Heeramandi Review: ওটিটির পর্দায় পা রেখে কি বাজিমাত সঞ্জয় লীলা বনশালির? কেমন হল তাঁর প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘হীরামাণ্ডি’?

Heeramandi Review: বনশালির এই ‘হীরামাণ্ডি’র সবচেয়ে উজ্জ্বল হিরে হলেন মল্লিকাজান ওরফে মণীষা কৌরালা

 

হাইলাইটস:

  • নেটফ্লিক্সে সদ্যমুক্তি পেয়েছে সঞ্জয় লীলা বনশালির প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘হীরামাণ্ডি’
  • ওটিটি পা দিয়েও নিজের বৃত্ত থেকে বেরোলেন না বনশালি
  • জেনে নিন ‘হীরামাণ্ডি’-র রিভিউ

Heeramandi Review: নিজের বৃত্ত থেকে তিনি যে কোনওভাবেই বের হবেন না তার জলজ্যান্ত প্রমাণ আবারও দিলেন বলিউড পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি। বড়পর্দায় দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করে তিনি যখন প্রথমবারের জন্য ওটিটিতে পা দিলেন, তখন দর্শকরা মনে করছিলেন হয়তো ওটিটির জন্য নতুন বৃত্ত তৈরি করবেন তিনি।

‘দেবদাস’, বাজিরাও মস্তানি’ বা ‘পদ্মাবতে’র মতো ছবি ছেড়ে তিনি ‘খামোশি দ্য মিউজিক্যাল’ কিংবা ‘ব্ল্যাক’ ছবির মতো ‘সেনসেটিভ’ গল্প নিয়েই আসতে চলেছেন ওটিটি পর্দায়। নতুন চ্যালেঞ্জকে আহ্বান জানাবেন। কিন্তু ‘হীরামাণ্ডি’ (Heeramandi)-র মতো তৈরি করে বনশালি আবারও যেন বুঝিয়ে দিলেন তিনি বড্ড বেশি সাবধানী। যে ঘরানায় তিনি বহুবছর ধরে অভ্যস্ত তা দিয়েই ওটিটিতে অভিষেক ঘটালেন তিনি।

আর ঠিক সেই কারণেই নেটফ্লিক্সে (Netflix) সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত ‘হীরামাণ্ডি’-তে বনশালির তৈরি করা চরিত্ররাও তেমনই আচরণ করে গেলেন। এই সিরিজেও বিশাল প্রাসাদ, ঝলমলে আলো, ভারী গয়না, ভারী পোশাক সবই রয়েছে। যেখানে মূল গল্প শুধুই যেন অনুঘটক হয়ে রয়ে গেল বনশালির ‘ম্যাজিক’-এর কাছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, ‘হীরামাণ্ডি’ তৈরি করে কার্যত ব্যর্থ হয়েছেন বনশালি। বরং এই সিরিজ একটা কথা বারবার মনে করাবে যে, বনশালি বড়পর্দার জন্যই শ্রেষ্ঠ।

We’re now on WhatsApp – Click to join

একবার ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’র প্রচারের সময় এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ছোটবেলা থেকে যৌবন পর্যন্ত যে দু-কামরার ঘরে তিনি তাঁর মা এবং বোনের সঙ্গে থাকতেন, সে বাড়িটি ছিল মুম্বইয়ের অন্যতম রেডলাইট এলাকা কামাথিপুরা থেকে মাত্র ঢিলছোঁড়া দূরত্বে। তাই তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন যৌনকর্মীদের। প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলা একের পর এক খদ্দেরদের আসা-যাওয়া এবং নিত্যদিনের ঝগড়া-অশান্তির সাক্ষীও থেকেছেন তিনি। আর এই ঘটনাগুলো তাঁর ‘গাঙ্গুবাই’ তৈরির সময় খুবই সাহায্য করেছিল বলেই জানিয়েছিলেন বনশালি।

Read more:- লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের প্রাণনাশের হুমকি এড়িয়ে সঞ্জয়লীলা বনশালীর ‘হীরামাণ্ডি’র প্রিমিয়ারে টাইগার

সেই সময় বনশালি জানিয়েছিলেন এই ‘কোঠি’, ‘তবায়ফ’ সংস্কৃতি সেই সময় থেকেই কীভাবে তাঁকে আকর্ষণ করেছিল। ফলে ‘হীরামাণ্ডি’র ছক মগজে এঁকে নিতে খুব একটা যে অসুবিধা হয়নি বনশালির তা এই সিরিজের ৮টি এপিসোডে দেখেই পরিষ্কার। তবে তবায়ফের গায়কি, নৃত্যশৈলী এবং দেহব্যবসার মধ্যে যে সূক্ষ্ম তফাৎটি রয়েছে সেটাই তিনি স্পষ্ট করলেন ‘হীরামাণ্ডি’তে। কোনও এক নবাবের ব্যক্তিগত ‘সম্পত্তি’ হয়ে আজীবন থাকার মধ্যেও যে এক অহংকার রয়েছে, তা হীরামাণ্ডি’র প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে তুলতে ধরতে চাইলেন তিনি। আর তা তুলে ধরতে গিয়েই বনশালি সাহায্য নিলেন উর্দু শায়েরির। গালিব, মীর, জাফর এবং নিয়াজির কলামের মতো কিংবদন্তি উর্দু কবিদের থেকে লাইন ধার করে বনশালি একে একে সাজালেন আলমজেব, বিবোজান এবং ‘হীরামাণ্ডি’র সবচেয়ে উজ্জ্বল হীরে মল্লিকাজানকে (মণীষা কৌরালা)। আর সেই কবিতা দিয়েই বনশালি সাজালেন এই ছবির পুরো আবহ। সঙ্গে তিনি পেয়েছেন মইন বেগের ‘হীরামাণ্ডি’ উপন্যাসও।

এইরকম বিনোদন জগতের প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer