Stree 2 Review: দেশ যখন নারী স্বাধীনতার প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে তখনই পুরুষতন্ত্রের শিকল ভাঙার বার্তা নিয়ে বড়পর্দায় হাজির হল ‘স্ত্রী ২’
হাইলাইটস:
- মুক্তির আগেই বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা শুরু করে দিয়েছিল শ্রদ্ধা-রাজকুমারের ‘স্ত্রী ২’
- দেশের এই রকম পরিস্থিতিতে পুরুষতন্ত্রের শিকল ভাঙার বার্তা নিয়ে হাজির হল ‘স্ত্রী ২’
- কেমন হল ‘স্ত্রী’য়ের সিক্যুয়েল?
Stree 2 Review: দেশজুড়ে যখন উদযাপন করা হল ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস, ঠিক তখনই প্রশ্ন উঠল দেশ বহুবছর আগে স্বাধীন হলেও নারীদের স্বাধীনতা কোথায়? ইতিমধ্যে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে সারা দেশ। দেশের জনগন থেকে শুরু করে সেলেব, সকলের মুখেই নারী স্বাধীনতার প্রশ্ন। শুধু টলিউড না বলিউডের সেলিব্রিটিরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের প্রোটেস্ট ব্যক্ত করেছেন।
We’re now on WhatsApp – Click to join
এই রকম পরিস্থিতিতে মুক্তি পেল অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ (Stree 2)। ঘটনাচক্রে সিনেমার গল্পের সঙ্গে সাম্প্রতিক চিত্র যেন মিলে মিশে একাকার। স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাতে যখন শহরের রাস্তা নারীরা দখলে রাখলো, সেই মিছিলে দেখা গিয়েছিল আট থেকে আশি সকলকেই। প্রত্যেকেরই দাবি ছিল, “We Want Justice”। আর আশ্চর্যজনকভাবে ‘স্ত্রী ২’-র ক্লাইম্যাক্স সিনেও সেই ছোঁয়াই যেন ফুটে উঠল।
ছবির ক্লাইম্যাক্সে দেখা গেছে, পুরুষভূত ‘সরকাটে’র (স্কন্ধকাটা) কায়েম করা নাগপাশ থেকে পুরুষতন্ত্রের চিরাচরিত শিকল ভেঙে চান্দেরি গাঁয়ের মহিলারা দলে দলে বেরিয়ে এল লাল শাড়ি পরে। তাঁদের দাবি, পুরুষতন্ত্রের শাসন তারা কিছুতেই মানবে না! দরজার তালা-ছিটকিনি সব ভেঙে তাঁরা সকলে একসাথে পথে নামল ‘স্ত্রী’ বন্দনায়।
We’re now on Telegram – Click to join
২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘স্ত্রী’ (Stree) সিনেমার সিক্যুয়েলই হল ‘স্ত্রী ২’। প্রথম ছবিতে যেমন হাড়হিম করা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল স্ত্রী। চান্দেরি গাঁয়ের ছেলেরাই ছিল তার আক্রোশের শিকার। ঠিক তেমন সিক্যুয়েলেদেখা গেল উলাটপুরাণ। এই ছবিতে দেখা গেল, স্ত্রীয়ের রাজত্ব শেষ হতেই পুরুষতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে খেলা দেখাতে শুরু করল ‘সরকাটে’ (স্কন্ধকাটা)। আর তার টার্গেট গাঁয়ের শিক্ষিত মহিলা এবং আধুনিকারা। অবশ্য চান্দেরি পুরাণ অনুসারে সেটাই ছিল ভবিতব্য। স্কন্ধকাটা ভূত নারীশক্তিকে পরাস্ত করার জন্য তাদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে সাদা থান পরিয়ে বন্দি করে রাখে নিজস্ব মন্ত্রগুহায়। পরিচালক অমর কৌশিক গল্পটি সাজিয়েছেন পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে মহিলাদের লড়াইকে কেন্দ্র করে।
চান্দেরি পুরাণ অনুসারে, স্কন্ধকাটা ভূতকে জব্দ করতে পারবে একমাত্র স্ত্রী-ই। এদিকে এই গ্রামের পুরুষরা কিছুতেই নিজেদের স্ত্রীয়ের কথা শোনা না। কিন্তু একের পর এক মহিলা অপহরণ হতে থাকায় কোনও উপায় খুঁজে না পেয়ে শেষমেশ নারীশক্তির কাছেই হাত পাততে হয় এই ছবির পুরুষ চরিত্রদের।
Read more:- ‘স্ত্রী ২’-প্রচারে সিটি অফ জয়ে শ্রদ্ধা, তাঁর সঙ্গী ছিলেন কলকাতার জামাই রাজকুমারও
এই ছবির চিত্রনাট্যের পরতে পরতে হাড়হিম করা রসদ না থাকলেও ছবিতে অভিনয় প্রতিটি চরিত্র প্রশংসাযোগ্য। শ্রদ্ধা কাপুর, রাজকুমার রাও এবং পঙ্কজ ত্রিপাঠীর অভিনয় নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে সাপোর্টিং চরিত্রে অপারশক্তি খুরানা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তবে শেষপাতের ট্যুইস্ট ছিল অক্ষয় কুমার এবং বরুণ ধাওয়ানের এন্ট্রি। বরুণের ‘ভেড়িয়া’-র কেমিও বোঝা গেলেও অক্ষয়ের চরিত্রের মধ্য দিয়ে কী ‘স্ত্রী’য়ের তৃতীয় সিক্যুয়েলের ইঙ্গিত দিলেন পরিচালক, শুরু হয়েছে জল্পনা।
এইরকম বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।
[…] […]