Sikkim Flood: পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আজও উদ্ধার করা যাচ্ছে না সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের, মঙ্গলবার দিয়ে শুরু হবে উদ্ধারকার্য
Sikkim Flood: লাগাতার বৃষ্টিতে কার্যত ব্যাহত উদ্ধারকার্য
হাইলাইটস:
- ধসের কারণে উত্তর সিকিমে আটকে রয়েছে বহু পর্যটক
- তবে অনুকূল পরিস্থিতি না হওয়ায় আজও উদ্ধার করা যাচ্ছে না তাঁদের
- লাচুং এবং চুংথামে আটকে পড়া খাবার ও পানীয় জলের সরবরাহ করছে স্থানীয় বাসিন্দা এবং হোটেলগুলি
Sikkim Flood: বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। এমনকি ধসের কারণে ঘটনাস্থলে আটকে পড়েছে বহু পর্যটক। উদ্ধারকার্যে নেমেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় উদ্ধারকার্যের জন্য রবিবারও উত্তর সিকিমে নামতেই পারেনি কপ্টার। শুধুমাত্র খারাপ আবহাওয়ার কারণে এদিন উত্তর সিকিমের আকাশে কপ্টার উড়তে পারেনি।
We’re now on WhatsApp – Click to join
প্রথমে জানা যাচ্ছিল, আজ সোমবার আবহাওয়ার উন্নতি হলে টুং থেকে মঙ্গন পর্যন্ত পর্যটকদের হাঁটা পথ দিয়েই নিচে নামিয়ে আনা হবে। তবে এদিনও সকাল থেকে পরিস্থিতির এতটুকুও উন্নতি হয়নি বলেই সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই পুরোদমে উদ্ধারকাজ শুরু হতে পারে সিকিমে।
সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার থেকে সিকিমে শুরু হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। চার দিন কেটে গেলেও সামগ্রিক পরিস্থিতির কোনওরকম উন্নতি হয়নি। সারাদিন লাগাতার বৃষ্টি এবং ঘন কালো মেঘের জেরে কমে গিয়েছে দৃশ্যমানতাও। গতকাল নতুন করে মঙ্গন থেকে গ্যাংটক এবং সিংথাম যাওয়ার একাধিক রাস্তা ধস নামার ফলে উত্তর সিকিমের লাচুং এবং চুংথাংয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের এয়ারলিফট করার পরিকল্পনা কার্যকর করা যায়নি। এমনকি কয়েকটি জায়গায় রাস্তা একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। জঙ্ঘুতে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে প্রায় তিনটি সেতু। শুধু তাই নয়, জঙ্ঘু থেকে চুংথাম পর্যন্ত গোটা রাস্তা কার্যত নিশ্চিহ্ন। সে কারণে ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং সেনাবাহিনী এখনও পৌঁছতে পারেনি। সিকিমের রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, লাচুং এবং চুংথামে আটকে পড়া পর্যটকদের সেখানকার হোটেল ও স্থানীয় বাসিন্দারা খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করছে। এমনকি চুংথামের একটি গুরুদ্বারেও পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
We’re now on Telegram – Click to join
সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, গ্যাংটকে রাখা হয়েছে দুটি হেলিকপ্টার। প্রয়োজন পড়লে বাগডোগরা থেকে সেনাবাহিনীর কপ্টার আনারও পরিকল্পনা রয়েছে। আজ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে হাঁটা পথেই ধস পেরিয়ে সড়ক পথে এনে গ্যাংটকে আনার চেষ্টা চালানো হবে পর্যটকদের। তবে এখন সবটাই আবহাওয়ার উন্নতির উপরই নির্ভর করছে।
Read more:- সিকিমে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের এবং আটকে পড়েছে প্রায় ২০০০ পর্যটক
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজও সিকিমে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এমনকি মঙ্গন ও নামচি জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতাও। লাগাতার বৃষ্টির জেরে পাহাড়ের উপর থেকে পাথর পড়ায় বাংলা-সিকিম লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৃষ্টির প্রভাবে উত্তরবঙ্গও বিপর্যস্ত। কালিম্পংয়ের নদীর জলস্তর বৃদ্ধি এবং পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসেরও সর্তকতা দিয়েছেন আবহবিদরা।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।