Daily Hair Care Tips For Curly Hair: কোঁকড়ানো চুল নিয়ে বিপাকে পড়ছেন? চুলকে কোমল ও মোলায়েম রাখতে এই টোটকা গুলি মেনে চলুন

Daily Hair Care Tips For Curly Hair: নিয়মিত এই কয়েক নিয়ম মেনে চললেই বজায় থাকবে আপনার কোঁকড়ানো চুলের জেল্লা

হাইলাইটস:

• বর্তমনে নিজের লুকসে বদল আনতে অনেকেই চুল ‘কার্ল’ করছেন

• দেখতে ভালো লাগলেও কোঁকড়ানো চুল সামলানো বেশ মুশকিল

• নিয়মত স্নানের আগে কিছুটা সময় বের করতে পারলেই কোঁকড়ানো চুলের যত্ন নেওয়া সম্ভব

Daily Hair Care Tips For Curly Hair: কোঁকড়ানো চুল মুখের আদলটাই পাল্টে দেয়। বর্তমানে অনেকেই তাঁদের লুকস-এ একটু বদল আনতে পার্লারে গিয়ে চুল ‘কার্ল’ করে নেন। অনেকের আবার জন্মগত ভাবেই কোঁকড়া চুল পেয়েছেন। কিন্তু কোঁকড়ানো চুল দেখতে যতটা ভাল লাগে, সামলানো কিন্তু ততটাই মুশকিল। ছোট হোক বা বড়ো যত্ন না নিলেই এই সুন্দর চুলের ঔজ্জ্বল্য হারাতে বেশী সময় লাগবে না। এক্ষেত্রে জট পড়ার সম্ভবনাও ‌খুব বেশি থাকে।

তাই শত ব্যস্ততার থাকলেও স্নানের সময় যদি খানিকটা সময় বার করে নেওয়া যায় তাহলেই কোঁকড়ানো চুল থাকবে কোমল ও মোলায়েম। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে –

১) কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার আগে কিছু বিষয় সাবধান থাকতে হবে। যে প্রাকৃতিক সিরাম চুলের গোড়া থেকে নিঃসৃত হয়, কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে তা চুলের ডগা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে চুলে রুক্ষ ভাব দেখা দেয়। এক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার ২০ মিনিট আগে থেকে চুলে মাস্ক কিংবা কন্ডিশনিং অয়েল লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ জড়িয়ে রাখুন।

২) চুলের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত শ্যাম্পু বেছে নেওয়া প্রয়োজন। সুগন্ধি, সালফেট, অ্যালকোহল, সিলিকন এবং প্যারাবেনের মতো রাসায়নিক উপস্থিত নেই এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

৩) কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে হেয়ার কন্ডিশনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কন্ডিশনার চুলের কোষ রক্ষা করার পাশাপাশি, চুলকে পরিবেশগত ক্ষতির হাত থেকেও সুরক্ষা করতে সাহায্য করে। শ্যাম্পু করার পরও চুলে কন্ডিশনার লাগাতে হবে। তবে চুলের গোড়াতে নয়, গোড়ার কাছ থেকে খানিকটা চুল ছেড়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

৪) ভুলেও গরম জলে চুল ধোবেন না। চুলের গোড়া থেকে এক ধরনের প্রাকৃতিক তেল নিঃসৃত হয় যা চুলের গোড়াকে শক্ত করতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুল ধোয়ার সময়ে গরম জল ব্যবহার করলে সেই প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়।

৫) কোঁকড়ানো চুল একেবারেই ব্রাশ করবেন না। শ্যাম্পু করার আগে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভাল করে চুল আঁচড়াতে হবে। চুল ধোয়ার পরে সিরাম ব্যবহার করুন। তারপর আঙুল দিয়ে চুলের জট ছাড়িয়ে নিতে হবে। কখনোই ভেজা চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবেন না। স্নানের পর গামছা বা খসখসে তোয়ালে ব্যবহার করে চুল মুছবেন না। তার বদলে মাইক্রো ফাইবারের নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। তা নাহলে সুতির গেঞ্জি কাপড়ের টি-শার্ট বা টপ ব্যবহার করতে পারেন।

এইরকম বিউটি সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.