Virgin Sea Beach in Baleswar: বর্ষায় উইকএন্ডে বেরিয়ে পড়ুন ওড়িশার ভার্জিন বিচের সন্ধানে, বর্ষায় একটা সুন্দর উইকএন্ড কাটান এখানে

Virgin Sea Beach in Baleswar: এই বিচে একটি নির্জন এবং মনোমুদ্ধকর পরিবেশের সাক্ষী রাখতে পারেন আপনিও

হাইলাইটস:

• বর্ষায় উইকএন্ড ডেস্টিনেশন নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা

• বৃষ্টির দিনে সি বিচে ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা

• জেনে নিন এই ওড়িশার ভার্জিন বিচ সম্পর্কে

Virgin Sea Beach in Baleswar: বৃষ্টির দিনে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যেতে পছন্দ করেন অনেকেই। তাই এই বৃষ্টির মরসুমে সুযোগ পেলেই অনেকেই পাড়ি দেন দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরে। আর যদি হাতে একটু বেশি সময় থাকে তাহলে, অনেকেই এক ধাপ এগিয়ে চলে যান পুরী। পুরী যেতে গেলেও হাতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ওড়িশার জনপ্রিয় পুরী ছাড়াও এমন অনেক সমুদ্র সৈকত রয়েছে, যা আপনার উইকএন্ড ডেস্টিনেশন হিসেবে আদৰ্শ স্থান হতে পারে। সেই তালিকায় অন্যতম হল ডুবলাগরি। উইকএন্ডে কলকাতা থেকে লং ড্রাইভে কিংবা ট্রেনে চেপে বালেশ্ব‌রে নেমে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন ডুবলাগরি সমুদ্র সৈকত। কলকাতা থেকে ১৬ নং জাতীয় সড়ক ধরে পৌঁছে যেতে পারেন ডুবলাগরি। ওড়িশার ভার্জিন সমুদ্র সৈকত এই ডুবলাগরি। এখানে খুব বেশী দর্শকদের আনাগোনা নেই তাই জায়গাটি বেশ নিরিবিলি।

উইকএন্ডে বালেশ্ব‌রের কাছে অবস্থিত ডুবলাগরি যেতে চাইলে কলকাতা থেকে লং ড্রাইভে হোক বা ট্রেনে চেপে সহজেই ঘুরে নিতে পারবেন ডুবলাগরি সমুদ্র সৈকত। কলকাতা থেকে ১৬ নং জাতীয় সড়ক ধরে পৌঁছে যেতে পারেন ডুবলাগরি। এছাড়াও ট্রেনে করে বালেশ্ব‌র স্টেশনে নেমে গাড়ি ভাড়া করে চলে যাওয়া যায় ডুবলাগরি। বালেশ্ব‌র স্টেশনে থেকে ডুবলাগরির দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। আর কলকাতা থেকে ডুবলাগরির সড়কপথে দূরত্ব প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার। সড়কপথে কলকাতা থেকে ডুবলাগরি যেতে সাড়ে ৫ ঘন্টা সময় লাগে।

নির্জন সমুদ্র সৈকত, ঝাউবনের জঙ্গল, লাল কাঁকড়া নিয়ে ডুবলাগরি সমুদ্র সৈকত গড়ে উঠেছে। এই সমুদ্র সৈকতের ঝাউবনের জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে দেখা মিলতে পারে বিভিন্ন ধরনের পাখির। সমুদ্রতটে নিরিবিলিতে কিছুটা সময় কাটানোর আদর্শ জায়গা এই ডুবলাগরি। ডুবলাগরির সমুদ্রের পাড়ে বসে দেখতে পারেন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। এই দুটো জিনিস একেবারেই মিস করবেন না।

ওড়িশার ভার্জিন সমুদ্র সৈকত ডুবলাগরি। খুব বেশি পর্যটকদের এখানে আনাগোনা নেই। উইকএন্ডগুলোতেই সাধারণত বাঙালি পর্যটকরা ভিড় জমানএখানে। ডুবলাগরির পাশেই বাগদা সমুদ্র সৈকত নামে রয়েছে আরও একটি সমুদ্র সৈকত। ডুবলাগরি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বাগদা সমুদ্র সৈকত। তাই ডুবলাগরির সাথে বাগদার খুব একটা তফাৎ নেই। ডুবলাগরির খুব কাছেই রয়েছে কাসাফল মোহনা অবস্থিত। সেখানেও ঘুরতে যেতে পারেন। এই মোহনায় টাটকা মাছ, সামুদ্রিক কাঁকড়া পাওয়া যায়।

ওড়িশার ইকো-ট্যুরিজমের অংশ ডুবলাগরি ও বাগদা সমুদ্র সৈকত। সেই কারণে এখানে থাকার জায়গার অভাব নেই। এছাড়াও এখানে রয়েছে ক্যাম্পিংয়ের সুযোগ। সমুদ্র সৈকতের ধারেই রাত কাটাতে পারবেন আপনি। জনপ্রতি এখানে থাকা-খাওয়া নিয়ে ১,৩০০ টাকা খরচ। এখানে ক্যাম্পের পাশাপাশি কটেজও রয়েছে। সেখানেও থাকা-খাওয়ার খরচ খুবই কম। তাই এই বর্ষায় ইচ্ছা হলে উইকেন্ডে ঘুরে আসতেই পারেন ডুবলাগরি থেকে।

এইরকম ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.