Kalboishakhi: রাজ্যজুড়ে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ঝড়-বৃষ্টি সহ বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের

Kalboishakhi: গতকাল ভয়ঙ্কর কালবৈশাখীর তাণ্ডব দেখেছে বঙ্গবাসী

হাইলাইটস:

•গতকাল কালবৈশাখী তাণ্ডব চালিয়েছে রাজ্যজুড়ে

•ফলে বজ্রপাতে মৃত্যু সংবাদ এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে

•আহত হয়েছেন আরও বেশ কিছুজন

Kalboishakhi: এই বছর বঙ্গে পড়েছিল অসম্ভব গরম। কলকাতার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিকেও অতিক্রম করে গিয়েছিল। বাঁকুড়া জেলা আবার পৃথিবীর সপ্তম উষ্ণতম জায়গার তালিকাতেও নাম খোদাই করে নিয়েছিল। ফলে সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল। ইতিমধ্যে হাওয়া অফিস কিছুটা স্বস্তির খবর শোনায়। রাজ্যজুড়ে কালবৈশাখীর (Kalboishakhi) সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। বৃষ্টির কথা শুনে বঙ্গবাসীও স্বস্তির নিশ্বাস নেয়। তবে এত বেশি তাণ্ডব দেখাবে কালবৈশাখী তা কেউই বুঝতে পারেন নি।

বৃষ্টিপাতের সাথে শুধু হয়েছিল ঝোড়ো হাওয়া। বিশেষত বলা যায়, মারাত্মক ঝড় উঠেছিল। তার সাথে বড় বড় বাজ পড়ার শব্দ। সে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। জেলায় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বজ্রপাতের শব্দ ছিল আটকে উঠার মতো। গতকাল এক ভয়ঙ্কর কালবৈশাখীর তান্ডব দেখেছে বঙ্গবাসী। এই বজ্রপাতের ফলে রাজ্যজুড়ে মৃত্যু হয় ১৫ জনের। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত কেড়ে নিল ১৫ টি তরতাজা প্রাণ।

বৃষ্টিপাত সকলের জন্য সুখের নাও হতে পারে। তারই প্রমাণ গতকাল পেল বঙ্গবাসী। রাজ্যে জুড়ে নানা জায়গা থেকে এল মৃত্যু সংবাদ। বজ্রপাতের ফলে মেদিনীপুর, হাওড়া-উলুবেড়িয়া, বর্ধমান সহ একাধিক জায়গা থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এমনকি একাধিক জায়গা থেকে কালবৈশাখীর ফলে আহত হওয়ার খবর এসেছে। হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় আমতা এবং বাগনানে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের৷ আহত হয়েছেন আরও বেশকিছু জন। তারা সকলে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালেচিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে। মৃতেরা হলেন আমতা থানার শেরপরের বাসিন্দা মহানন্দ ঘুকু (৫৩), আমতা থানার মহম্মদ ইসমাইল (৩৭) এবং দেউলগ্রামের বাসিন্দা জুলফিকার হোসেন (২২)৷ জানা যায়, ধান কাটার সময় মহানন্দ, জুলফিকারের মৃত্যু হয়। ইসমাইলের মৃত্যু হয় বাড়ির সামনে ফাঁকা জমিতে বসে থাকার সময়। অন্যদিকে গতকাল বজ্রপাতের ফলে মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মছলন্দপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকায়

মিলন বিশ্বাস এবং ধীরাজ শর্মা নামে দুজন ব্যক্তির। প্রশাসন সূত্রে খবর, তারা বজ্রাহত হওয়ার পর তাদেরকে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ জানা যায়, তাদের বাড়ি বেড়গুম-২ পঞ্চায়েতের কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায়৷ আবার গতকাল কালবৈশাখীর সময় ভয়ঙ্কর বজ্রপাতে বর্ধমানে মৃত্যু হয়েছে চার জনের৷ মৃতেরা হলেন মঙ্গলকোটের জাঁহাপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর ৪১-এর আপাল লোহার এবং ভাতার থানার বেলেণ্ডা গ্রামের বছর ৩২-এর শেখ মনসুর আলি শেখ মাঠ থেকে গরুর গাড়িতে ধান বোঝাই করে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু হয় তার। অন্যদিকে কালনা মহকুমাতে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে শেখ নামে নামে একজনের৷ এবং তোরকোনার বাসিন্দা বাসুদেব রায়েরও মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে৷

এমনকি গতকাল মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর দু’নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কাগ্রাম এলাকার একটি মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতের ফলে মৃত্যু হয় বছর ২৪-এর হাবিব শেখ এবং বছর ২৬-এর নেকবস শেখ নামের দুজনের। তার সাথে আরও বেশকিছু জন আহতও হয়েছেন। আবার মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানার লক্ষীনগরে নদীর ধারে থাকা অবস্থায় হঠাৎ বাজ পরে মৃত্যু হয় আরও এক যুবকের। আহত আরও দুজন। এছাড়াও বাজ পড়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন। 

Sanjana Chakraborty

Professional Content Writer

Leave a Reply

Your email address will not be published.