West Bengal Assembly: ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মমতা, ধুয়ে দিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকে
পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যু এবং তার পাল্টা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’- তার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার অর্থাৎ গতকাল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একটি প্রস্তাব আনে বিধানসভার সচিবালয়।
West Bengal Assembly: ভারতের কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে কী কোনও ফাঁক থেকে যাচ্ছে, প্রশ্ন মমতার
হাইলাইটস:
- বিধানসভায় ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানালো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
- তবে এক্ষেত্রেও কেন্দ্রকে নিশানা করতে ছাড়লেন না
- বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকেও ধুয়ে দিলেন
West Bengal Assembly: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের জন্য ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানিয়েও কেন্দ্রকে নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গে তিনি দেশের বিদেশ নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুললেন। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করার সুযোগ ছিল। আমরা দখল করতেও পারতাম। ভারত সরকার আরও স্ট্রং রোল প্লে করুক।”
We’re now on WhatsApp – Click to join
পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যু এবং তার পাল্টা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’- তার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার অর্থাৎ গতকাল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একটি প্রস্তাব আনে বিধানসভার সচিবালয়। মূলত বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই প্রস্তাব আনা হয়। এই প্রস্তাবের দ্বিতীয় অধ্যায়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেন। আর তার প্রত্যাঘাত হিসাবে ভারতীয় সেনার তরফে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা কৃতিত্ব স্বীকার করেন। পহেলগাঁওয়ের টাট্টু ঘোড়া চালক আদিল, যিনি পর্যটকদের রক্ষা করতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন, তাঁকেও এদিন কুর্নিশ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
পুলওয়ামার প্রসঙ্গে বলতে গেলে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী অগ্নিমিত্রা পালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি ফ্যাশন নিয়ে কথা বললে আমি শুনব, কিন্তু আমাকে আপনি রাজনীতি নিয়ে জ্ঞান দেবেন না। দু’দিনের রাজনীতি করছেন। আপনার কীর্তি কলাপ আমি সব জানি।”
এরপরেই বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিরোধী দলনেতাশুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, “অপদার্থ বিজেপি দেশের সর্বনাশ। আপনি একজন বিরোধী দলনেতা দেশের পক্ষে লজ্জার।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “কয়েকদিনের জন্য হলেও একটা শিক্ষা পাকিস্তানকে দেওয়ার দরকার ছিল। সন্ত্রাসবাদ কোনও ধর্ম নয়, জাতি নয়।” ভারতে কূটনীতিতে কি কোথাও একটা ফাঁক থেকে যাচ্ছে, কারণ কীভাবে পাকিস্তান লোন পেয়ে গেল, এদিন সে নিয়েও বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
We’re now on Telegram – Click to join
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারতের প্রত্যাঘাতে চরম চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। সেই সময় পাকিস্তানের ঘরের মধ্যেই চলছিল বিদ্রোহ, বালুচ লিবারেশন আর্মিও সোচ্চার হয়ে ওঠেছিল স্বাধীনতার দাবিতে। পাকিস্তানের কাজের তীব্র নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল আমেরিকা। তবে তারপরও আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার থেকে একশো কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পায় পাকিস্তান।
Read more:- মোদীর যাত্রাপথেই আজ পাল্টা রোড শো মমতার, এর পাশাপাশি রয়েছে অভিষেকের সমর্থনে সভাও
এখানেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, তাহলে কি ভারতের কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে কি কোনও কিছু ফাঁক থেকে যাচ্ছে? কেন পাকিস্তানকে এই বিষয়ে চাপে রাখা গেল না? প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গিরা কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ল, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় যে সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা, সে অভিযোগ আবারও তোলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
এই রকম রাজ্য-রাজনীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।