Visit Ireland: এই দেশে বসবাসের জন্য পাবেন ৭১ লক্ষ টাকা! সাথে পেয়ে যাবেন নাগরিকত্ব এবং বিলাসবহুল বাংলোও

Visit Ireland: জনসংখ্যা বাড়াতে বসবাসের জন্য আয়ারল্যান্ড সরকার দিচ্ছে ৭১ লক্ষ টাকা

হাইলাইটস:

• লোকসংখ্যা কমে গেছে এখন আয়ারল্যান্ডের

• জনসংখ্যা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আইরিশ সরকার নিয়ে আসছে নতুন প্রকল্প

• ১লা জুলাই থেকে শুরু হবে এই প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়া

Visit Ireland: জীবনে একবার হলেও বিদেশে ভ্রমণের স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। বিদেশের বিলাসবহুল জীবনযাপন, নতুন মানুষের সঙ্গ, নানারকম খাবার, নানা আকার্ষণীয় স্থান দেখার সখ প্রায় সকলেরই রয়েছে। কিন্তু অত্যাধিক খরচরের কারণে সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে এই সখ হয়তো কখনোই পূরণ হয়না। কিন্তু ধরুন এমন যদি কোনও সুযোগ পাওয়া যায় যেখানে গেলে আপনার ব্যয় হবে না, বরং কিছু উপার্জন হতে পারে তাহলে? হ্যাঁ ঠিকই, সুযোগ আছে। সেই দেশে বেড়াতে গেলে, বিলাসবহুল জীবন সহ বাড়ি, টাকা, পাশাপাশি বসতি স্থানের সুযোগও পেয়ে যাবেন আপনি। তাহলে আর দেড়ি না করে আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক সেই সম্পর্কে।

সেই হল ইউরোপ মহাদেশের বরফে ঢাকা এক ছোট্টো দ্বীপ রাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড। আয়ারল্যান্ড হল উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। লোকসংখ্যা খুবই কম এই দেশে। তাই এই দেশ নিজের জনসংখ্যা বাড়াতে চায়। তাই এখানে বসবাস করার জন্য আয়ারল্যান্ড সরকারের তরফ থেকে এক আকর্ষণীয় অফার আনা হয়েছে। আর এই দেশে বসবাস করলে সরকার দেবে ৭১ লক্ষ টাকা। কী? চমকে যাচ্ছেন তো? চলুন জেনেনি এই আকর্ষণীয় পরিকল্পনা সম্পর্কে।

• ৭১ লক্ষ টাকা মিলবে এই প্রকল্পে:

ইউরোপের এক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আয়ারল্যান্ডের এই পরিকল্পনাটি হল দেশের “আর লিভিং আইল্যান্ড” নীতির অংশ। এই নীতির মাধ্যমে আইরিশ সরকার তার দ্বীপগুলির জনসংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা করছে। আইরিশ সরকার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এখানকার দ্বীপগুলিকে সমৃদ্ধ করা এই নীতির উদ্দেশ্য। ৩০টি দ্বীপ এই পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কোনও সেতু দ্বারা এই দ্বীপগুলি একে অপরের সঙ্গো সংযুক্ত নয়, এবং কোনও উপকূলও নেই এই দ্বীপগুলির কাছাকাছি। এখানে নতুন বাসিন্দাদের বসতি স্থাপনের সুযোগ দিচ্ছে আয়ারল্যান্ড সরকার। এখানে বসতি স্থানের জন্য পাওয়া যাবে ৭১ লক্ষ টাকা। আইরিশ সরকার জানিয়েছে, এই দ্বীপগুলির পরিত্যক্ত প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার এবং পুনর্বাসন হল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

• আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার দিন:

দ্বীপগুলিতে বসবাসের জন্য শর্ত দিয়েছে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড সরকার। শর্ত হল বাসিন্দাদের ওই দ্বীপগুলিতে একটি সম্পত্তি কিনতে হবে। ১৯৯৩ সালের আগে নির্মিত হতে হবে সেই সম্পত্তি এবং কমপক্ষে যেন দুই বছর ধরে খালি পড়ে থাকে সেটি। গৃহ নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে প্রকল্পের অধীনে প্রদত্ত তহবিল। সংস্করণ, কাঠামোগত উন্নতি এবং সজ্জার জন্য সেই টাকা ব্যবহার করা যাবে। যদি কেউ এই দ্বীপগুলিতে যেতে আগ্রহী হন, তাহলে তিনি আবেদন করতে পারেন। ১লা জুলাই থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

• আয়ারল্যান্ড ভ্রমণের আদৰ্শ সময়:

জুন, জুলাই এবং অগাস্ট মাস আয়ারল্যান্ড ভ্রমণের আদৰ্শ সময়। অর্থাৎ কেউ যদি আয়ারল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে এই সময় যাওয়াই সেরা। যদি আয়ারল্যান্ডের বসন্ত দেখতে চান তাহলে এপ্রিল মাসে যান। আর শীতকালে আয়ারল্যান্ড দেখতে চাইলে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস সেরা।

• কীভাবে আয়ারল্যান্ড যাবেন:

আয়ারল্যান্ডের চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। সেগুলি হল ডাবলিন, শ্যানন, কর্ক এবং আয়ারল্যান্ড ওয়েস্ট সাইড। ডাবলিন বিমানবন্দরটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, মহাদেশীয় ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ প্রধান শহরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত। এছাড়াও গালওয়ে, ডোনেগাল, স্লিগো, কেরি এবং ওয়াটারফোর্ডের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে। রায়নায়ার এবং এয়ার লিঙ্গাস এয়ারলাইন হল আয়ারল্যান্ডে পরিচালিত দুটি প্রধান এয়ারলাইন।

এইরকম ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.