুখ থেকে দূরত্ব রাখা সম্ভব। ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মতো রোগ-জীবাণু সহজে কাবু করতে পারে না। এই ইমিউনিটিকে শক্তপোক্ত রাখার কাজে আপনাকে সাহায্য করবে তরমুজের বীজ। তরমুজের বীজে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণে বৃদ্ধি করে। তাই যাদের প্রায়শই জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা লেগেই আছে, তাদেরকে অবশ্যই নিয়মিত তরমুজের বীজ খেতে হবে।
৪. ফ্যাটের বহর কমে, নিয়ন্ত্রণে থাকে সুগার:
আয়রন, জিঙ্ক, কপার, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের মতো একাধিক উপকারী উপাদান সহ বেশ কিছু জরুরি অ্যামাইনো অ্যাসিড উপস্থিত থাকে তরমুজের বীজে। এই সমস্ত উপাদান একত্রে শরীরের মেটাবলিজমের মাত্রাকে অনেকটাই বৃদ্ধি করে দিতে পারে। আর বিপাকের হার বৃদ্ধির সাথে সাথে দ্রুত গতিতে কমে মেদ। তাই আপনার দেহের ওজন কমাতে চাইলেও ব্রহ্মাস্ত্র তরমুজের বীজ।
৫. হাড়কে মজবুত করে:
বর্তমানে বয়স ৩০ পেরোলেই বহু মানুষের অস্টিওপোরোসিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ের অসুখ দেখা দিচ্ছে। সুতরাং আগে থেকেই হাড়ের জোর বাড়িয়ে রাখাটা জরুরী। আর এই কাজে তরমুজের বীজ সাহায্য করতে পারে আপনাকে। তরমুজর বীজে থাকা কপার, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম খনিজগুলি একত্রে ‘অস্থি শক্তি’ বাড়াতে সহযোগিতা করে। তাই হাড়ের অসুখের সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই তরমুজের বীজ খান।
এছাড়াও তরমুজের বীজ ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধহস্ত। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করার পরিমান কমাতেও সাহায্য করে। এক্ষেত্রে প্রথমে এই বীজ গুঁড়ো করে নিন। তারপর প্রতিদিন সকালে একগ্লাস জলে এক চা চামচ এই বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে খান, তাতেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবিটিস।
এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।