Bratya Basu: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে এবার ‘জেমস বন্ড’-এর সাথে তুলনা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
Bratya Basu: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে এবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে
হাইলাইটস:
- নিজের ইচ্ছা মতো উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর রোষের মুখে রাজ্যপাল
- সরকারের সাথে আলোচনা না করে রাজ্যপাল যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ করছেন তার জন্য রাজ্যপালকে ‘জেমস বন্ড’-এর সাথে তুলনা করলেন শিক্ষামন্ত্রী
- তিনি আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন
Bratya Basu: এ রাজ্যে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের বিষয় নতুন ঘটনা নয়। তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এখন তুঙ্গে। পূর্বেও রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সাথে রাজ্য সরকারের সংঘাত দেখা দিয়েছিল। এবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সরাসরি আক্রমণ করলেন রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন কিছুদিন ধরে রাজভবনের তরফ থেকে একের পর এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজভবনের তরফ থেকে আসা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, রাজ্যে যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উপাচার্যহীন অবস্থায় রয়েছে সেসকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যের ভূমিকা পালন করবেন রাজ্যপাল নিজেই। আর এর পরেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। কারণ রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য যখন তিনি তখন উপাচার্যও কীভাবে হতে পারেন এই প্রশ্ন বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তোলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি তখন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হওয়ারও কথা বলেছিলেন।
তবে এই সংঘাতের আবহেই উপাচার্যহীন মোট ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। আর এখানেই রাজ্য সরকারের সাথে সংঘাত আরও বেড়েছে। উপাচার্য নিয়োগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। আর এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। এমনকি তিনি রাজ্যপালকে জেমন বন্ডের সাথেও তুলনা করলেন। তিনি বলেন, “জগদীপ ধনখড় যখন রাজ্যপাল ছিলেন, তখন অন্ততপক্ষে একটা আলোচনার পরিসর ছিল। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল তো জেমস বন্ডের মতো আচরণ করে চলেছে।” উচ্চ শিক্ষা দফতর এবং মুখ্যমন্ত্রীকে না বলে রাজ্যপাল যে ভাবে উপাচার্য নিয়োগ করছেন সেটিকে এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ বলেই মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এমনকি তিনি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণেরও অভিযোগ তুললেন। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর এবং মুখ্যমন্ত্রীকে অগ্রাহ্য করে, তাঁদের কোনও তোয়াক্কা না করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করে রাজ্যপাল যে ভাবে নিজের মতো উপাচার্য নিয়োগ করছেন আবার কখনও সেই উপাচার্যকে তিনি বিতাড়িতও করছেন, সেই জায়গায় আবার তিনি নতুন উপাচার্যও নিয়ে আসছেন। তারপর তাঁকে তাঁকেও আবার তাঁর পছন্দও হচ্ছে না।” এখানেই থামেননি তিনি, তাঁর দাবি, “নির্দিষ্টভাবে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে যাঁরা সরকারি পোষিত অধ্যাপক, যাঁরা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলেন, তাঁদের আবার সাসপেন্ড করার হুমকি দিচ্ছেন তিনি। এটা সম্পূর্ণভাবে তালিবানি মনোভাব।” তিনি প্রশ্নও তুলেছেন, “আচার্য কীভাবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম কথা না বলে উপাচার্য নিয়োগ করতে পারেন?” রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে তিনি আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এইরকম রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।