Bangla News

Mamata Banerjee at Howrah Mangla Haat: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হাওড়ার মঙ্গলাহাটে মুখ্যমন্ত্রী, কথা বললেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে

Mamata Banerjee at Howrah Mangla Haat: মঙ্গলাহাটে আগুন লাগার ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা, কমিটি করে তদন্ত করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

হাইলাইটস:

• বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাওড়ার বহু পুরনো মঙ্গলাহাটে আগুন লেগে যায়

• শুক্রবার বিকেলে আগুনে ভস্মীভূত হাওড়ার মঙ্গলাহাট পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

• মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তোলাবাজির অভিযোগ জানান মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা

Mamata Banerjee at Howrah Mangla Haat: বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাওড়ার বহু পুরনো মঙ্গলাহাটে আগুন লাগে। এই হাটে মূলত কাপড়ের দোকানই বেশি। ফলে আগুন লাগার সাথে সাথে ভয়াবহ রূপ নেয় গোটা হাটচত্বর। এই ঘটনায় কাঠের কাঠামোয় তৈরি দোকানে পুড়ে বহু টাকার জিনিস নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাট সংলগ্ন হাওড়া থানা, ডি.আই. অফিস এবং হাওড়া জেলা হাসপাতালও। জানা যাচ্ছে, থানার একাংশে থাকা বেশ কিছু কম্পিউটার আগুনের তাপে নস্ট হয়ে যায়। হাওড়া জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগের সমস্ত চিকিৎসাধীন শিশুকে আগুনের প্রচন্ড তাপ থেকে বাঁচাতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডাঃ নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।

শুক্রবার ২১শে জুলাই-এর সমাবেশ শেষের পর মঙ্গলহাটের কঙ্কালসার অবস্থা ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হাটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছতেই ব্যবসায়ীদের একাংশ কান্নায় ভেঙে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট ও সিআইডি যৌথভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবে। তিনদিনের মধ্যে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি। ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীরা মঙ্গলাহাটে আগুন লাগার ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাও প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “হাওড়া কমিশনারেট, সিআইডি মিলিয়ে তদন্ত করছে। দেখা হবে কেউ আগুন লাগিয়েছে কি না। এতো কর্মসংস্থান বারবার জ্বালিয়ে দেবে সেটা হতে পারে না।”

হাওড়ার মঙ্গলাহাটে প্রায় ৫ হাজার দোকান আছে। এর আগেও ১৯৮৭ সালে আগুন লেগেছিল এখানে। সেই থেকে মঙ্গলাহাট পোড়া মঙ্গলাহাট নামে পরিচিত হয়ে যায়। গতকাল ব্যবসায়ীদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জমির মালিক সম্পর্কে জানতে চান। তবে ব্যবসায়ীদের কেউই সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেননি।

হাট ব্যবসায়ীদের দাবি, এই জমি সরকারের নয়। কারও ব্যক্তিগত মালিকানা। আগে লিজে ছিল এই জমিটি। কিন্ত এ জমি কার কেউই স্পষ্ট জানেন না। ৩৫ বছর ধরে এভাবেই মঙ্গলাহাটে চলছে ব্যবসা। গতকাল ব্যবসায়ীরা মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই অভিযোগ করেন, এলাকায় তোলাবাজি করা হয়। এই ঘটনায় ব্যবসায়ীরা একাধিকবার শান্তিরঞ্জন ঘোষ নামে একজনের নাম করেছেন। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেউ যদি করে থাকে তার বিরুদ্ধে এফআইআর করুক। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জেলাশাসককে জমিটার অবস্থা খতিয়ে দেখতে বলেছি। একটি কমিটি করে দিয়েছি আমি। দমকলের একজন, পুলিশের একজন, বিপর্যয় মোকাবিলার একজন থাকবে। জেলাশাসকও থাকবেন। ওনারা দেখবেন জমিটা আসলে কার। কেউ আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে কি না। কোনও মোটিভ কাজ করছে কি না।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে ফায়ার লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করতে হবে। পুলিশ তো দেখবেই, তবে ব্যবসায়ী কমিটিকেও নজর দিতে হবে। একইসাথে সিসি ক্যামেরা বসানোর কথাও বলেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ৫ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার ঘোষণা মুখমন্ত্রীর।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button